Dhaka ০১:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল

চট্রগ্রামে বদলি জেল খাটা সেই মিনুর ঘটনা হাইকোর্টের নজরে

  • Update Time : ০১:০৭:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ মার্চ ২০২১
  • / ৩ Time View

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক : হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তারের হয়ে জেল খাটা মিনুর ঘটনা হাইকোর্টের নজরে আনা হয়েছে।

বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ বিষয়ে মেনশন স্লিপ (মামলার আপিল নম্বর সম্বলিত) দিতে বলেছেন।

বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

আইনজীবী শিশির মনির গনমাধ্যমকে জানান, বিষয়টি নজরে এনে মেনশন স্লিপ দিয়েছি। কাল বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) বিষয়টি শুনানির জন্য আসবে। এর আগে গত ২৪ মার্চ মিনুর বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক শরীফুল আলম ভূঁঞা উপ নথি পাঠিয়েছেন। একটি হত্যা মামলায় আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে। আর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জেল খাটছেন মিনু।

বিষয়টি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান আদালতের নজরে আনেন। গত ২২ মার্চ সকালে অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে পিডব্লিউ মূলে মিনুকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে জবানবন্দি শুনে এ মামলার আপিল উচ্চ আদালতে বিচারাধীন থাকায় মিনুর উপ-নথি ২৩ মার্চ হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশ দেন।
সূত্র জানায়, আদালতে সংরক্ষতি ছবি সম্বলিত নথিপত্র দেখে কুলসুম আক্তার কুলসুমী আর মিনু এক নয় বলে নিশ্চিত হয়েছেন আদালত। যেহেতু ইতোমধ্যে এ মামলার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হয়েছে তাই মামলার উপ-নথি দ্রুত সময়ের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠানো হচ্ছে।

এ মামলায় মিনুর পক্ষে শুনানি করেছেন আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ।

চট্রগ্রামের কোতোয়ালি থানার রহমতগঞ্জে একটি বাসায় ২০০৬ সালের জুলাই মাসে একটি বাসায় মোবাইলে কথা বলার ঘটনা কেন্দ্র করে গার্মেন্টসকর্মী কোহিনূর আক্তারকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। এরপর রহমতগঞ্জে একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পারভিন আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেন গার্মেন্টসকর্মী কুলসুম আক্তার কুলসুমী। এরপর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়। মামলায় পুলিশ দুই বছর তদন্ত শেষে হত্যা করা হয়েছে প্রতিবেদন দিলে হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়।
এরমধ্যে এক বছর তিনমাস জেল খেটে জামিনে মুক্তি পান কুলসুম।

মামলার বিচার শেষে ২০১৭ সালের নভেম্বরে তৎকালীন অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ওই হত্যা মামলায় আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। সাজার পরোয়ানামূলে কুলসুম আক্তার কুলসুমীর বদলি মিনু গত ২০১৮ সালের ১২ জুন কারাগারে যান।

এদিকে গত ১৮ মার্চ চট্রগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান নারী ওয়ার্ড পরিদর্শনকালে মিনু কোনো মামলার আসামি নয় বলে জানতে পারেন। পরে বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হয়।
কারাগারের সংরক্ষিত হাজতি রেজিস্ট্রার অনুসারে আসামি কুলসুম আক্তার গত ২০০৭ সালের ২৬ অক্টোবর কারাগারে আসেন। তিনি কারাগারে প্রায় এক বছর তিন মাস ছিলেন। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ চতুর্থ আদালত ২০০৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জামিন মঞ্জুর করেন। ওই দিন কারাগার থেকে মুক্তি পান কুলসুম আক্তার কুলসুমী।

জেলে থাকা মিনুর ভাই মো. রুবেল গনমাধ্যমকে জানান, ‘গত ২০১৮ সালের রমজান মাসে জাকাতের টাকা ও খাদ্যসামগ্রী দেবে বলে মিনু আপাকে ডেকে নিয়ে যায় আমাদের পাশের মর্জিনা আক্তার নামে এক নারী। এরপর আমার বোন মিনু আক্তার আর বাড়িতে ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুজি করেছি।’

এমডিএ//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

চট্রগ্রামে বদলি জেল খাটা সেই মিনুর ঘটনা হাইকোর্টের নজরে

Update Time : ০১:০৭:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ মার্চ ২০২১

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক : হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তারের হয়ে জেল খাটা মিনুর ঘটনা হাইকোর্টের নজরে আনা হয়েছে।

বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ বিষয়ে মেনশন স্লিপ (মামলার আপিল নম্বর সম্বলিত) দিতে বলেছেন।

বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

আইনজীবী শিশির মনির গনমাধ্যমকে জানান, বিষয়টি নজরে এনে মেনশন স্লিপ দিয়েছি। কাল বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) বিষয়টি শুনানির জন্য আসবে। এর আগে গত ২৪ মার্চ মিনুর বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক শরীফুল আলম ভূঁঞা উপ নথি পাঠিয়েছেন। একটি হত্যা মামলায় আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে। আর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জেল খাটছেন মিনু।

বিষয়টি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান আদালতের নজরে আনেন। গত ২২ মার্চ সকালে অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে পিডব্লিউ মূলে মিনুকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে জবানবন্দি শুনে এ মামলার আপিল উচ্চ আদালতে বিচারাধীন থাকায় মিনুর উপ-নথি ২৩ মার্চ হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশ দেন।
সূত্র জানায়, আদালতে সংরক্ষতি ছবি সম্বলিত নথিপত্র দেখে কুলসুম আক্তার কুলসুমী আর মিনু এক নয় বলে নিশ্চিত হয়েছেন আদালত। যেহেতু ইতোমধ্যে এ মামলার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হয়েছে তাই মামলার উপ-নথি দ্রুত সময়ের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠানো হচ্ছে।

এ মামলায় মিনুর পক্ষে শুনানি করেছেন আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ।

চট্রগ্রামের কোতোয়ালি থানার রহমতগঞ্জে একটি বাসায় ২০০৬ সালের জুলাই মাসে একটি বাসায় মোবাইলে কথা বলার ঘটনা কেন্দ্র করে গার্মেন্টসকর্মী কোহিনূর আক্তারকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। এরপর রহমতগঞ্জে একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পারভিন আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেন গার্মেন্টসকর্মী কুলসুম আক্তার কুলসুমী। এরপর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়। মামলায় পুলিশ দুই বছর তদন্ত শেষে হত্যা করা হয়েছে প্রতিবেদন দিলে হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়।
এরমধ্যে এক বছর তিনমাস জেল খেটে জামিনে মুক্তি পান কুলসুম।

মামলার বিচার শেষে ২০১৭ সালের নভেম্বরে তৎকালীন অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ওই হত্যা মামলায় আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। সাজার পরোয়ানামূলে কুলসুম আক্তার কুলসুমীর বদলি মিনু গত ২০১৮ সালের ১২ জুন কারাগারে যান।

এদিকে গত ১৮ মার্চ চট্রগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান নারী ওয়ার্ড পরিদর্শনকালে মিনু কোনো মামলার আসামি নয় বলে জানতে পারেন। পরে বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হয়।
কারাগারের সংরক্ষিত হাজতি রেজিস্ট্রার অনুসারে আসামি কুলসুম আক্তার গত ২০০৭ সালের ২৬ অক্টোবর কারাগারে আসেন। তিনি কারাগারে প্রায় এক বছর তিন মাস ছিলেন। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ চতুর্থ আদালত ২০০৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জামিন মঞ্জুর করেন। ওই দিন কারাগার থেকে মুক্তি পান কুলসুম আক্তার কুলসুমী।

জেলে থাকা মিনুর ভাই মো. রুবেল গনমাধ্যমকে জানান, ‘গত ২০১৮ সালের রমজান মাসে জাকাতের টাকা ও খাদ্যসামগ্রী দেবে বলে মিনু আপাকে ডেকে নিয়ে যায় আমাদের পাশের মর্জিনা আক্তার নামে এক নারী। এরপর আমার বোন মিনু আক্তার আর বাড়িতে ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুজি করেছি।’

এমডিএ//