Dhaka ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল

করোনা পরিস্থিতিতে আদালত বন্ধ বা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান বিচারপতি

  • Update Time : ০২:৩৮:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১
  • / ২ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে আদালত বন্ধ বা খোলা রাখা হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন প্রধান বিচারপতি।

আনিসুল হক বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আশা করবো তিনি আদালত বন্ধ বা খোলা রাখার বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন।

আজ বৃহস্পতিবার ১৫ এপ্রিল সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে সমিতির নব নির্বাচিত সভাপতি ও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরুর জানাজা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন একনিষ্ঠ অনুসারি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি তাঁর অগাধ বিশ্বাস ছিল। তিনি একজন মেধাবী এবং অত্যন্ত প্রজ্ঞাবান আইনজীবী ছিলেন। তার মৃত্যুতে আইন অঙ্গণে একটা বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। জানি না এই শূন্যতা পূরণ হবে কিনা। আইনমন্ত্রী বলেন, আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে তিনি অত্যন্ত মর্মাহত। তিনি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, আবদুল মতিন খসরু ছাত্রলীগ করার সময় থেকে তাকে তিনি চিনতেন। সিনিয়র আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি পাঁচবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৯৬ সালে প্রথমে তিনি আইন প্রতিমন্ত্রী হন। এর ছয় মাস পর তিনি পূর্ণমন্ত্রী হন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি তাঁকে স্নেহ করতেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সময় তিনি তখন মন্ত্রী ছিলেন, কাজ শেষ করে তিনি সন্ধ্যাবেলা আসতেন, আমাদের কাজ শেষ হলে তিনি বাড়ি ফিরতেন। ১৯৯৬ সালে ইনডেমনিটি আইন বাতিলের সময় তিনি যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তা আজও স্মরণীয়। সেদিন তাঁর বক্তব্যে দেশের মানুষ কেঁদেছে।

আবদুল মতিন খসরু গত ১৫ মার্চ সংসদ সচিবালয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা জমা দেন। ১৬ মার্চ সকালে তার রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। ওইদিনই তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি। পরে বুধবার বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ডিএ//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

করোনা পরিস্থিতিতে আদালত বন্ধ বা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান বিচারপতি

Update Time : ০২:৩৮:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে আদালত বন্ধ বা খোলা রাখা হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন প্রধান বিচারপতি।

আনিসুল হক বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আশা করবো তিনি আদালত বন্ধ বা খোলা রাখার বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন।

আজ বৃহস্পতিবার ১৫ এপ্রিল সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে সমিতির নব নির্বাচিত সভাপতি ও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরুর জানাজা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন একনিষ্ঠ অনুসারি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি তাঁর অগাধ বিশ্বাস ছিল। তিনি একজন মেধাবী এবং অত্যন্ত প্রজ্ঞাবান আইনজীবী ছিলেন। তার মৃত্যুতে আইন অঙ্গণে একটা বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। জানি না এই শূন্যতা পূরণ হবে কিনা। আইনমন্ত্রী বলেন, আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে তিনি অত্যন্ত মর্মাহত। তিনি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, আবদুল মতিন খসরু ছাত্রলীগ করার সময় থেকে তাকে তিনি চিনতেন। সিনিয়র আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি পাঁচবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৯৬ সালে প্রথমে তিনি আইন প্রতিমন্ত্রী হন। এর ছয় মাস পর তিনি পূর্ণমন্ত্রী হন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি তাঁকে স্নেহ করতেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সময় তিনি তখন মন্ত্রী ছিলেন, কাজ শেষ করে তিনি সন্ধ্যাবেলা আসতেন, আমাদের কাজ শেষ হলে তিনি বাড়ি ফিরতেন। ১৯৯৬ সালে ইনডেমনিটি আইন বাতিলের সময় তিনি যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তা আজও স্মরণীয়। সেদিন তাঁর বক্তব্যে দেশের মানুষ কেঁদেছে।

আবদুল মতিন খসরু গত ১৫ মার্চ সংসদ সচিবালয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা জমা দেন। ১৬ মার্চ সকালে তার রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। ওইদিনই তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি। পরে বুধবার বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ডিএ//