সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক:
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন কেন বাতিল করা হবে না-তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজহারুল হক আকন্দ সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ ৩০ আগস্ট এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র এডভোকেট খুরশীদ খান।
ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিলে গতকাল সোমবার হাইকোর্টে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় জামিন পান ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান তাকে গত ২২ আগস্ট জামিন দেন। জামিনের ক্ষেত্রে সম্রাটকে আদালত কিছু শর্ত দিয়েছেন। সম্রাটকে তার পাসপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। আর আদালতের অনুমতি না নিয়ে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।
এরআগেও সম্রাট জামিন পেলেও উচ্চ আদালতের আদেশে তাকে ফের আত্মসমর্পণ করতে হয়। গত ২৪ মে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সম্রাট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে আদালত তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে ১৮ মে এই মামলায় সম্রাটের জামিন বাতিলের আদেশ দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ। একইসঙ্গে সম্রাটকে সাত দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।
গ্রেফতারের পর সম্রাট ও আরমানকে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আনা হয়। সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালায় র্যাব। সম্রাটের কার্যালয়ে বন্য প্রাণীর চামড়া, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র পাওয়ার কথা জানানো হয়। বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।
ডিএএম/এসএ//
Leave a Reply