খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় বিদেশ নেয়া বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত অমানবিক : খন্দকার মাহবুব হোসেন
- Update Time : ০৩:১৯:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মে ২০২১
- / ১ Time View
বিশেষ প্রতিনিধি :
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার কোথাও লেখা নেই যে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে পারবে না। বরং সরকার ইচ্ছা করলে নির্বাহী আদেশে এমন ক্ষমতা দেয়া হয়েছে যে সরকার নির্বাহী আদেশে যেকোনো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সাজা মওকুফ করতে পারে।
শর্তহীনভাবে বা শর্ত দিয়ে যেকোনো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে মুক্তি দিতে পারে। এক্ষেত্রে সরকার যদি শর্ত দিত যে তিনি বিদেশে যাবেন এবং চিকিৎসা শেষে দেশে চলে আসতে হবে। এছাড়া আইনে এমন কোনো বিধান নেই যে কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি চিকিসার জন্য বিদেশে যেতে পারবেন না।
আজ রোববার গণমাধ্যমে দেয়া এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে দেশের বিশিষ্ট আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন এসব কথা বলেন ।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, এক্ষেত্রে সুপ্রিমকোর্টে ডিসিশন আছে। দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিদেশে যেতে পারেন। অতীতে সাত বছরের সাজা মামলায় রহমত সাহেবকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা অত্যন্ত অমানবিক। এবং সরকারকে এই দায়ভার নেয়া উচিৎ হবে না। কেন না যদি কোনো অঘটন ঘটে তা হলে তার সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব সরকারকে বহন করতে হবে। তিনি বলেন, সরকারকে মনে রাখতে হবে, আইনকে শুধু কঠোর না মানবিকভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে। ফৌজদারি কার্যবিধি বা দণ্ডবিধিতে বিশেষ কোনো কারণ নেই যে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না দেয়াটা সম্পূর্ণ অমানবিক।
তিনি বলেন, আমি আবারো বলছি, এর দায় দায়িত্ব সরকারের গ্রহণ করা ঠিক হবে না। যদি চিকিৎসার অভাবে কোনো অঘটন ঘটে তার সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব সরকারকে বহন করতে হবে। জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
উল্লেখ, রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে মতামতের জন্য পাঠায়। আইন মন্ত্রণালয় দন্ডিত হওয়ায় খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা বিষয়ে আইন সূযোগ নেই বলে মত দেয়। বিষয়টি নিয়ে এখন বিভিন্ন মহলে প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এসএম//