Dhaka ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিইউজে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান

রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সঙ্কটে স্থবির লেবানন

  • Update Time : ০৬:১৮:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মার্চ ২০২১
  • / ১৬ Time View

সারাদেশ ডেস্ক : লেবাননের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব সরকারি দায়িত্ব পালন বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি একটি নতুন সরকার গঠনের জন্য রাজনীতিকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন। অন্যদিকে অর্থনৈতিক সঙ্কট ক্রমশ গ্রাস করছে দেশটিকে। এর প্রতিবাদে রাস্তায় অবরোধ সৃষ্টি করে অব্যাহতভাবে বিক্ষোভ করে যাচ্ছে জনগণ। তারা রাস্তায় টায়ারে, আসবাবপত্রের অংশবিশেষে আগুন দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। শনিবারও বিক্ষোভ হয়েছে দেশটিতে। এতে বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, লেবাননের গর্বকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। গত মঙ্গলবার সেখানে মুদ্রার মান আরো পড়ে যায়।
এক ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার হার দাঁড়ায় ১০,০০০। এমন মুদ্রাস্ফীতির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া জ্বালানির শিপমেন্ট পৌঁছতে বিলম্ব হচ্ছে। ফলে আরো বেশি করে বিদ্যুত উৎপাদনে বিঘœ ঘটছে। এ জন্য লোডশেডিং ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক স্থানে দিনে ১২ ঘন্টারও বেশি বিদ্যুত থাকছে না। এমন অবস্থায় লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ব্যাংকিং এসোসিয়েশনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন ছোট একটি বিক্ষোভকারীর দল। তাদের দাবি, ব্যাংকে জমা তাদের অর্থ উত্তোলনের সুযোগ দিতে হবে। এরপর তারা পার্লামেন্ট ভবন পর্যন্ত হেঁটে যায়। সেখানে হতাশার কথা ব্যক্ত করে। বৈরুতের কেন্দ্রীয় অঞ্চল মার্টারস স্কয়ারে প্রায় ৫০ জনের একটি বিক্ষোভকারী দল টায়ারে আগুন দিয়েছে। একজন বিক্ষোভকারী বলেছেন, প্রতি ডলারের দাম স্থানীয় মুদ্রায় ১০,৫০০ তে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি পরিবারে চার থেকে পাঁচটি সন্তান আছে। পিতামাতার কাঁধে তাদের দায়ভার। এ অবস্থায় জনগণকে খাওয়ানোর দায়িত্ব সরকারের।
লেবাননের সবচেয়ে দরিদ্র শহর ত্রিপোলিতে বিক্ষোভকারীরা বেশ কিছু সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে। একটি বন্দরের কাছে তারা অবস্থান ধর্মঘট পালন করে। সেখান থেকে সব রাজনৈতিক নেতাদের পদত্যাগ আহ্বান করা হয়েছে। এ ছাড়া ত্রিপোলি, মিনেহ এবং আক্কার শহরের মধ্যে সংযোগ সড়কও অবরোধ করেছে তারা। এক্ষেত্রে ব্যবহার করেছে ট্রাক, পানির ট্যাংক, আবর্জনার কন্টেইনার এবং ইটপাটকেল।
লেবাননে আর্থিক সঙ্কট শুরু হয় ২০১৯ সালে। এর ফলে সেখানে ৬০ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই দারিদ্র্যে নিপতিত হয়েছেন। এর কারণ, চাকরি নেই। মানুষের হাতে জমা অর্থ নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের কেনাবেচা কমে গেছে। মানুষ তার সামর্থ অনুযায়ী কেনাকাটা কমিয়ে দিয়েছে। এখন নতুন একটি মন্ত্রীপরিষদ এসে সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে, যাতে আন্তর্জাতিক সহায়তা হিসেবে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সাহায্য পাওয়া যায়।

এসএস//

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সঙ্কটে স্থবির লেবানন

Update Time : ০৬:১৮:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মার্চ ২০২১

সারাদেশ ডেস্ক : লেবাননের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব সরকারি দায়িত্ব পালন বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি একটি নতুন সরকার গঠনের জন্য রাজনীতিকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন। অন্যদিকে অর্থনৈতিক সঙ্কট ক্রমশ গ্রাস করছে দেশটিকে। এর প্রতিবাদে রাস্তায় অবরোধ সৃষ্টি করে অব্যাহতভাবে বিক্ষোভ করে যাচ্ছে জনগণ। তারা রাস্তায় টায়ারে, আসবাবপত্রের অংশবিশেষে আগুন দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। শনিবারও বিক্ষোভ হয়েছে দেশটিতে। এতে বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, লেবাননের গর্বকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। গত মঙ্গলবার সেখানে মুদ্রার মান আরো পড়ে যায়।
এক ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার হার দাঁড়ায় ১০,০০০। এমন মুদ্রাস্ফীতির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া জ্বালানির শিপমেন্ট পৌঁছতে বিলম্ব হচ্ছে। ফলে আরো বেশি করে বিদ্যুত উৎপাদনে বিঘœ ঘটছে। এ জন্য লোডশেডিং ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক স্থানে দিনে ১২ ঘন্টারও বেশি বিদ্যুত থাকছে না। এমন অবস্থায় লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ব্যাংকিং এসোসিয়েশনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন ছোট একটি বিক্ষোভকারীর দল। তাদের দাবি, ব্যাংকে জমা তাদের অর্থ উত্তোলনের সুযোগ দিতে হবে। এরপর তারা পার্লামেন্ট ভবন পর্যন্ত হেঁটে যায়। সেখানে হতাশার কথা ব্যক্ত করে। বৈরুতের কেন্দ্রীয় অঞ্চল মার্টারস স্কয়ারে প্রায় ৫০ জনের একটি বিক্ষোভকারী দল টায়ারে আগুন দিয়েছে। একজন বিক্ষোভকারী বলেছেন, প্রতি ডলারের দাম স্থানীয় মুদ্রায় ১০,৫০০ তে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি পরিবারে চার থেকে পাঁচটি সন্তান আছে। পিতামাতার কাঁধে তাদের দায়ভার। এ অবস্থায় জনগণকে খাওয়ানোর দায়িত্ব সরকারের।
লেবাননের সবচেয়ে দরিদ্র শহর ত্রিপোলিতে বিক্ষোভকারীরা বেশ কিছু সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে। একটি বন্দরের কাছে তারা অবস্থান ধর্মঘট পালন করে। সেখান থেকে সব রাজনৈতিক নেতাদের পদত্যাগ আহ্বান করা হয়েছে। এ ছাড়া ত্রিপোলি, মিনেহ এবং আক্কার শহরের মধ্যে সংযোগ সড়কও অবরোধ করেছে তারা। এক্ষেত্রে ব্যবহার করেছে ট্রাক, পানির ট্যাংক, আবর্জনার কন্টেইনার এবং ইটপাটকেল।
লেবাননে আর্থিক সঙ্কট শুরু হয় ২০১৯ সালে। এর ফলে সেখানে ৬০ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই দারিদ্র্যে নিপতিত হয়েছেন। এর কারণ, চাকরি নেই। মানুষের হাতে জমা অর্থ নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের কেনাবেচা কমে গেছে। মানুষ তার সামর্থ অনুযায়ী কেনাকাটা কমিয়ে দিয়েছে। এখন নতুন একটি মন্ত্রীপরিষদ এসে সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে, যাতে আন্তর্জাতিক সহায়তা হিসেবে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সাহায্য পাওয়া যায়।

এসএস//