প্রেসক্লাবে সংঘর্ষ : হাবিব উন নবী সোহেলসহ বিএনপির ৬ নেতার আগাম জামিন
- Update Time : ০৫:৫৫:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মার্চ ২০২১
- / ২ Time View
সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক : জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ ৬ নেতা-কর্মীকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার ৩ মার্চ বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ তাদের ৪ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন দেন। এই সময়ের মধ্যে তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তিনি আদেশের বিষয়টি গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
রাজধানীর প্রেসক্লাবে বিএনপির ছাত্রদলের সমাবেশে পুলিশ-নেতা কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৮ ফেব্রুয়ারি দিনগত গভীর রাতে পুলিশ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় দলটির ৪৭ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করে। মামলায় এজাহার নামীয় ৪৭ জন নেতা-কর্মী ও অজ্ঞাতনামা ২০০-২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে (পুলিশ অ্যাসল্ট) হত্যাচেষ্টা ও হামলা-ভাঙচুর চালানো।
এর আগে, রোববার ২৮ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিল করার সিদ্ধান্ত এবং কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বিএনপির ছাত্রদল আয়োজিত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। নেতা-কর্মীরা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন। এতে পুলিশ সদস্যরা বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার শেল ছোড়ে পুলিশ। বিক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাবের পাশের অস্থায়ী পুলিশ বক্সের জানালা ভাঙচুর করেন।
এ ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সমাবেশে করতে একত্রিত হয়। এ সমাবেশের পূর্বানুমতি নেই বলে বাধা দেয় পুলিশ। হাবিব উন নবী খান সোহেল এ সময় ১ ঘন্টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করবেন এবং সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটবে বলে পুলিশকে আশ্বস্ত করতে কথা বলছিলেন, এরই মধ্যে পুলিশ অতর্কিতভাবে বেধড়ক লাঠি পেটা শুরু করে। এ থেকে রক্ষা পেতে নেতা-কর্মীরা প্রেসক্লাবে ঢুকে পড়ে সেখানেও পুলিশ ঢুকে পড়ে।
নেতা-কর্মীদের কেউ কেউ পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল ছুঁড়ে, এতে কয়েকজন পুলিশ আহত হন। পুলিশের লাঠি আঘাতে বহু নেতা-কর্মী আহত হন। কয়েকজনকে আহত আবস্থায়ই আটক করে পুলিশ। মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলও পুলিশের মার থেকে রেহাই পাননি।
এসএস//