নিজস্ব প্রতিবেদক :
শূন্য হওয়া কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ২৬ জন।
আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে এ আসন শুন্য হয়। এ আসনে হাল ধরতে চান প্রয়াত সংসদ সদস্যের পরিবারের সদস্যরাও। প্রয়াত সংসদ সদস্য আবদুল মতিন খসরুর স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও ভাইসহ ২৬ জন নৌকার মাঝি হতে চান এখানে।
তবে এ আসনে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা সাজ্জাদ হোসেন স্বপনকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান। সাজ্জাদ হোসেন তৃণমূল থেকে জেলা পর্যায়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংগঠক হিসেবে উঠে আসা নেতৃত্ব। তিনি স্থানীয় বাকশিমুল ইউনিয়নের একাধিক বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান, বুড়িচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। সর্বশেষ কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সামান্য ভোটে পরাজিত হন।
সাজ্জাদ হোসেন বুড়িচং উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, যুবলীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি জেলা পর্যায়েও ছাত্রলীগ ও যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একজন শিক্ষানুরাগী। আবদুল মতিন খসরুর নামে একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়তে অবদান রেখেছেন এবং রাখছেন।
সংবিধান অনুযায়ী কুমিল্লা-৫ শূন্য হওয়া আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জুলাইয়ে। নির্বাচন কমিশন ২৪ মে তফসিল ঘোষণা করবে। এরপর শুরু হবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া। দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু হবে।
তবে, তফসিল ঘোষণার আগে কাকে এ আসনে মনোনয়ন দেয়া হবে সে বিষয়ে মুখ খুলতে চান না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরামের সদস্যরা।
গত ১৪ এপ্রিল মারা যান সাবেক আইনমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু। তার মৃত্যুতে শূন্য হয় কুমিল্লা-৫ আসন।
এ আসন থেকে পাঁচবার নির্বাচিত হওয়া আবদুল মতিন খসরুর পরিবারের চার সদস্য মনোনয়নপ্রত্যাশী। তারা হলেন-স্ত্রী সেলিনা সোবহান খসরু, ছেলে মুনেফ ওয়াসিফ, মেয়ে ডা. উম্মে হাবিবা দিলশাদ মুনমুন এবং ভাই অ্যাডভোকেট আবদুল মমিন ফেরদৌস।
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে অন্যতম কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জননেতা সাজ্জাদ হোসেন। এবং বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আবুল হাশেম খান, সহ-সভাপতি লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মো. আল আমিন, উপজেলা চেয়ারম্যান আখলাক হায়দার, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল বারী। এছাড়াও বুড়িচং উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা এডভোকেট রেজাউল করিম খোকন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী।
মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে আরও আছেন- অধ্যক্ষ মো. আলী চৌধুরী মানিক, মেজর জেনারেল (অব.) মোস্তাফিজুর রহমান, আব্দুস সালাম বেগ, আওয়ামী লীগ নেতা শাহজালাল মজুমদার,তারিক হায়দার,সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী, ব্যবসায়ী এম এ মতিন, আব্দুল জলিল, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আবু জাহের, শাহজালাল মোল্লা, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মো. মাহতাব, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা অধ্যক্ষ সেলিম রেজা সৌরভ, যুবলীগ নেতা এহতেশামুল হাসান ভূঁইয়া রুমি এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার মো. নিজামুল ইসলাম।
এ আসনে দীর্ঘ রাজনৈতিক লড়াই সংগ্রামের কারণে সাজ্জাদ হোসেন স্বপনকে মনোনয়ন দেয়া উচিৎ বলে মনে করেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকগন।
সাজ্জাদ হোসেন ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। গত জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সামান্য ভোটে পরাজিত হন।
ছাত্রজীবনে একজন জনপ্রিয় ছাত্রনেতা ছিলেন তিনি। ১৯৮৬ সালে কুমিল্লা সরকারি কলেজ ছাত্রসংসদ নির্বাচনে ভিপি পদে ভোট করেন তিনি। নির্বাচনের আগের রাতে তৎকালীন এরশাদ সরকারের প্রশাসন ভোট স্থগিত করে দেয়। ৯০ এ স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে কুমিল্লার রাজপথে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
সাজ্জাদ হোসেন কুমিল্লায় ছাত্রলীগ যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এমএম//
Leave a Reply