নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন-ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, সুস্থতার জন্য চলমান সামাজিক আন্দোলনকে আরও বেগবান করে জনসচেতনতার মাধ্যমেই এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ করতে হবে।
গুলশানের নগর ভবনে সাংবাদিকদের সামনে এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে ‘দশটায় ১০ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কার’ স্লোগানটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে তিনি আজ শনিবার একথা বলেন।
মেয়র বলেন, সুস্থ পরিবেশের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে সর্বস্তরের মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণে চলমান সামাজিক আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে হবে। সকলকেই লজ্জা পরিহার করে প্রতি শনিবার সকাল দশটায় ১০ মিনিট স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ নিজ বাসাবাড়ি পরিষ্কার করতে হবে। তিনি বলেন, নিজেদের বাসাবাড়িতে ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের খোলা প্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের খোলা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কোথাও যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। অব্যবহৃত এই জিনিসগুলো যত্রতত্র না ফেলে নিকটস্থ ওয়ার্ড কাউন্সিলর কিংবা আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে জমা দিলে জমাদানকারীকে পুরষ্কার দেয়া হবে বলে ঘোষণা দেন।
মেয়র আতিক বলেন, ‘সবার ঢাকা’ মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে এডিস মশার উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে সবচেয়ে বেশী তথ্যবহুল ছবি সরবরাহকারীকেও পুরস্কৃত করা হবে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর কিংবা আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে জমা দেয়া প্রতিটি অব্যবহৃত কমোড ও টায়ার এর জন্য ৫০ টাকা এবং প্রতিটি ডাবের খোসা, রংয়ের কৌটা ও চিপসের প্যাকেটের জন্য ৫ টাকা হারে আর্থিক পুরষ্কার প্রদান করা হবে। এরপর আতিকুল ইসলাম রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয় এবং কালাচাঁদপুর হাই স্কুল এন্ড কলেজসহ বেশ কয়েকটি কভিড-১৯ টিকাদান কেন্দ্র সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
মেয়র বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫৪টি ওয়ার্ডের নির্ধারিত ৫৪টি কেন্দ্রেই বিনামূল্যে কভিড-১৯ এর টিকা প্রদান কার্যক্রম আজ থেকে শুরু হয়েছে যা আগামী ১২ই আগস্ট পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। করোনা মহামারী থেকে রক্ষা পেতে প্রাপ্তবয়স্ক সকলকেই সুশৃঙ্খলভাবে কভিড-১৯ এর টিকা গ্রহণ করতে হবে। ‘মাস্ক আমার, সুরক্ষা সবার’, তাই করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধকল্পে আমাদের সকলকেই সরকারী নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধিসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে। এসময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান এবং স্থানীয় কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।
এমএম/একে//
Leave a Reply