Dhaka ০৮:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে লকডাউনে ভার্চুয়ালি চলছে আদালতের কার্যক্রম

  • Update Time : ০৪:১৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১
  • / ২ Time View

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক:
দেশে আইনের শাসন ও জনগণের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার্থে করোনা সংক্রমণে ভয়াবহ অতিমারি মোকাবেলায় দেশব্যাপী লকডাউনের মধ্যেও সুপ্রিমকোর্ট ও অধস্তন আদালতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইবুনালসমূহে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন/জরুরী বিষয়সমূহ শুনানি এবং নিষ্পত্তি করা হচ্ছে।

ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আদালতে বিচারকার্য পরিচালনা ও দায়িত্ব পালনের সময় এ পর্যন্ত সুপ্রিমকোর্টের ২১ জন বিচারপতি, অধস্তন আদালতের ২৩১ জন বিচারক, সুপ্রিমকোর্টের ২০০ জন কর্মচারী এবং অধস্তন আদালতের ৪৫৮ জন কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

সুপ্রিমকোর্টের মুখপত্র ও বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সারাদেশ’কে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে অধস্তন আদালতের জেলা জজ পদমর্যাদার ১ জন বিচারক এবং ৬ জন কর্মচারী মৃত্যুবরণ করেছেন। এছাড়া সারাদেশে অসংখ্য আইনজীবী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আইনজীবী মৃত্যুবরণ করেছেন।

সুপ্রিমকোর্ট মুখপাত্র বলেন,
প্রধান বিচারপতির আদেশে বিগত ২৭ এপ্রিল থেকে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের ফটো-সার্টিফাইড কপি অতি স্বল্প সময়ে প্রদান করা হচ্ছে । ফলে মামলার পক্ষগণ অতি সহজে তা সংগ্রহ করে উচ্চতর আদালতে দাখিল করতে পারছেন। এই চরম দুঃসময়ে বিচারক, আইনজীবী এবং আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ জীবন বাজী রেখে তাঁদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছেন। অধস্তন আদালত থেকে সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে অতিমারি মোকাবেলার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে ন্যায়বিচার প্রাপ্তির দ্বার উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

এ পর্যন্ত মোট দুই দফায় সারাদেশে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে ২১০৪৪৮ টি ফৌজদারি মামলায় জামিনের আবেদন ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়েছে এবং মোট ১,০৬,০৭৯ জন হাজতী অভিযুক্ত ব্যক্তি জামিন প্রাপ্ত হয়ে কারাগার হতে মুক্ত হয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে লকডাউনে ভার্চুয়ালি চলছে আদালতের কার্যক্রম

Update Time : ০৪:১৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক:
দেশে আইনের শাসন ও জনগণের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার্থে করোনা সংক্রমণে ভয়াবহ অতিমারি মোকাবেলায় দেশব্যাপী লকডাউনের মধ্যেও সুপ্রিমকোর্ট ও অধস্তন আদালতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইবুনালসমূহে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন/জরুরী বিষয়সমূহ শুনানি এবং নিষ্পত্তি করা হচ্ছে।

ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আদালতে বিচারকার্য পরিচালনা ও দায়িত্ব পালনের সময় এ পর্যন্ত সুপ্রিমকোর্টের ২১ জন বিচারপতি, অধস্তন আদালতের ২৩১ জন বিচারক, সুপ্রিমকোর্টের ২০০ জন কর্মচারী এবং অধস্তন আদালতের ৪৫৮ জন কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

সুপ্রিমকোর্টের মুখপত্র ও বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সারাদেশ’কে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে অধস্তন আদালতের জেলা জজ পদমর্যাদার ১ জন বিচারক এবং ৬ জন কর্মচারী মৃত্যুবরণ করেছেন। এছাড়া সারাদেশে অসংখ্য আইনজীবী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আইনজীবী মৃত্যুবরণ করেছেন।

সুপ্রিমকোর্ট মুখপাত্র বলেন,
প্রধান বিচারপতির আদেশে বিগত ২৭ এপ্রিল থেকে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের ফটো-সার্টিফাইড কপি অতি স্বল্প সময়ে প্রদান করা হচ্ছে । ফলে মামলার পক্ষগণ অতি সহজে তা সংগ্রহ করে উচ্চতর আদালতে দাখিল করতে পারছেন। এই চরম দুঃসময়ে বিচারক, আইনজীবী এবং আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ জীবন বাজী রেখে তাঁদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছেন। অধস্তন আদালত থেকে সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে অতিমারি মোকাবেলার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে ন্যায়বিচার প্রাপ্তির দ্বার উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

এ পর্যন্ত মোট দুই দফায় সারাদেশে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে ২১০৪৪৮ টি ফৌজদারি মামলায় জামিনের আবেদন ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়েছে এবং মোট ১,০৬,০৭৯ জন হাজতী অভিযুক্ত ব্যক্তি জামিন প্রাপ্ত হয়ে কারাগার হতে মুক্ত হয়েছেন।