Dhaka ১২:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

আদালত অবমাননা: বিএনপি নেতা হাবিবের পাঁচ মাসের কারাদণ্ড

  • Update Time : ০৫:০৫:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩
  • / ০ Time View

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক:
হাইকোর্টের একজন বিচারপতিকে নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবকে পাঁচ মাসের কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন। হাবিবুর রহমান হাবিবকে গ্রেফতার করে বুধবার রএ হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির করা হলে আদালত তার বক্তব্য শুনে এই আদেশ দেন।

আদালতে হাবিবুর রহমান হাবিবের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফজলুর রহমান, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার মো: রুহুল কুদ্দুস কাজল, এডভোকেট মামুন মাহবুব, এডভোকেট কামরুল ইসলাম সজল। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি। আর বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

শুনানির শুরুতে ল্যাপটপের মাধ্যমে হাবিবুর রহমান হাবিব টকশোতে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তা দেখানো হয়। আদালতের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি শপথ করে বলছি আমি এই বক্তব্য দিয়েছি। হাবিবুর রহমান হাবিব বলেছেন, আমার মমতাময়ী মা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য আমার লিভার, কিডনি, এমনকি জীবন দিতেও প্রস্তুত আছি। আমার ১০০ বছরের সাজা হলেও আমি ভয় পাই না।

আদালত বলেছেন, হাবিবুর রহমান দেশের জনগণের কাছে ভুল মেসেজ দিয়েছেন। বিচার বিভাগকে তিনি হেয় করেছেন। এই অবস্থায় আদালত চোখ বন্ধ করে থাকতে পারেন না। কোর্টকে কবর দেওয়া মানে দেশকে কবর দেয়া-বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর তৎকালীন বিচারক মো. আখতারুজ্জামান। এরপর ২০১৯ সালে মো. আখতারুজ্জামান হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এই বিচারপতিকে নিয়েই ‘অবমাননাকর বক্তব্যের’ অভিযোগে হাবিবুর রহমান হাবিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুলসহ স্বতঃপ্রণোদিত আদেশ দেন। যেখানে হাবিবুর রহমানকে তার বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়। তবে গত ৮ নভেম্বর তিনি হাইকোর্টে হাজির না হওয়ায় হাবিবুর রহমান হাবিবকে অবিলম্বে আদালতে হাজির করতে পুলিশের আইজির প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়। এরপর মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে বিএনপি নেতা মো. হাবিবুর রহমান হাবিবকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। আজ বুধবার দুপুরে তাকে হাইকোর্টে হাজির করা হয়।

ডিএএম/এসএম//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আদালত অবমাননা: বিএনপি নেতা হাবিবের পাঁচ মাসের কারাদণ্ড

Update Time : ০৫:০৫:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক:
হাইকোর্টের একজন বিচারপতিকে নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবকে পাঁচ মাসের কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন। হাবিবুর রহমান হাবিবকে গ্রেফতার করে বুধবার রএ হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির করা হলে আদালত তার বক্তব্য শুনে এই আদেশ দেন।

আদালতে হাবিবুর রহমান হাবিবের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফজলুর রহমান, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার মো: রুহুল কুদ্দুস কাজল, এডভোকেট মামুন মাহবুব, এডভোকেট কামরুল ইসলাম সজল। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি। আর বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

শুনানির শুরুতে ল্যাপটপের মাধ্যমে হাবিবুর রহমান হাবিব টকশোতে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তা দেখানো হয়। আদালতের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি শপথ করে বলছি আমি এই বক্তব্য দিয়েছি। হাবিবুর রহমান হাবিব বলেছেন, আমার মমতাময়ী মা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য আমার লিভার, কিডনি, এমনকি জীবন দিতেও প্রস্তুত আছি। আমার ১০০ বছরের সাজা হলেও আমি ভয় পাই না।

আদালত বলেছেন, হাবিবুর রহমান দেশের জনগণের কাছে ভুল মেসেজ দিয়েছেন। বিচার বিভাগকে তিনি হেয় করেছেন। এই অবস্থায় আদালত চোখ বন্ধ করে থাকতে পারেন না। কোর্টকে কবর দেওয়া মানে দেশকে কবর দেয়া-বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর তৎকালীন বিচারক মো. আখতারুজ্জামান। এরপর ২০১৯ সালে মো. আখতারুজ্জামান হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এই বিচারপতিকে নিয়েই ‘অবমাননাকর বক্তব্যের’ অভিযোগে হাবিবুর রহমান হাবিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুলসহ স্বতঃপ্রণোদিত আদেশ দেন। যেখানে হাবিবুর রহমানকে তার বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়। তবে গত ৮ নভেম্বর তিনি হাইকোর্টে হাজির না হওয়ায় হাবিবুর রহমান হাবিবকে অবিলম্বে আদালতে হাজির করতে পুলিশের আইজির প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়। এরপর মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে বিএনপি নেতা মো. হাবিবুর রহমান হাবিবকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। আজ বুধবার দুপুরে তাকে হাইকোর্টে হাজির করা হয়।

ডিএএম/এসএম//