৭ জানুয়ারি সরকারের পতন দিবস উদ্যাপিত হবে: রুহুল কবির রিজভী
- Update Time : ০৭:৩৪:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩
- / ০ Time View
উর্মি আক্তার ভূইয়া, নিজস্ব প্রতিবেদক:
জনগণ আগামী ৭ জানুয়ারি দেশে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন দিবস উদ্যাপন করবে বলে মনে করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
রিজভী আহমেদ বলেন, জোড়াতালি দিয়ে নির্বাচনের পথে হাঁটছে ‘মাফিয়া চক্র’। তবে তুমুল আন্দোলনে-জনজোয়ারে এই নির্বাচনী নাটক ভুন্ডুল হয়ে যাবে।
শনিবার ২৫ নভেম্বর বিকেলে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী। রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেন, সরকার একদিকে বলছে নির্বাচনে আসুন, অন্যদিকে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীসহ আন্দোলনে সক্রিয় ও সাহসী নেতাদের টার্গেট করে বেছে বেছে কারাদণ্ড দেয়া হচ্ছে।
রিজভী আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, গত দেড় মাসে বিএনপির ৫৮২ নেতা–কর্মীকে প্রহসনের বিচারে দণ্ডিত ঘোষণ করা হয়েছে। আসামিদের অনুপস্থিতিতে অভিযোগ গ্রহণ ও কারাগারে বন্দী অবস্থায় আসামিকে সাক্ষীর জবানবন্দি ও জেরা শোনার সুযোগ না দিয়ে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করে দণ্ড ঘোষণা করা হচ্ছে। সব মামলার বাদী পুলিশ। প্রহসনের নির্বাচনের মতো ফরমায়েশি রায়ও দেয়া হচ্ছে। স্বৈরতন্ত্রের ক্রমাগত বিকাশ ঘটাতে ক্ষমতায় থাকার জন্য গোপনে ও প্রকাশ্য বহু বাহিনী তৈরি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।
রিজভীর অভিযোগ, গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে টার্গেট করে করে অর্থ এবং এমপি বানানোর প্রলোভনে কিংস পার্টি, ভুঁইফোড় পার্টিতে রাজনৈতিক নেতাদের ঢুকানো হচ্ছে। তবে কোনো নীতিবান, আদর্শবাদী, দেশপ্রেমী রাজনীতিককে তারা নিতে পারছে না। সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী দাবি করেন, এ পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের ৩২৫ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই সময়ে ১৩টি মামলায় ১ হাজার ৪৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
২৮ অক্টোবর নয়া পল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে এক পুলিশ সদস্য ও দলটির অঙ্গ সংগঠনের এক নেতার মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এরপর গ্রেফতার হয় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, সারাদেশে দলের নেতা-কর্মীদের গনগ্রেফতার, পুরনো মামলায় সাজা দেয়া অব্যাহত রয়েছে।
ইউএবি/ডিএএম//