ক্ষুব্ধ বিএনপি নেতা-কর্মীগণ
কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতার মনোনয়ন পত্রে প্রস্তাবক সমর্থক আওয়ামীলীগ নেতা !

- Update Time : ০৯:০৪:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
- / ৪ Time View
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘারপাড়া:
একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে দাতা সদস্যের পদে মনোনয় পত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা যশোর-৪ আসনের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি টিএস আইয়ুব হোসেন। তার এ মনোয়ন পত্রে প্রস্তাবক ও সমর্থক হয়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের বাঘারপাড়ার দুই র্শীষ নেতা। বিষয়টি নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
বাঘারপাড়া ডিগ্রী কলেজের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে গঠিত কমিশনের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করা শর্তে সারাদেশডটনেট-কে বলেন, বাঘারপাড়া ডিগ্রী কলেজের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন উপলক্ষে তফসিল ঘোষনা হয়েছে। তিনজন অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচনের জন্য গত ১ জুন তফসীল ঘোষনা হয়। এ পদে ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ জুলাই। প্রতিষ্ঠাতা, দাতা ও হিতৈষী সদস্য পদে নির্বাচনের জন্য তফসিল তফসিল ঘোষনা হয় ১৫ জুন। এ তিনটি পদে ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৫ জুলাই। বাঘারপাড়া ডিগ্রী কলেজের দাতা সদস্যের মোট সংখ্যা পাঁচজন।
গত ২২ জুন দাতা সদস্যের পদে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন যশোর-৪ আসনের বিএনপি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি টিএস আইয়ুব হোসেন। তার মনোনয়ন পত্রে প্রস্তাবকের নাম লেখেন আব্দুর রউফের। আর সমর্থকের নাম লেখেন আবু মোতালেবের। গত ২৩ জুন এ মনোনয় পত্র কলেজে জমা দেওয়ার পর থেকেই খোদ কলেজের শিক্ষক কর্মচারিরাই বিষয়টি নিয়ে হতবাক হয়েছেন। কেননা বিএনপি নেতার মনোনয়ন পত্রে বাঘারপাড়া উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি, বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ ও ইউপি চেয়ারম্যান আওযামীলীগ নেতা মোতালেব প্রস্তাবক ও সমর্থক। এটিই প্রমান করে টিএস আইয়ুব স্থানীয় আওয়ামী লীগকে সেল্টার দিচ্ছেন।
বিগত ১৫ বছর যারা এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের নির্যাতন করেছেন, তারা বর্তমান বাস্তবতায় বিএনপি নেতা টিএস আইয়ুবের ছত্রছায়ায় বলে দাবী করেন ওই সদস্য।
অপর তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, আবু মোতালেব তরফদার সমর্থকের স্বাক্ষর করলেও আব্দুর রউফ প্রস্তাবের স্বাক্ষর করেননি। আব্দুর রউফের স্বাক্ষর ছাড়াই মনোনয়ন পত্র জমা হয়েছে।
কমিশনের ওই সদস্য আরও বলেন, দাতা সদস্যের মনোনয়ন পত্রে প্রস্তাবক ও সমর্থক দাতাদের হতে হবে এমনটা না। কোন অভিভাবক অথবা কোন শিক্ষার্থীও যদি প্রস্তাবক, সমর্থক হতেন তাতেও কোন সমস্যা ছিলো না। টিএস আইয়ুবের এরূপ কর্মকান্ডে বিএনপির অগনিত নেতা-কর্মী ক্ষুদ্ধ ও কষ্ট পেয়েছেন।
বিষয়টি ২৩ জুন বিকাল থেকে বিএনপি দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ জানার পরে নানা সমালোচনা শুরু করেছেন। নাম না প্রকাশে এক বিএনপি নেতা জানিয়েছেন, ৫ আগষ্টের পর টিএস আইয়ুব নানাভাবে আওয়ামীলীগের লোকজন পূর্নবাসন করছেন। নিয়মটা যদি এমন থাকতো যে, প্রস্তাবক ও সমর্থক দাতা সদস্যেদেরই হতে হবে, তাহলে বিষয়টি অন্য রকম হত। যেহেতু অপশন ছিলো শিক্ষার্থীরা হলেও হবে। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি হাস্যকর হয়ে দাড়িয়েছে। টিএস আইয়ুব যে আওয়ামীলীগ পূনর্বাসন করছেন, বিষয়টি তিনিই প্রমাণ করলেন।
এসএমএ/ডিএএম//