খালেদা জিয়াকে জেলে গিয়ে স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসা বিষয়ে আদালতে আবেদন করতে হবে : আইন মন্ত্রণালয়
- Update Time : ০৭:১৪:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩
- / ২ Time View
নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্থায়ী মুক্তি ও চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে গিয়ে আদালতে আবেদন করতে হবে বলে মত দিয়েছেন আইন মন্ত্রণালয়।
বিষয়টি নিয়ে আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসা বিষয়ে তার ভাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর দরখাস্ত দেন। বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে মতামত চায়। আমরা আজ মতামত দেই। আইনমন্ত্রী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার ক্ষমতাবলে খালেদা জিয়া বিষয়ে যে আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে সেটি খোলার আর কোনো সুযোগ নেই।
আইনমন্ত্রী বলেন, আইনের ৪০১ ধারার কোনো দরখাস্ত যদি একবার নিষ্পত্তি করা হয়, সেই নিষ্পত্তি করা দরখাস্ত পুনর্বিবেচনা করার কোনো অবকাশ আর আইনে থাকে না। ঠিক সেই ফৌজদারি কার্যবিধি ৪০১ ধারার উপধারা ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬ ব্যাখ্যা করে আমরা আমাদের মতামত পাঠিয়ে দিয়েছি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। সেখানে আমরা মতামত দিয়েছি, ৪০১ ধারার ক্ষমতাবলে যে দরখাস্ত নিষ্পত্তি করা হয়েছে সেটা পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজ ট্রানজেকশন, এটা খোলার আর কোনো উপায় নেই।
আনিসুল হক বলেন, ২০২০ সালের মার্চে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার নির্বাহী আদেশে
ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে তাকে শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেন। শর্তগুলো হলে তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন ও বিদেশে যেতে পারবেন না। এরপর আট দফা তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার ছোটভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বরাবর খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার আবেদন করেন। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ আবেদন মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার একটি আদালত। রায়ের পর তাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার সাজা আরও পাঁচ বছর বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন একই আদালত। এছাড়াও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা বিচারাধীন রয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে রাজধানীর এভায়কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ডিএএম/কেকে//