১২ ফেব্রুয়ারি আবদুল মতিন খসরুর জন্মদিন
- Update Time : ০৭:৩৪:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ১ Time View
দিদারুল আলম: আব্দুল মতিন খসরু একজন জননেতা ও সফল রাজনীতিবিদ।
তৃণমূল থেকে রাষ্ট্রের শীর্ষে পৌঁছা দেশের অন্যতম রাজনীতিবিদ তিনি। আজ ১২ ফেব্রুয়ারি তার জন্মদিন।
আব্দুল মতিন খসরু ১৯৫০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মিরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মোঃ আবদুল মালেক এবং মাতা জাহানারা বেগম। তারা চার ভাই ও এক বোন৷ আব্দুল মতিন খসরু ব্যক্তিজীবনে এক ছেলে এক মেয়ের জনক।
বর্ণাঢ্য কর্মময় ও রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী আবদুল মতিন খসরু পাঁচ বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, সফল সাবেক আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী ফোরাম ‘প্রেসিডিয়াম সদস্য’।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সম্মুখ সমরে অংশ নেয়া ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা‘ তিনি।
ছাত্রাবস্তায় দেশের সমৃদ্ধ জনপদ কুমিল্লায় ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতি ও সমাজ সেবায় জড়িয়ে পড়েন। ছিলেন ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লা আইন কলেজের ভিপি। শৈশব থেকে এখন পর্যন্ত তিনি দেশ ও মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। আওয়ামী লীগের ক্রান্তিকাল থেকে এ পর্যন্ত দলকে সংগঠিত রাখতে তৃণমূলে নিরলসভাবে অবদান রেখে চলেছেন তিনি।
তরুণ বয়সেই কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) এলাকায় জনসাধারণের সুখে দুখে একজন নির্ভরযোগ্য সমাজকর্মী ও রাজনীতিবিদ হিসেবে আস্থা অর্জন করেন তিনি। ১৯৮৬ সালে তরুণ আবদুল মতিন খসরু আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করে জনগণের বিপুল সারা পান। ১৯৯১ সালে সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ থেকে তিনি একাই সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৯৬ সালে দ্বিতীয় বারের মতো তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তখন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথমে আইন প্রতিমন্ত্রী হন। তার দক্ষতা ও যোগ্যতার কারণে সরকার প্রধান শেখ হাসিনা তাকে পূর্ণ মন্ত্রী করেন। দেশের একজন সফল আইনমন্ত্রী হিসেবে তিনি সমাদৃত। ২০০৮ সাল থেকে তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে টানা নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবেও তিনি সমাদৃত।
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যা মামলার বিচার রোধে বাধা ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ বাতিল করে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকান্ডের বিচারের পথ সুগম করা আবদুল মতিন খসরু আইন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী থাকাকালীন নিশ্চিত হয়েছে।
কালো ‘ইনডেমনিটি’ বাতিলে সংসদে আবদুল মতিন খসরুর দেয়া বক্তব্যে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষকে অশ্রুশিক্ত করেছিল। এটি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে অন্যতম সেরা ভাষণ।
আবদুল মতিন খসরু পেশায় আইনজীবী। বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র ও দেশের বিশিষ্ট আইনজীবী। সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় তিনি অন্যতম আইনজীবী ছিলেন। এছাড়াও আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল-এ সারা দেশের আইনজীবীদের সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন আবদুল মতিন খসরু।
বর্তমানে তিনি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
গণমূখী চরিত্রের জনপ্রিয় এ রাজনীতিবিদ জাতীর বীর সন্তানের জন্মদিনে সারাদেশ.নেট পরিবারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও স্যালুট। তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।
ডিএ//