Dhaka ১২:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

বিএনপি যদি নির্বাচন করে বিএনপির হয়ে নির্বাচনে অংশ নেবো : মেজর হাফিজ বীরবিক্রম

  • Update Time : ০৫:৩৮:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩
  • / ০ Time View

বিশেষ প্রতিনিধি:
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম বলেছেন, বিএনপিতে আছেন, বিএনপিতেই থাকবেন এবং বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপির হয়েই নির্বাচন করবেন।

বুধবার ৮ নভেম্বর সকালে বনানী বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব মন্তব্য করেন মেজর হাফিজ। অন্য কোনো দলে অংশ নেবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মেজর হাফিজ বলেন, বিএনপি যদি নির্বাচন করে বিএনপির হয়ে নির্বাচনে অংশ নেবো। এছাড়া অন্য কোনো বক্তব্য নেই। বিএনপিতে আছি, বিএনপিতেই থাকবো বলে আশা করি।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের বক্তব্যের প্রতিবাদ করে মেজর হাফিজ বলেন, তথ্যমন্ত্রী যে বলেছেন আমি একটি নতুন রাজনৈতিক দল গড়তে যাচ্ছি এটা সঠিক নয়। আমি এখন কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত নই।

নিজের অভিমানের বিষয় তুলে ধরে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম বলেন, ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয় ১১টি অভিযোগে। বলা হয়, দলের নির্দেশ ছাড়া সরকারবিরোধী মিছিলে যোগ দেয়ার কারণে নোটিশ দেয়া হয়েছে। শওকত মাহমুদের সঙ্গে কোনো মিছিলে যোগ দেইনি। তার সাথে কোনো যোগাযোগ আগেও ছিল না, এখনও নেই। তারপরও আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ। তিনি আরও বলেন, চিঠির জবাব দেয়ার পর আমি জানি না, সে চিঠি গ্রহণ হয়েছে কি না, না বাতিল হয়েছে।

হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম বলেন, এমন আচরণ আমি ডিজার্ভ করি না। জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক হিসেবে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, আমাকে টপকে অনেক নেতা স্থায়ী কমিটির সদস্য হলেও আমি ভাইস চেয়ারম্যানই রয়ে গেলাম। কোনো আক্ষেপ নেই। আমি পদ-পদবির জন্য রাজনীতি করি না। জিয়াউর রহমানের অনেক ঘনিষ্ঠ ছিলাম। তিনি আরও বলেন, গত ৩১ বছর এই দলে আছি। খন্দকার মোশাররফ ও রফিকুল ইসলাম মিয়া ছাড়া স্থায়ী কমিটিতে যারা আছে সবাই আমার জুনিয়র। রাজনীতিতে আমার খুব একটা এখন গুরুত্ব নেই, বিএনপিতেও গুরুত্ব নেই। দলে গণতন্ত্রের চর্চা হচ্ছে না দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, দলের চেয়ারপার্সনের সামনে সঠিক কথা বলার কোনো লোক নেই। সবাই ইয়েস স্যার, রাইট স্যার বলে। একমাত্র সাইফুর রহমানকে দেখেছিলাম তিনি সত্যি কথা বলতেন। বিএনপিতে সংস্কার আনার জন্য তারেক রহমানের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

খুব শিগগিরই রাজনীতি থেকে বিদায় নেবেন জানিয়ে হাফিজ বলেন, আমার শারীরিক অবস্থা ভালো না, বিদেশে চিকিৎসা নিয়েছি, আবারো যাবো। শারীরিক অসুস্থতার কারণে আগামী নির্বাচনে অংশ নেব না। খুব শিগগিরই আমি আমার এলাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে রাজনীতি থেকে বিদায় নেবো। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপির কর্মী, সমর্থক হিসেবে থাকবো।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেয়া উচিত ছিল। ওই সময় সরকারের টালমাটাল অবস্থা ছিল। বুঝতে হবে কোন সময় সরকার এমন ধরনের অফার করে, এখন তো করছে না। বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ না নিলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং লক্ষ্মীপুরে যেভাবে নির্বাচন হয়েছে এভাবে হয়ে যাবে। আমি মনে করি জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় আগামী নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেয়া উচিত।

ডিএএম/কেকে//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বিএনপি যদি নির্বাচন করে বিএনপির হয়ে নির্বাচনে অংশ নেবো : মেজর হাফিজ বীরবিক্রম

Update Time : ০৫:৩৮:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি:
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম বলেছেন, বিএনপিতে আছেন, বিএনপিতেই থাকবেন এবং বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপির হয়েই নির্বাচন করবেন।

বুধবার ৮ নভেম্বর সকালে বনানী বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব মন্তব্য করেন মেজর হাফিজ। অন্য কোনো দলে অংশ নেবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মেজর হাফিজ বলেন, বিএনপি যদি নির্বাচন করে বিএনপির হয়ে নির্বাচনে অংশ নেবো। এছাড়া অন্য কোনো বক্তব্য নেই। বিএনপিতে আছি, বিএনপিতেই থাকবো বলে আশা করি।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের বক্তব্যের প্রতিবাদ করে মেজর হাফিজ বলেন, তথ্যমন্ত্রী যে বলেছেন আমি একটি নতুন রাজনৈতিক দল গড়তে যাচ্ছি এটা সঠিক নয়। আমি এখন কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত নই।

নিজের অভিমানের বিষয় তুলে ধরে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম বলেন, ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয় ১১টি অভিযোগে। বলা হয়, দলের নির্দেশ ছাড়া সরকারবিরোধী মিছিলে যোগ দেয়ার কারণে নোটিশ দেয়া হয়েছে। শওকত মাহমুদের সঙ্গে কোনো মিছিলে যোগ দেইনি। তার সাথে কোনো যোগাযোগ আগেও ছিল না, এখনও নেই। তারপরও আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ। তিনি আরও বলেন, চিঠির জবাব দেয়ার পর আমি জানি না, সে চিঠি গ্রহণ হয়েছে কি না, না বাতিল হয়েছে।

হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম বলেন, এমন আচরণ আমি ডিজার্ভ করি না। জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক হিসেবে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, আমাকে টপকে অনেক নেতা স্থায়ী কমিটির সদস্য হলেও আমি ভাইস চেয়ারম্যানই রয়ে গেলাম। কোনো আক্ষেপ নেই। আমি পদ-পদবির জন্য রাজনীতি করি না। জিয়াউর রহমানের অনেক ঘনিষ্ঠ ছিলাম। তিনি আরও বলেন, গত ৩১ বছর এই দলে আছি। খন্দকার মোশাররফ ও রফিকুল ইসলাম মিয়া ছাড়া স্থায়ী কমিটিতে যারা আছে সবাই আমার জুনিয়র। রাজনীতিতে আমার খুব একটা এখন গুরুত্ব নেই, বিএনপিতেও গুরুত্ব নেই। দলে গণতন্ত্রের চর্চা হচ্ছে না দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, দলের চেয়ারপার্সনের সামনে সঠিক কথা বলার কোনো লোক নেই। সবাই ইয়েস স্যার, রাইট স্যার বলে। একমাত্র সাইফুর রহমানকে দেখেছিলাম তিনি সত্যি কথা বলতেন। বিএনপিতে সংস্কার আনার জন্য তারেক রহমানের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

খুব শিগগিরই রাজনীতি থেকে বিদায় নেবেন জানিয়ে হাফিজ বলেন, আমার শারীরিক অবস্থা ভালো না, বিদেশে চিকিৎসা নিয়েছি, আবারো যাবো। শারীরিক অসুস্থতার কারণে আগামী নির্বাচনে অংশ নেব না। খুব শিগগিরই আমি আমার এলাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে রাজনীতি থেকে বিদায় নেবো। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপির কর্মী, সমর্থক হিসেবে থাকবো।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেয়া উচিত ছিল। ওই সময় সরকারের টালমাটাল অবস্থা ছিল। বুঝতে হবে কোন সময় সরকার এমন ধরনের অফার করে, এখন তো করছে না। বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ না নিলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং লক্ষ্মীপুরে যেভাবে নির্বাচন হয়েছে এভাবে হয়ে যাবে। আমি মনে করি জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় আগামী নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেয়া উচিত।

ডিএএম/কেকে//