কলকাতা প্রতিনিধি:
নেত্রী মমতা ব্যানার্জী ও দলের সেনাপতি ভাইপো রাহুলের জুটিতে বাংলা সবুজই প্রাধ্যান্য পেল।
সকল জল্পনা-কল্পনা জরিপ এখন শুধুই ভূতের গল্পের মতো। বিজয় তৃণমূলের বিজয় বাংলার। ফের প্রতিষ্ঠিত অভিষেকের নেতৃত্ব, শুভেন্দুকে পর্যুদস্ত করলেন তৃণমূল সেনাপতি, ধূলোয় মিলিয়ে দিলেন সব ভবিষ্যদ্বাণী।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোট থেকেই অভিষেক সংগঠনে বিশেষ ভূমিকা নেয়া শুরু করেছিলেন। যদিও তখন তাঁর পাশে ছিলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু এ বার তিনি নেই। তিনি যা বলেছিলেন, হুবহু সেটাই মিলল। বুথফেরত সমীক্ষা যখন দেখিয়েছিল, বাংলায় তৃণমূলের ‘ভরাডুবি’ হতে চলেছে, তখন দলের প্রার্থী, জেলা সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক করে তিনিই বলেছিলেন, ‘চোয়াল শক্ত’ রাখতে। তৃণমূল কমবেশি ৩০টা আসন জিতবে। নিজের ভবিষ্যদ্বাণী মিলিয়ে দেয়ার পাশাপাশিই তিনি সম্মুখসমরে পাঁচ গোল মেরেছেন শুভেন্দু অধিকারীকে। ‘সেনাপতি’ থেকে হয়ে উঠেছেন ‘ক্যাপ্টেন’।
মঙ্গলবার দিল্লিবাড়ির লড়াইয়ে যে ফলাফল হল বাংলায়, তাতে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পরে আরও এক বার দলের অভ্যন্তরে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব। প্রতিষ্ঠিত হল সামগ্রিক ভাবে বাংলার রাজনীতিতেও। দেখা গেল কৌশল, সংগঠন, প্রচার, অভিমুখ নির্ধারিত করা-সব ক্ষেত্রেই বিজেপিকে কয়েক যোজন পিছনে ফেলে দিলেন অভিষেক। সে অর্থে তিনিই এই ভোটের আসল ‘হিরো’।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাজ্যের ৪২ আসনের মধ্যে ৩০ আসনে এগিয়ে তৃণমূল।
ডিএএম//এসএম//
Leave a Reply