আদালত প্রতিনিধি:
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোট গণনার সময় মারামারি ও এক আইনজীবীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আনা মামলায় যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এডভোকেট সোহাগ আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করেন। তার পক্ষে জামিনের আবেদনের শুনানি করেন আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী।
শুনানি শেষে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটমো. রেজাউল করিম চৌধুরী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত ৬ ও ৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদে কার্যকরী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে ৭ মার্চ রাতে সহকারী এটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান সিদ্দিকীকে মারধরের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় পরদিন ৮ মার্চ সহকারী এটর্নি জেনারেল এস আর সিদ্দিকী সাইফকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথী ও বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুসসহ ২০ জন আইনজীবীকে আসামি করা হয়। মামলার দিন রাতে পাঁচ আইনজীবীকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনে নিজ চেম্বার থেকে রুহুল কুদ্দুসকে আটক করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরদিন শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করলে তাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ।
শুনানি শেষে বিচারক চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন। সেই রিমান্ড শেষে ১৪ মার্চ ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে কারাগারে পাঠানো হয়।
জানা যায়, সুপ্রিম কোর্ট বারে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় গত ৮ মার্চ শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করা। মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয় এডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীকে। এ ছাড়া ২ নম্বর আসামি করা হয় সুপ্রিম কোর্ট বার এর সাবেক সম্পাদক ও ২০২৩-২৪ সেশনের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজলকে।
মামলায় কারাবন্দী সব আসামী জামিনে মুক্তি পান। পাশাপাশি অন্যরাও আত্মসমর্পণ করে জামিন পান।
ডিএএম/এসএম//
Leave a Reply