নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টানা ৭ মাস বন্ধ রযেছে।
এ পরিস্থিতিতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে। এই সিলেবাসের আলোকে আগামী ১ নভেম্বর রোববার থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের পাঠদান। এরপর সাপ্তাহিক এসাইনমেন্টের ভিত্তিতে পরবর্তী শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ করার নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
সূত্র জানায়, সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের পাঠদান ৮ সপ্তাহের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী ডিসেম্বরের মধ্যে ৮ সপ্তাহে সিলেবাস শেষ করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে চলতি বছর বার্ষিক পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
মাউশি সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখতে বাড়ির কাজ ও অ্যাসাইনমেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। পাঠ্যসূচি ও মূল্যায়ন টুলস তৈরির ক্ষেত্রে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮ সপ্তাহ পাওয়া যাবে। কোন সপ্তাহে শিক্ষার্থীর কী মূল্যায়ন করা হবে, তার নির্দেশনা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে দেয়া হয়েছে। প্রথম সপ্তাহে মূল্যায়নের পর ২য় সপ্তাহের প্রস্তুতি নিতে হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে ৮ সপ্তাহ শেষে শিক্ষার্থী মূল্যায়ন কার্যক্রম শেষ হবে।
এক্ষেত্রে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে আছে, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাস শেষ করতে হবে। প্রস্তাবিত মূল্যায়ন নির্দেশনা অনুসরণ করে শিক্ষার্থীকে প্রতি সপ্তাহে প্রত্যেক বিষয়ে একটি করে কাজ দিতে হবে। প্রত্যেক বিষয়ে ৮ সপ্তাহে প্রস্তাবিত ৮টি কাজ সম্পন্ন করতে হবে। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক কাজের মূল্যায়ন করবেন। এ কার্যক্রমে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সব মূল্যায়নের তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে।
ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত এই সিলেবাস তৈরি করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এরপর এনসিটিবি এই সিলেবাস শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। পরে মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আঞ্চলিক উপ-পরিচালকদের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত এই সিলেবাস দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাবে মাউশি।
শিক্ষকগন বলছেন, করোনার কারণে
চলতি বছর শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হয়েছে তা পোষাতে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ও এসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়ন একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।
এসএস/
Leave a Reply