Dhaka ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিইউজে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান

করোনা পরিস্থিতিতে পশ্চিম বঙ্গের বাকী চার দফা ভোট দিয়ে কাল কমিশনে বৈঠক

  • Update Time : ১২:২৯:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল ২০২১
  • / ১৬ Time View

পশ্চিমবঙ্গ ব্যুরো :
ভারতে বাঙালি অধ্যুষিত রাজ্য পশ্চিম বঙ্গে ভোট চলছে। রাজ্য সরকার নির্বাচনে আট দফা ভোটের চার দফা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।

বাকি ৪ দফার ভোটপর্ব নিয়ে শুক্রবার সর্বদল বৈঠক কমিশনে, আলোচনা হতে পারে বাকী চার দফার ভোট এক দিনেই ভোট নিয়ে।

দেশটিতে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্দ্ধমুখী। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের চার দফা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে রাজ্যবাসীর। কারণ এখনও চার দফা ভোট বাকি। তাই পরিস্থিতি বিবেচনা করে শুক্রবার বেদী ভবনে এক সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দেয়া হয়েছে। সেই বৈঠকে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের কাছে বাকি ভোটপর্ব প্রসঙ্গে মতামত জানতে চাওয়া হতে পারে।

বাংলার শাসকদল বৈঠকে কী প্রস্তাব দিতে চলেছে, তার ইঙ্গিত নেটমাধ্যমে ইতিমধ্যে দিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘অতিমারির মধ্যে কমিশনের ৮ দফা ভোট করার সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছি। বর্তমানে যে ভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে আমি কমিশনকে অনুরোধ করছি, বাকি দফার ভোট এক দিনেই সারা হোক। এর ফলে কোভিড সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে পারবেন মানুষ’।

জানা গেছে, বামফ্রন্টের পক্ষে এই বৈঠকে যোগ দেবেন সিপিএম নেতা রবীন দেব। কমিশনে বামফ্রন্টের প্রস্তাব প্রসঙ্গে বিমান বলেছেন, এখন আর ভোট এগিয়ে পিছিয়ে আনা সম্ভব নয়। কারণ সে ক্ষেত্রে প্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। তাই আমাদের প্রস্তাব থাকবে যত বেশি সতর্কতা অবলম্বন করে ভোট প্রক্রিয়া পরিচালনা করা যায়। এবিষয়ে কংগ্রেস ও আইএসএফ নেতৃত্বের সঙ্গেও আলোচনা করবে বামেরা।

কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলব এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য বিশেষজ্ঞদের অনুমতি নিতে। বিশেষজ্ঞদের অনুমতি নিয়ে কমিশন যে পথে নির্বাচন পরিচালনা করবে, তা আমরা সমর্থন করব।

অন্য দিকে বিজেপি-র পক্ষে সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের সব সিদ্ধান্ত মেনে চলব। তবে দলের পক্ষ থেকে প্রস্তাব সরাসরি কমিশনেই জানানো হবে।

এবারের নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে বলে মাঠ পর্যায়ে জরিপে আভাস। বর্তমান ক্ষমতাসীন মমতার তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে হচ্ছে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই। সিপিএম-কংগ্রেস জোটও হতে পারে ফ্যাক্টর। তবে জনরায় কি হতে চলেছে তা জানা যাবে আগামী ২ মে।

তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তার দাবী কমিশন ভারতের কেন্দ্রীয় ক্ষমতাসীন দল বিজেপিকে সুবিধা দিচ্ছেন। এরই মধ্যে কমিশন মমতাকে শোকজ করেছে। শোকজের জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে মমতাকে নির্বাচনী প্রচার থেকে ২৪ ঘন্টা বিরতও রাখা হয়েছে। যদিও মমতা এরও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

ডিএএম//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

করোনা পরিস্থিতিতে পশ্চিম বঙ্গের বাকী চার দফা ভোট দিয়ে কাল কমিশনে বৈঠক

Update Time : ১২:২৯:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল ২০২১

পশ্চিমবঙ্গ ব্যুরো :
ভারতে বাঙালি অধ্যুষিত রাজ্য পশ্চিম বঙ্গে ভোট চলছে। রাজ্য সরকার নির্বাচনে আট দফা ভোটের চার দফা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।

বাকি ৪ দফার ভোটপর্ব নিয়ে শুক্রবার সর্বদল বৈঠক কমিশনে, আলোচনা হতে পারে বাকী চার দফার ভোট এক দিনেই ভোট নিয়ে।

দেশটিতে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্দ্ধমুখী। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের চার দফা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে রাজ্যবাসীর। কারণ এখনও চার দফা ভোট বাকি। তাই পরিস্থিতি বিবেচনা করে শুক্রবার বেদী ভবনে এক সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দেয়া হয়েছে। সেই বৈঠকে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের কাছে বাকি ভোটপর্ব প্রসঙ্গে মতামত জানতে চাওয়া হতে পারে।

বাংলার শাসকদল বৈঠকে কী প্রস্তাব দিতে চলেছে, তার ইঙ্গিত নেটমাধ্যমে ইতিমধ্যে দিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘অতিমারির মধ্যে কমিশনের ৮ দফা ভোট করার সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছি। বর্তমানে যে ভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে আমি কমিশনকে অনুরোধ করছি, বাকি দফার ভোট এক দিনেই সারা হোক। এর ফলে কোভিড সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে পারবেন মানুষ’।

জানা গেছে, বামফ্রন্টের পক্ষে এই বৈঠকে যোগ দেবেন সিপিএম নেতা রবীন দেব। কমিশনে বামফ্রন্টের প্রস্তাব প্রসঙ্গে বিমান বলেছেন, এখন আর ভোট এগিয়ে পিছিয়ে আনা সম্ভব নয়। কারণ সে ক্ষেত্রে প্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। তাই আমাদের প্রস্তাব থাকবে যত বেশি সতর্কতা অবলম্বন করে ভোট প্রক্রিয়া পরিচালনা করা যায়। এবিষয়ে কংগ্রেস ও আইএসএফ নেতৃত্বের সঙ্গেও আলোচনা করবে বামেরা।

কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলব এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য বিশেষজ্ঞদের অনুমতি নিতে। বিশেষজ্ঞদের অনুমতি নিয়ে কমিশন যে পথে নির্বাচন পরিচালনা করবে, তা আমরা সমর্থন করব।

অন্য দিকে বিজেপি-র পক্ষে সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের সব সিদ্ধান্ত মেনে চলব। তবে দলের পক্ষ থেকে প্রস্তাব সরাসরি কমিশনেই জানানো হবে।

এবারের নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে বলে মাঠ পর্যায়ে জরিপে আভাস। বর্তমান ক্ষমতাসীন মমতার তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে হচ্ছে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই। সিপিএম-কংগ্রেস জোটও হতে পারে ফ্যাক্টর। তবে জনরায় কি হতে চলেছে তা জানা যাবে আগামী ২ মে।

তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তার দাবী কমিশন ভারতের কেন্দ্রীয় ক্ষমতাসীন দল বিজেপিকে সুবিধা দিচ্ছেন। এরই মধ্যে কমিশন মমতাকে শোকজ করেছে। শোকজের জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে মমতাকে নির্বাচনী প্রচার থেকে ২৪ ঘন্টা বিরতও রাখা হয়েছে। যদিও মমতা এরও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

ডিএএম//