Dhaka ০১:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যাক্তিদের একটি তালিকা তদন্ত কমিশনে পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন

  • Update Time : ০৮:১৬:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১ Time View

সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদক:
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোরপূর্বক গুম হওয়া ৬৪ জনের একটি তালিকা কমিশনে পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংস্থা সদস্যদের দ্বারা ‘জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের নিমিত্তে’ গঠিত তদন্ত কমিশনে আজ এ তালিকা পাঠানো হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা তালিকাটি কমিশন বরাবর পাঠিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো: শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, বিভিন্ন সময়ে আইন শৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনগণ ‘গুম পরিবারের সদস্য’ এর ব্যানারে গত ২৮ আগস্ট প্রধান বিচারপতির নিকট একটি স্মারকলিপি প্রদানের জন্য আসেন। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সেই স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন। ওই স্মারকলিপিতে গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের স্বজন ও তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দের আর্থিক ও মানসিক দুর্দশার বিবরণের পাশাপাশি গুমের অপরাধ সংঘটনকারী ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণ, গুমের শিকার পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণের নির্দেশ প্রদান, সরকারী খরচে মামলা পরিচালনার সুযোগ প্রদান ও গুম হওয়া ব্যক্তির সন্ধান না পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সম্পত্তি বিক্রয় বা হস্তান্তরের নিমিত্ত বিশেষ সনদ প্রদানসহ আট টি বিষয়ে প্রধান বিচারপতির সহযোগিতা কামনা করা হয়। গুম হওয়া ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের প্রধান সমন্বয়ক আলহাজ্ব মো: বেল্লাল হোসেন স্বাক্ষরিত এই স্মারকলিপিতে বিভিন্ন সময়ে গুম হওয়া মোট ৬৪ জন ব্যক্তির ছবি ও নাম, ঠিকানা সম্বলিত একটি তালিকা দেয়া হয়। সেই তালিকাটি এসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনে পাঠানো হয়েছে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংস্থা সদস্যদের দ্বারা ‘জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের নিমিত্তে’ সরকার গত ২৭ আগস্ট একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে। হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত এই কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন।
এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা শাখা, আনসার ব্যাটালিয়ন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), কোস্টগার্ডসহ দেশের আইন প্রয়োগ ও বলবৎকারী কোনো সংস্থার কোনো সদস্য কর্তৃক জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের নিমিত্তে এই তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। যেখানে এই কমিশনকে তদন্ত শেষ করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে ৪৫ কার্যদিবস সময় দেয়া হয়।

ডিএএম/এসএম//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যাক্তিদের একটি তালিকা তদন্ত কমিশনে পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন

Update Time : ০৮:১৬:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদক:
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোরপূর্বক গুম হওয়া ৬৪ জনের একটি তালিকা কমিশনে পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংস্থা সদস্যদের দ্বারা ‘জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের নিমিত্তে’ গঠিত তদন্ত কমিশনে আজ এ তালিকা পাঠানো হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা তালিকাটি কমিশন বরাবর পাঠিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো: শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, বিভিন্ন সময়ে আইন শৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনগণ ‘গুম পরিবারের সদস্য’ এর ব্যানারে গত ২৮ আগস্ট প্রধান বিচারপতির নিকট একটি স্মারকলিপি প্রদানের জন্য আসেন। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সেই স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন। ওই স্মারকলিপিতে গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের স্বজন ও তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দের আর্থিক ও মানসিক দুর্দশার বিবরণের পাশাপাশি গুমের অপরাধ সংঘটনকারী ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণ, গুমের শিকার পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণের নির্দেশ প্রদান, সরকারী খরচে মামলা পরিচালনার সুযোগ প্রদান ও গুম হওয়া ব্যক্তির সন্ধান না পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সম্পত্তি বিক্রয় বা হস্তান্তরের নিমিত্ত বিশেষ সনদ প্রদানসহ আট টি বিষয়ে প্রধান বিচারপতির সহযোগিতা কামনা করা হয়। গুম হওয়া ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের প্রধান সমন্বয়ক আলহাজ্ব মো: বেল্লাল হোসেন স্বাক্ষরিত এই স্মারকলিপিতে বিভিন্ন সময়ে গুম হওয়া মোট ৬৪ জন ব্যক্তির ছবি ও নাম, ঠিকানা সম্বলিত একটি তালিকা দেয়া হয়। সেই তালিকাটি এসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনে পাঠানো হয়েছে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংস্থা সদস্যদের দ্বারা ‘জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের নিমিত্তে’ সরকার গত ২৭ আগস্ট একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে। হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত এই কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন।
এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা শাখা, আনসার ব্যাটালিয়ন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), কোস্টগার্ডসহ দেশের আইন প্রয়োগ ও বলবৎকারী কোনো সংস্থার কোনো সদস্য কর্তৃক জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের নিমিত্তে এই তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। যেখানে এই কমিশনকে তদন্ত শেষ করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে ৪৫ কার্যদিবস সময় দেয়া হয়।

ডিএএম/এসএম//