বিশেষ প্রতিনিধি:
ঢাকা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের ডাকা তারুণ্যের বিশাল জনসমুদ্র দেখেছে রাজধানীবাসী।
শনিবার বিকেল সোয়া ৩ টার পরে কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে এ সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেতাকর্মীর ঢল নেমেছে। নেতাকর্মীদের পদচারণায় সরগরম হয়ে উঠছে ঐতিহাসিক এই উদ্যান। এর আগে সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে প্রতিবাদী ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়েছে।
সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা স্লোগানসহ মিছিল নিয়ে যোগ দিয়েছেন সমাবেশে। এতে আগত নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন। হাতে ব্যানার, ফেস্টুন, প্লে কার্ড দেখা যাচ্ছে। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। সমাবেশে নতুন ভোটার ও তরুণদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দিবেন সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান বক্তা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও বিশেষ বক্তা ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন বক্তব্য রাখেন।
তারুণ্যের এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। সঞ্চালনায় করেন যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল। দেশ বাঁচাতে তারুণ্যের সমাবেশে ঢাকা, কুমিলা, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর বিভাগের তরুণরা এই সমাবেশে অংশ নিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কানায় কানায় ভরে গেছে ঐতিহাসিক এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। ব্যানার পোস্টার ও পেস্টুনে ছেয়ে গেছে মাঠের চারপাশ। তীব্র গরম আর তাপ উপেক্ষা করে সমাবেশস্থলে বসে পড়েন দলটির নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, বিএনপির গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে তরুণ ভোটারদের অংশ নেয়ার জন্য উজ্জীবিত করতেই দেশের ছয় বিভাগে এই কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়। দলটির অঙ্গ সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সমন্বয়ে এই সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে দলটির নীতি নির্ধারণী ফোরাম। সংগঠন তিনটির পক্ষ থেকে পরে দিনক্ষণ ও তারিখ ঘোষণা করা হয়। ওই ঘোষণা অনুযায়ী ১৪ জুন চট্টগ্রাম, ১৯ জুন বগুড়া, ২৪ জুন বরিশাল, ৯ জুলাই সিলেট ও ১৭ জুলাই খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ করেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ ঢাকায় সমাবেশ করছে। এরই মধ্যে ঢাকার বাইরের সব কয়টি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনেকটাই শান্তিপূর্ণভাবে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব সমাবেশের উপস্থিতি ছিল বেশ নজরকাড়া। এবার ঢাকার সমাবেশে সফলভাবে সম্পন্ন করতে চায় দলটি।
ডিএএম/কেকে//
Leave a Reply