সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম জুগিরকান্দির মেসার্স নিহা ব্রিকস বৈধ। এ বিষয়ে জারি করা রুল খারিজ করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট।
পাশাপাশি তথ্য গোপন করে হাইকোর্টে মামলা করায় বাদী আবদুল কাদেরের বিরুদ্ধে ২০ হাজার টাকা জরিমানার হাইকোর্ট রায় বহাল রেখেছেন চেম্বার কোর্ট।
আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম নিহা ব্রিকস নিয়ে রুল খারিজ করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিতে (সিএমপি ৬৩৭/২০২৩) আনা আবেদনের ওপর উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন।
আবদেনকারী আবদুল কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট শফিকুল ইসলাম চৌধুরানী। নিহা ব্রিকস এর স্বত্ত্বাধিকারী মো: নাদিমের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মো: রুহুল কুদ্দুস কাজল। সাথে ছিলেন এডভোকেট দিদারুল আলম দিদার।
এডভোকেট দিদার জানান, কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম জুগিরকান্দি এলাকায় স্থাপিত মেসার্স নিহা ব্রিকস অবৈধ দাবী করে আনা রিট পিটিশনে তথ্য গোপন করায় রিটে বিবাদী মো: নাদিককে খরচা হিসেবে ২০ হাজার টাকা দিবেন রিট পিটিশনার আবদুল কাদের। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেন।
এডভোকেট দিদার জানান, এ সংক্রান্ত রিটে ইতোপূর্বে জারি করা রুল খারিজের আর্জি জানিয়ে আনা আবদেনের ওপর উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ রায় দেন। আবদেনটি দাখিল করেন রিট পিটিশনের অন্যতম বিবাদী মেসার্স নিহা ব্রিকস এর স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ নাদিম।।
এডভোকেট দিদার বলেন, কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম জুগিরকান্দি এলাকায় স্থাপিত মেসার্স নিহা ব্রিকস অবৈধ দাবী করে সেখানকার বাসিন্দা আবদুল কাদের হাইকোর্টে রিট পিটিশনটি দায়ের করেন। রিটে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজি, মেসার্স নিহা ব্রিকস এর স্বত্ত্বাধিকারী মো: নাদিমসহ মোট ১০ জনকে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়। এই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ নির্দেশনা দিয়ে আদেশ দিয়েছিলেন। আদেশে আদালত জুগিরকান্দি গ্রামে অবৈধ ও অননোমুদিত ইটভাটা অপসারণের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না-রুলে সংশ্লিষ্টদের কাছে জানতে চায়। পাশাপাশি আদেশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে জুগিরকান্দি গ্রামে স্থাপিত অবৈধ ও অননোমুদিত ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আদেশ দেয়া হয়েছিল।
এডভোকেট দিদার বলেন, আদালতের আদেশ অবহিত হয়ে জুগিরকান্দি গ্রামে স্থাপিত মেসার্স নিহা ব্রিকস এর স্বত্ত্বাধিকারী মো: নাদিম আদালতে রুল খারিজের আবদেনটি দাখিল করেন। মেসার্স নিহা ব্রিকস এর হালনাগাদ পরিবেশ ছাড়পত্র, জেলা প্রশাসকের দেয়া ইট পোড়ানোর লাইসেন্সসহ সকল প্রয়োজনীয় সনদ ও কাগজপত্র যথাযথ থাকা সত্ত্বেও তা গোপন করে রিটটি করা হয় বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ইতোপূর্বে জারি করা রুল খারিজের (ডিসচার্জ) রায় দেন। পাশাপাশি রিটকারীকে বিবাদী মো: নাদিমের অনুকুলে খরচা হিসেবে ২০ হাজার টাকা রায় প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। হাইকোর্টের এ রায় স্থগিতে আবদুল কাদের আপিল বিভাগে চেম্বার কোর্টে আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেয়। ফলে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকলো।
ডিএএম/কেকে//
Leave a Reply