নিজস্ব প্রতিবেদক:
লাখো জনতার অংশগ্রহণে বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশ হয়েছে। দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও বেলা সাড়ে ১১টায় সমাবেশ শুরু হয়।
সভায় প্রধান হিসাবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য দেন। বক্তব্য দেন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। জনতার চাপে বেশ আগেই জনসভা শুরুর কথা জানান মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির। যারা দূর দূরান্ত থেকে এসেছেন তাদের বাড়ি ফেরার সুবিধার্থে সময় এগিয়ে আনার কথা তিনি জানান। সমাবেশকে কেন্দ্র করে তিনদিন আগ থেকেই নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করে।
এদিকে সমাবেশকে কেন্দ্র করে বেশকদিন ধরেই বরিশাল বিভাগের সকল জেলায় পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা শুরু হয় বিভিন্ন চেকপোস্ট বসানো হয়। বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, তাদের কর্মীদের উপর বিভিন্ন স্থানে হামলা হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেয়া হয়েছে সমাবেশে না যেতে। সবধরনের গণপরিবহণ, নৌপথের সকল পরিবহণ বন্ধ করে সমাবেশে লোক ঠেকাতে সর্বাত্মক বাধা দিয়েও সমাবেশ বন্ধ করা যায়নি। বিএনপি নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে সমাবেশ জনসমুদ্রে রূপ নেয়। নানাভাবে লাখো নেতা-কর্মী সমাবেশে অংশ নেন। সমাবেশে আগত নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগন দেশে মানুষের ভোটধিকারসহ গনতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় চলমান আন্দোলনে যে কোন ত্যাগ শিকারে প্রস্তুত বলে জানান।
নজিরবিহীন বিদ্যুৎ লোডশেডিং, জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধি, নিত্য পণ্য মূল্য বৃদ্ধি, গণপরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদ ও গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া’র মুক্তি, নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের দাবীতে বরিশাল বিভাগীয় বিএনপি’র গণ সমাবেশ। বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করেই এসব দাবীপূরণ করা হবে।
এসএম/কেকে/
Leave a Reply