লাইফস্টাইল ডেস্ক : ডালিম মূলত রোগীদের জন্য উপকারী ফল হিসেবে সব থেকে বেশি জনপ্রিয়। অনেকে আবার ডালিমকে স্বর্গীয় ফল হিসেবেও ডাকেন। কারণ এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের জাদুকরী গুনাগুণ। ডালিম বা বেদানা যাই বলি না কেনো, ফলটা আমরা প্রায়ই খেয়ে থাকি। কিন্তু এ ফলের যে কতো উপকারিতা রয়েছে তা বেশিরভাগ মানুষেরই অজানা।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ডালিম বা বেদানায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা আমাদের পেশির শক্তি বাড়ায়। এতে উপস্থিত উপাদান আমাদের চেহারায় বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। একটু বয়স হলেই চেহারায় বয়সের ছাপ পড়তে দেখা যায়। নারীদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটা খুব বেশি দেখা যায়। তাই বলা বাহুল্য নারীদের ক্ষেত্রে ডালিম খুবই উপকারী একটি ফল।
ডালিমের রসে উরোলিথিন নামক একটি অণু থাকে। এই অণুই মূলত আমাদের পেশিকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। যার ফলে পেশি বৃদ্ধি পায়। পেশি বৃদ্ধির ফলে তা আমাদের শরীরে বয়সের ছাপ ফেলতে দেয় না।
যে ফল খেলে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে না
আমাদের দেশ ছাড়াও সারা বিশ্বে ডালিম বা বেদানা ফল মোটামুটি সারা বছর পাওয়া যায় । এই ফলটি পাকা অবস্থায় দেখতে লাল রঙের হয়। ডালিমের খোসা অনেক বেশি শক্ত এবং এর ভেতরে স্ফটিকের মতো লাল রঙের দানা গুলোকে খেতে হয়। এছাড়াও ডালিম গাছের পাতা, ছাল, মূল, মূলের ছাল সবই ওষুধী হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ধারণা করা হয়, ডালিমের আদি নিবাস ইরান এবং ইরাক। ডালিম কাঁচা অবস্থায় দেখতে সবুজ এবং পাকলে হলুদ অথবা লাল বর্ণের হয়। ফলটি অনেক মোটা ও শক্ত খোসা দিয়ে আবৃত থাকে তবে ফলটির ভেতরের দানা গুলো একটি পাতলা ও মসৃণ আবরণে আবৃত থাকে। পাকা ফলে বীজ গোলাপি ও সাদা হয়। ডালিম ফলের মোট ওজনের বেশিরভাগ অংশই খোসা ও বীজ। ডালিম গাছ থেকে সারা বছর ফল পাওয়া যায়। তবে তার জন্য প্রয়োজন নিয়মিত পরিচর্যার।
এসএস//
Leave a Reply