সরকার আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
- Update Time : ০৩:৪৮:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১ Time View
সারাদেশ ডেস্ক :
সরকার আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের যৌথ উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৬তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে’ এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত রাজা আহমেদ শাওনকে যুবদলের কর্মী বলে দাবি করেছেন মির্জা ফখরুল।
শাওন হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওইদিন রাতেই এসপি বললেন যে, এটা কার ছেলে, কোন দলের ছেলে, কি ছেলে- এটা এখনো নির্ধারিত হয়নি। তবে তার চাচা আওয়ামী লীগ করেন। আমরা খুব পরিস্কার করে বলেছি, সে কোন দল করে- সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, সে একজন শ্রমিক। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যে, তাকে তোমরা গুলি করে হত্যা করেছো। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যে, গুলি করার কোনো পরিবেশ সেখানে সৃষ্টি হয়নি। প্রত্যেকটা বিষয়ের তো একটা আইনকানুন আছে? আমরা খুব পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, শাওন অবশ্যই যুবদলের কর্মী ও নেতা। শাওন অবশ্যই বিএনপিকে সমর্থন করতো এবং কাজ করতো।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের কোনো বিভ্রান্ত থাকার সুযোগ নেই। পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সরকার কোনো ছাড় দেবে না। প্রশ্নই উঠতে পারে না। জনগণের শক্তি দিয়ে ছাড়টা আদায় করে নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি এবার কোনোমতেই পরাজিত হবে না। এবার আমাদের বিজয় লাভ করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। কারণ ভোলায় নুরে আলম, আব্দুর রহিম এবং নারায়ণগঞ্জে শাওনের আত্মত্যাগ কোনো মতেই বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘এজন্য আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ অত্যন্ত সতর্কভাবে নিতে হবে। আমরা যেন নতুন কোনো চক্রান্তের মধ্যে পড়ে না গিয়ে আবার তাদের (সরকার) সুযোগ না করে দেই আমাদের দমন করবার জন্য।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এত সহজে মুক্তি পাওয়ার কথা না। সহজ সমাধানও নাই যে আমরা পুরোপুরি মুক্তি পেয়ে যাব। এই লড়াইটা লড়তে হবে। আমাদের তো অনেক বয়স হয়েছে। আমরা এই লড়াই লড়ছি ছাত্র অবস্থা থেকে। আমাদেরও এই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। আর আজকে এই লড়াইয়ের দায়িত্ব এসে পড়েছে তরুণ সমাজের উপরে।’
তিনি বলেন, ‘এখন বেশি বক্তব্য করার সময় না। এখন যত কম কথা বলি, কাজ যত বেশি করি- তত ভালো হবে। আজকে ৫১ বছর পরে আমাদের নিজস্ব ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। ৫১ বছর পরে আবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। এটা একটা জাতির জন্য চরম দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছু না।’
কেন তারেক রহমানকে টার্গেট করা হলো এমন প্রশ্ন রেখে ফখরুল বলেন, ‘তারেক রহমানের অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতা আছে। এই কয়েক বছরে এবং অল্প সময়ের মধ্যে সংগঠনকে একটা কাঠামোর মধ্যে আনার কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছেন। এখানেই হয়েছে কাল! যেহেতু বিএনপি আবার জেগে উঠছে। বিএনপির আবার ফিনিক্সি পাখির মতো উড়ছে। সুতরাং তাকে (তারেক রহমান) আবার দমিয়ে ফেলতে হবে। তাকে আবার ফেলে দিতে হবে।’
বাংলাদেশ ছাত্র ফোরামের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এসএ//