নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দু’দিনের ঢাকা সফর সফর শেষে দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় মোদি ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী চার্টার্ড বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। বিমানবন্দরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন তাকে বিদায় জানান।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুক্রবার ঢাকায় আসেন তিনি। সকাল ১০টা ৩২ মিনিটে মোদির নেতৃত্বে আসা ভারতের প্রতিনিধিদল ঢাকায় পৌঁছায়।
বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর শেখ হাসিনা তাকে নিয়ে মঞ্চে ওঠেন। সেখানে মোদিকে লালগালিচা সংবর্ধনা এবং গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
বিমানবন্দর থেকে তিনি সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান। বিকেলে তিনি প্যারেড স্কয়ারের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
শনিবার সকালে হেলিকপ্টারযোগে তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগরে যান। তিনি শ্যামনগরে সাড়ে ৪০০ বছরের পুরনা ঐতিহাসিক যশোরেশ্বরী কালীমন্দির পরিদর্শন ও পূজা-অর্চনা করেন। পরে তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের সাথে মতবিনিময় করেন। সেখান থেকে তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যান। সেখানে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে যান কাশিয়ানীর ওড়াকান্দিতে। সেখানে হরিচাঁদ ঠাকুরের বাড়িতে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে পূজা-অর্চনা শেষে তিনি মতুয়া প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেন।
শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠক করেন। সেখানে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্সের চাবি ও টিকা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এরপর ঢাকা ছাড়ার আগে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মোদি।
এমডিএ//
Leave a Reply