বিশেষ প্রতিনিধি:
জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার (লিগ্যাল এইড) মাধ্যমে ১ লাখ ১৩ হাজার ২৯৩ জন কারাবন্দীকে সরকারী খরচায় ৬৪ জেলা কমিটির মাধ্যমে আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১২ সাল হতে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত ১ লাখ ১৩ হাজার ২৯৩ জন কারাবন্দীকে ৬৪ জেলা কমিটির মাধ্যমে আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ে আইনি সহায়তাকৃত মামলার সংখ্যা ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৫৭৫ টি এবং নিষ্পত্তি হওয়া মামলার সংখ্যা ১ লাখ ৮৮ হাজার ৫১৯টি। এই সময়ে ৯ লাখ ৭৫ হাজার ৭৮৭ জনকে সরকারি খরচায় আইনি সেবা প্রদান করা হয়েছে। সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস, ৬৪ জেলা লিগ্যাল এইড অফিস, ঢাকা ও চট্রগ্রাম শ্রমিক আইনগত সহায়তা সেল ও সরকারী আইনি সহায়তায় জাতীয় হেল্পলাইন কলসেন্টারে মাধ্যমে এ সেবা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে আইনি পরামর্শ সেবা পেয়েছেন-সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ২৬ হাজার ৯৩৮ জন, দেশের ৬৪ জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ৭ লাখ ৬০ হাজার ৯৬১ জন, ঢাকা ও চট্রগ্রাম শ্রমিক আইনগত সহায়তা সেলে ২৮ হাজার ৭৫ জন এবং সরকারী আইনি সহায়তা জাতীয় হেল্পলাইন কলসেন্টারে (টোল ফ্রি-১৬৪৩০) ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮১৩ জনসহ মোট ৯ লাখ ৭৫ হাজার ৭৮৭ জন। এ সময়ে আইনি সহায়তাকৃত মামলার সংখ্যা ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৫৭৫ টি এবং নিষ্পত্তি হওয়া মামলার সংখ্যা ১ লাখ ৮৮ হাজার ৫১৯টি।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি তথা এর জন্য উদ্যোগ গ্রহণ ১ লাখ ১৫ হাজার ২২৫ টি মামলায় এবং এতে উপকারভোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৯৩ হাজার ৩০২ জন। কলসেন্টার স্থাপনের পূর্বে হটলাইনের মাধ্যমে সেবা দেয়া হয় ১৭ হাজার ৩২৮ জনকে। প্রি ও পোষ্টকেইসে ৬৪ জেলা লিগ্যাল এইড অফিস ঢাকা ও চট্রগ্রাম শ্রমিক আইনগত সহায়তা সেলে ক্ষতিপূরণ আদায় হয়েছে ১৬৯ কোটি ২৫ লাখ ৪ হাজার ৪৬৩ টাকা।
আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন সরকার আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল,অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগনকে সরকারি খরচে আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০’ প্রনয়ন করে। এই আইনটি অনুযায়ি ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’ গঠন করা হয়। রাজধানীর ১৪৫, নেউ বেইলী রোডে এ সংস্থার প্রধান কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। এর ব্যাপ্তি সুপ্রিমকোর্ট, দেশের সকল জেলা, অধঃস্তন আদালত, শ্রম আদালত, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত এখন প্রতিষ্ঠিত। জেলা কমিটি গঠন, প্রতিটি জেলা জজ আদালতে এর কার্যালয় রয়েছে। নানা প্রচার, প্রচরণা, সেমিনার-কর্মশালা ও প্রকল্পের মধ্য দিয়ে এ সেবা এখন মানুষের দোড়গোড়ায়।
ডিএএম/এসকে//
Leave a Reply