সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক:
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা মনোনয়ন প্রক্রিয়া বাতিল সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি নাইমা হাইদার এবং বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন। পাশাপাশি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা মনোনয়ন প্রক্রিয়া বাতিল সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছে। রিট পিটিশনারগণ সহ যারা যথাযথভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন তাদেরকে দিয়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা মনোনয়ন প্রক্রিয়া কেন সম্পন্ন করা হবে না-তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লষ্টিদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একই সাথে মনোনয়ন প্রক্রিয়া বাতিল সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিটি স্থগিত করে রিটকারী নিয়োগপ্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্যও বিবাদীদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেছে উচ্চ আদালত।
রিটের পক্ষের আইনজীবী আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া আদালতের আদেশের সারাদেশকে বিষয়টি জানান। দেশের বিভিন্ন জেলার ২৫ জন নিয়োগ প্রার্থীর দায়ের করা একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেয় উচ্চ আদালত। স্বাস্থ্য সচিব, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি)সহ ৫ জনকে রিটে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়েছে।
রিটকারীদের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
এডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ‘পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা’ পদটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদ যারা ইউনিয়ন পর্যায়ে মা ও শিশুর প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে থাকেন। দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার অনেকগুলো পদ শূন্য থাকার পর ২০২০ সালের ১০ মার্চ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ১০৮০ টি ‘পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা’ পদের জন্য শিক্ষার্থী মনোনয়ন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এতে রিটকারীগণ ওই পদের জন্য আবেদন করেন। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রায় তিন বছর পর গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত বছরের ১১ মে
লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেন। লিখিত পরিক্ষায় রিটকারীগণ সহ মোট ৭৬২১ জন নিয়োগ প্রার্থী যথাযথভাবে উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে গত বছর ২৫ মে ও ১৮ জুন মৌখিক পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হয়। মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ না করে গত ১৪ জানুয়ারি লিখিত পরিক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে সম্পূর্ণ মনোনয়ন প্রক্রিয়া বাতিল করে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। ফলে সংক্ষুব্ধরা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ আদেশ দেয় উচ্চ আদালত।
ডিএএম/কেকে//
Leave a Reply