Dhaka ০৬:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

বিরোধী নেতাদের সাজা দিয়ে রাজনীতির ময়দান শূন্য করার চক্রান্ত করছে সরকার : মির্জা ফখরুল

  • Update Time : ১০:০৮:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ০ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের আগে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে রাজনীতির ময়দান থেকে সরিয়ে দিয়ে মাঠ শূন্য করার চক্রান্ত করছে সরকার।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, এ উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, ডা: জুবাইদা রহমানসহ বিভিন্ন শীর্ষনেতাদের সাজা দেয়া হয়েছে। সিরাজগঞ্জ, পাবনাসহ বিভিন্ন জেলা নেতাদের বিরুদ্ধেও পুরোনো মামলা সচল করে দ্রুত নিষ্পত্তি করে নেতাদের সাজা দেয়া হচ্ছে। কয়েকজনকে মৃত্যদণ্ডের আদেশও দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আয়োজনে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সুস্থতা কামনাসহ কারামুক্তির জন্য এক দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র আহ্বায়ক আব্দুস সালাম।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার আদালতকে ব্যবহার করে বিচারের নামে প্রহসন করছে। তারা অবৈধ ক্ষমতাকে স্থায়ী করতে আবারো পাতানো নির্বাচন করতে হীন চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। অবাধ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য গণতন্ত্রকামী রাষ্ট্রগুলো যখন স্যাংশনসহ ভিসানীতি আরোপ করছে, দেশের মানুষ যখন নিজ অধিকার আদায়ে জেগে ওঠছে, বিশেষ করে ঢাকার রাজপথ যখন জনগণ দখল নিতে শুরু করেছে তখনই আবার শুরু হয়েছে দমননীতি। শুরু হয়েছে গায়েবী মামলা। যে কর্মীকে গতকাল আটক করা হয়েছে তাকে আজকের একটি সহিংসতার মামলায় আসামি করা হচ্ছে। এগুলো করে সরকার এ দেশ থেকে বিরোধী দল নির্মূল করতে চায়।’

ফখরুল বলেন, ‘প্রতিদিন হাজারো নেতাকর্মীকে হাজিরা দিতে আদালতে আসতে হয়। নিয়মিত হাজিরা দিলেও তাদের আটক করা হচ্ছে। এগুলো করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না, মানুষ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। জাতীয় পার্টিও বলছে, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সবকিছু হারিয়ে আওয়ামী লীগ এখন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কিছু কিছু সম্পাদক, বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষক সরকারকে ডিপেন্ড করে কথা বলছেন। গণতন্ত্রের সবক দিচ্ছেন। সেই সবক দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। আমি তাদের আহ্বান করবো আপনারা জনগণের কাতারে আসুন। জনগণ কি চায় তা শুনুন।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের রাখাল বালকের কথা এখন আর কেউ বিশ্বাস করে না। সময় থাকতে পদত্যাগ করেন।’

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অল্পদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হচ্ছে। আর এ আন্দোলনে ঢাকা মহানগর বিএনপিকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক ছাত্রনেতা ফজলুল হক মিলন, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদসহ ওয়ার্ড, থানা ও মহানগর দক্ষিণ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

ডিএএম/কেকে//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বিরোধী নেতাদের সাজা দিয়ে রাজনীতির ময়দান শূন্য করার চক্রান্ত করছে সরকার : মির্জা ফখরুল

Update Time : ১০:০৮:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের আগে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে রাজনীতির ময়দান থেকে সরিয়ে দিয়ে মাঠ শূন্য করার চক্রান্ত করছে সরকার।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, এ উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, ডা: জুবাইদা রহমানসহ বিভিন্ন শীর্ষনেতাদের সাজা দেয়া হয়েছে। সিরাজগঞ্জ, পাবনাসহ বিভিন্ন জেলা নেতাদের বিরুদ্ধেও পুরোনো মামলা সচল করে দ্রুত নিষ্পত্তি করে নেতাদের সাজা দেয়া হচ্ছে। কয়েকজনকে মৃত্যদণ্ডের আদেশও দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আয়োজনে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সুস্থতা কামনাসহ কারামুক্তির জন্য এক দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র আহ্বায়ক আব্দুস সালাম।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার আদালতকে ব্যবহার করে বিচারের নামে প্রহসন করছে। তারা অবৈধ ক্ষমতাকে স্থায়ী করতে আবারো পাতানো নির্বাচন করতে হীন চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। অবাধ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য গণতন্ত্রকামী রাষ্ট্রগুলো যখন স্যাংশনসহ ভিসানীতি আরোপ করছে, দেশের মানুষ যখন নিজ অধিকার আদায়ে জেগে ওঠছে, বিশেষ করে ঢাকার রাজপথ যখন জনগণ দখল নিতে শুরু করেছে তখনই আবার শুরু হয়েছে দমননীতি। শুরু হয়েছে গায়েবী মামলা। যে কর্মীকে গতকাল আটক করা হয়েছে তাকে আজকের একটি সহিংসতার মামলায় আসামি করা হচ্ছে। এগুলো করে সরকার এ দেশ থেকে বিরোধী দল নির্মূল করতে চায়।’

ফখরুল বলেন, ‘প্রতিদিন হাজারো নেতাকর্মীকে হাজিরা দিতে আদালতে আসতে হয়। নিয়মিত হাজিরা দিলেও তাদের আটক করা হচ্ছে। এগুলো করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না, মানুষ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। জাতীয় পার্টিও বলছে, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সবকিছু হারিয়ে আওয়ামী লীগ এখন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কিছু কিছু সম্পাদক, বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষক সরকারকে ডিপেন্ড করে কথা বলছেন। গণতন্ত্রের সবক দিচ্ছেন। সেই সবক দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। আমি তাদের আহ্বান করবো আপনারা জনগণের কাতারে আসুন। জনগণ কি চায় তা শুনুন।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের রাখাল বালকের কথা এখন আর কেউ বিশ্বাস করে না। সময় থাকতে পদত্যাগ করেন।’

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অল্পদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হচ্ছে। আর এ আন্দোলনে ঢাকা মহানগর বিএনপিকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক ছাত্রনেতা ফজলুল হক মিলন, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদসহ ওয়ার্ড, থানা ও মহানগর দক্ষিণ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

ডিএএম/কেকে//