দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশে ইতালির ভাষার উপর লেভেল-১ সার্টিফিকেট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
- Update Time : ০৫:৫৩:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪
- / ১ Time View
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশে ‘ইতালিয়ান ভাষার’ ওপর লেভেল-এ ১ সার্টিফিকেট পরীক্ষা অনুষ্টিত হয়েছে।
ইতালবাংলা গ্রীনল্যান্ড এইচআরডি লিমিটেড কর্তৃক পরিচালিত ‘ইতালিয়ান ভাষা শিক্ষা কেন্দ্রে’ এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর মগবাজারে শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়কে ‘গ্রীনল্যান্ড সেন্টারে’ এই পরীক্ষা অনুষ্টিত হয়।
FORMAT-ITALBANGLA-EDSB-GREENLAND এর যৌথ ব্যবস্থাপনায় ইতালবাংলা ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউটের অধীনে দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশে University SIENA এর CILS এর অধীনে Level A1 সার্টিফিকেট পরীক্ষা ৫ জুন অনুষ্টিত হয়।
এর আগে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ‘ইতালীয় ভাষার ওপর গত ১ মার্চ পরীক্ষা উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত অ্যান্টোনিও আলেসান্দ্রো। ৫ জুন বুধবার দ্বিতীয়বারের মতো এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্টিত পরীক্ষায় ৪৫ জন, দ্বিতীয় বার অনুষ্টিত পরীক্ষায় ১৪ জন পরীক্ষায় অংশ নেন। আগামী ১৮ জুলাই মাসে শতাধিক শিক্ষার্থীর পরীক্ষা অনুষ্টিত হবে।
রাষ্ট্রদূত অ্যান্টোনিও আলেসান্দ্রো বলেন, দুই দেশের সংস্কৃতি বিনিময়ে পারস্পারিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও শ্রমবাজার সম্প্রসারণে এই কার্যক্রম.’মাইলফলক’ হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রদূত বলেন, যারা বৈধভাবে ইতালিতে যেতে চান তাদের জন্য ভাষা শিক্ষার এ কার্যক্রম খুবই উপকারী হবে। এতে করে বাংলাদেশের মানুষদের জন্য ইতালি গমন এবং সেখানকার শ্রমবাজারে প্রবেশ সহজতর হবে।
ইতালবাংলা গ্রীনল্যান্ড এইচআরডি লিমিটেড পরিচালিত ভাষা শিক্ষা ও দক্ষতা বৃদ্বির এই কার্যক্রমের সার্বিক সমন্বয় করছেন প্রতিষ্ঠানটির ‘নির্বাহী পরিচালক শাহ মোহাম্মদ তাইফুর রহমান ছোটন’।
শাহ মোহাম্মদ তাইফুর রহমান ছোটন বলেন, ইতালীয় ভাষা শিক্ষা গ্রহণ করে বাংলাদেশ থেকে সহজে গমন করতে এই পদক্ষেপ ‘মাইলফলক’ হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, ওয়ার্ক ভিসা, ফ্যামিলি স্টুডেন্ট ভিসা যেভাবে ইতালিতে যাক না কেন প্রতিটি বাংলাদেশীর উচিত সেই দেশের ভাষা শিখে ও একটি কারিগারি দক্ষতা নিয়ে সেখানে যাওয়া। ভাষা ও কারিগরি দক্ষতার অভাবে সেখানে গিয়ে অনেককে জটিলতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে ইতালবাংলা গ্রীনল্যান্ড এইচআরডি লিমিটেড ভাষা ও কারিগরি দক্ষতার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগে ইতালি এবং বাংলাদেশের একটি দক্ষ টিম কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
শাহ মোহাম্মদ তাইফুর রহমান ছোটন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে ইতালি হচ্ছে বাংলাদেশীদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় শ্রমবাজার। দীর্ঘ আট বছর বন্ধ থাকার পরে ২০২০ সাল হতে ইতালি বাংলাদেশের কর্মীদের ওয়ার্ক পারমিট প্রদান শুরু করেছে। বিভিন্ন মাধ্যমে সেখানে গিয়ে ভাষা এবং কারিগরি দক্ষতার অভাবে নানা জটিলতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। কর্মহীন থেকে হতাশায় আত্মহত্যার মতো ঘটনাও সেখানে ঘটেছে। ইটাতিতে ৫ লক্ষ মানুষের জন্য শ্রমবাজার রয়েছে। এই শ্রমবাজারে বাংলাদেশীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে দরকার ভাষাগত ও কারিগরি দক্ষতা। সেই লক্ষ্য পূরণে আমরা কাজ করছি।
ডিএএম/কেকে//