শিরোনাম:
বেসরকারি শিক্ষকদের বাড়তি আর্থিক সুবিধা দেয়া প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
- Update Time : ০৩:১৮:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ০ Time View
সারাদেশ ডেস্ক:
সারা দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের ১০ শতাংশ কর্তনের বিপরীতে বাড়তি আর্থিক সুবিধা কেন দেয়া হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসরের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা কেন একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রদানের নির্দেশনা দেয়া হবে না-রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
রিটকারীদের সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রিটকারীদের পক্ষে আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বাসস’কে আজ এ কথা জানান।
আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, বেসরকারি (এমপিও ভুক্ত) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা) কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীগণের বেতন থেকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট প্রবিধানমালা, ১৯৯৯ ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা প্রবিধানমালা, ২০০৫ এর আলোকে বেতন থেকে অবসরের জন্য ৬ শতাংশ কর্তন করা হতো। কর্তনকৃত অর্থ থেকে অবসরের পর অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের এককালীন আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হতো। তবে ২০১৭ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এস.আর.ও নম্বর ৮৪ এবং এস.আর.ও নম্বর ৮৯ জারি করে এর মাধ্যমে ওই কর্তকৃত ৬ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করে যা ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে কার্যকর হয়। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে সমস্ত বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতনের ৬ শতাংশের পরিবর্তে বর্ধিত হারে ১০ শতাংশ কর্তন করা হয়। কিন্তু অতিরিক্ত ৪ শতাংশ বর্ধিত কর্তনের জন্য কোনো প্রাপ্য অতিরিক্ত সুবিধা অবসর গ্রহণকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রদান করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
তিনি বলেন, কর্তনকৃত ১০ শতাংশ অবসরের পর অনেক সময় অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীগণ তাদের জমাকৃত অবসর সুবিধা পেতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। ফলে বেসরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীগণ হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া আরও বলেন, বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতনের ১০ শতাংশ কর্তক করা হচ্ছে কিন্তু তাদের অবসরকালীন সুবিধা পুর্বের ৬ শতাংশ হারে পরিশোধ করা হচ্ছে। এটা বৈষম্যমূলক এবং অধিকারের চরম লঙ্ঘন। সারা দেশের প্রায় ৩০ হাজার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় ৬ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী এই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন বলে জানান রিটের পক্ষের আইনজীবী ছিদ্দিক উল্যাহ।