নিজস্ব প্রতিবেদক: কারামুক্ত হলেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার মোঃ রুহুল কুদ্দুস কাজল।
বৃহস্পতিবার ইফতারের কিছু সময় আগে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান আইনজীবীদের জনপ্রিয় নেতা ব্যারিস্টার কাজল।
মুক্তি লাভের পর ব্যারিস্টার কাজল তার প্রতিক্রিয়ায় দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত চলমান লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন। তাকে গ্রেফতারের পর আইনজীবীরা তার জন্য বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (সুপ্রিম কোর্ট বার) ২০২৪-২৫ সেশনের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় আনা মামলায় সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার মোঃ রুহুল কুদ্দুস কাজলকে বুধবার জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মোঃ খায়রুল আলম সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
গত ৬ ও ৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট বার এর দুই দিনব্যাপী নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের পর ভোটগননা ও ফলাফল ঘোষণা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। ৭ মার্চ রাতেই ভোট গণনার পক্ষে সোচ্চার হন সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথী। তবে সম্পাদক প্রার্থী শাহ মনজুরুল হক ৮ মার্চ বেলা ৩ টায় দিনে ভোট গণনা চাচ্ছিলেন। এবিষয় নিয়েই একপর্যায়ে দুপক্ষের সমর্থকদের মাঝে হট্টগোল থেকে মারামারির ঘটনা ঘটে। সুপ্রিম কোর্ট বার অডিটোরিয়ামে সহকারী এটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ তখন মারধরের শিকার হন। চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হন সহকারী এটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ। সাইফ তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করেন। সে মামলায় এবারের নির্বাচনের স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী এডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি ও সাবেক সম্পাদক ও এবারেও সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার মোঃ রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার দুই নম্বর আসামী ব্যারিস্টার মোঃ রুহুল কুদ্দুস কাজল, সহকারী এটর্নি জেনারেল কাজী বশির আহমেদ, ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী, হাসানুজ্জামান, তরিকুল ইসলাম ও এনামুল হককে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর জামিন আবেদন নাকচ করে আসামীদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত। ব্যারিস্টার মোঃ রুহুল কুদ্দুস কাজলের জামিন আবেদন মহানগর দায়রা জজ আদালতও নামঞ্জুর করে। এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন কাজল। হাইকোর্ট কাজলের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেয়।
ব্যারিস্টার কাজল সুপ্রিমকোর্ট বার এর একাধিকবার নির্বাচিত সম্পাদক। সর্বেশেষ নির্বাচনেও সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন তিনি। ভোটগ্রহণের পর ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট জটিলতা ও অবৈধ হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনে ভোটগননা বর্জন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। সর্বশেষ বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনে সাধারণ আসনে বিপুল ভোটে সদস্য নির্বাচিত হন এ আইনজীবী নেতা। আইন পেশার পূর্বে তিনি সাংবাদিকতা ও কূটনীতিবিদ হিসেবেও কাজ করেছেন।
এসএম/ডিএএম//
Leave a Reply