Dhaka ০২:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল

মানসম্মত মোবাইল নেটওয়ার্ক নিশ্চিতে পদক্ষেপ জানাতে হাইকোর্ট নির্দেশ

  • Update Time : ০৪:০৭:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১
  • / ২ Time View

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক :
নেটওয়ার্কসহ মান সম্মত সেবা নিশ্চিত করতে মোবাইল কোম্মানীগুলোর বিরুদ্ধে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মোঃ মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মোঃ কামরুল হোসেন মোল্লা সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই আদেশ দেন।

রিটের একজন আবেদনকারী সাংবাদিক মেহেদী হাসান ডালিম সারাদেশ’কে আদালতের আদেশের বিষয়টি জানান।

তিনি জানান, ৬০ দিনের মধ্যে বিটিআরসিকে এফিডেভিট আকারে এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কসহ মানসম্মত সেবা নিশ্চিতে মোবাইল কোম্পানীগুলোকে বাধ্য করতে বিটিআরসির নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট।

ডালিম জানান, মোবাইল কোম্পানীগুলোর দুর্বল নেটওয়ার্কের মান উন্নয়নের জন্য বিটিআরসি রেগুলেশন আইনের ৩ ও ৯ ধারা অধীনে ক্ষমতা থাকা স্বত্বেও কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ না করা জনসাধারণের সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী হবে না-রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল নওরোজ মো: রাসেল চৌধুরী ও সহকারি এটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল।

মোবাইল ফোনের দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীর গতি সমস্যার সমাধান করে গুণগতমান সম্মত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের নিস্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ১২ জুন হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্য সাংবাদিক মেহেদী হাসান ডালিম, মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এবং সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মোঃ রাশিদুল হাসান আবেদনকারী হয়ে রিটটি দায়ের করেন।

তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সচিব, বিটিআরসি,র চেয়ারম্যান গ্রামীণ ফোন সহ মোবাইল কোম্পানীগুলোর প্রধান নির্বাহীকে রিটে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়।

রিট পিটিশনার ডালিম জানান, রিট আবেদনে বলা হয়েছে- দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীর গতির কারণে মোবাইল ফোন গ্রাহকরা মারাত্নক ভোগান্তিতে আছেন। গ্রাহকের কাছ থেকে যে পরিমাণ খরচ নেয়া হয় সে তুলনায় সেবার মান হতাশাজনক। মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রত বৃদ্ধি পেলেও মোবাইল ফোন কোম্পানীগুলো সে অনুযায়ী সেবা প্রদান করেনি যার ফলে গ্রাহকদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। ২০২০ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিজিটাল সেবার মান নিশ্চিতকরকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তালিকায় শেষের দিকে।

রিটের পক্ষে এডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, দেশের ইন্টারনেট গতি এতটাই দূর্বল যে, দেশের অনেক জায়গায় মানুষ ইন্টারনেটের সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। আমাদের যে টাকা দিয়ে নেট কেনা হয় তার মেয়াদ শেষ হলে ব্যাবহার করা যায় না। অথচ, নির্দিষ্ট সময়ে ব্যাবহার করতে না পারার অন্যতম কারন হলো ধীরগতি।
বছরে সাড়ে ৫ লক্ষ অভিযোগ জমা হয় বিআরটিসি তে, কিন্তু গ্রাহকেরা এখনো ভোগান্তির শিকার।

ডিএএম/এসএম//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

মানসম্মত মোবাইল নেটওয়ার্ক নিশ্চিতে পদক্ষেপ জানাতে হাইকোর্ট নির্দেশ

Update Time : ০৪:০৭:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক :
নেটওয়ার্কসহ মান সম্মত সেবা নিশ্চিত করতে মোবাইল কোম্মানীগুলোর বিরুদ্ধে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মোঃ মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মোঃ কামরুল হোসেন মোল্লা সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই আদেশ দেন।

রিটের একজন আবেদনকারী সাংবাদিক মেহেদী হাসান ডালিম সারাদেশ’কে আদালতের আদেশের বিষয়টি জানান।

তিনি জানান, ৬০ দিনের মধ্যে বিটিআরসিকে এফিডেভিট আকারে এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কসহ মানসম্মত সেবা নিশ্চিতে মোবাইল কোম্পানীগুলোকে বাধ্য করতে বিটিআরসির নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট।

ডালিম জানান, মোবাইল কোম্পানীগুলোর দুর্বল নেটওয়ার্কের মান উন্নয়নের জন্য বিটিআরসি রেগুলেশন আইনের ৩ ও ৯ ধারা অধীনে ক্ষমতা থাকা স্বত্বেও কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ না করা জনসাধারণের সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী হবে না-রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল নওরোজ মো: রাসেল চৌধুরী ও সহকারি এটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল।

মোবাইল ফোনের দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীর গতি সমস্যার সমাধান করে গুণগতমান সম্মত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের নিস্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ১২ জুন হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্য সাংবাদিক মেহেদী হাসান ডালিম, মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এবং সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মোঃ রাশিদুল হাসান আবেদনকারী হয়ে রিটটি দায়ের করেন।

তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সচিব, বিটিআরসি,র চেয়ারম্যান গ্রামীণ ফোন সহ মোবাইল কোম্পানীগুলোর প্রধান নির্বাহীকে রিটে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়।

রিট পিটিশনার ডালিম জানান, রিট আবেদনে বলা হয়েছে- দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীর গতির কারণে মোবাইল ফোন গ্রাহকরা মারাত্নক ভোগান্তিতে আছেন। গ্রাহকের কাছ থেকে যে পরিমাণ খরচ নেয়া হয় সে তুলনায় সেবার মান হতাশাজনক। মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রত বৃদ্ধি পেলেও মোবাইল ফোন কোম্পানীগুলো সে অনুযায়ী সেবা প্রদান করেনি যার ফলে গ্রাহকদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। ২০২০ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিজিটাল সেবার মান নিশ্চিতকরকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তালিকায় শেষের দিকে।

রিটের পক্ষে এডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, দেশের ইন্টারনেট গতি এতটাই দূর্বল যে, দেশের অনেক জায়গায় মানুষ ইন্টারনেটের সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। আমাদের যে টাকা দিয়ে নেট কেনা হয় তার মেয়াদ শেষ হলে ব্যাবহার করা যায় না। অথচ, নির্দিষ্ট সময়ে ব্যাবহার করতে না পারার অন্যতম কারন হলো ধীরগতি।
বছরে সাড়ে ৫ লক্ষ অভিযোগ জমা হয় বিআরটিসি তে, কিন্তু গ্রাহকেরা এখনো ভোগান্তির শিকার।

ডিএএম/এসএম//