শেভরন এর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা
- Update Time : ০৮:২৭:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩
- / ১ Time View
নিজস্ব প্রতিবেদক:
নতুন করে ড্রাইভার ও কুক পদে নিয়োগের উপর বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় বহুজাতিক
তেল ও গ্যাস কোম্পানী শেভরন এর বিরুদ্ধে ঢাকার প্রথম শ্রম আদালতে ফৌজদারী মামলা হয়েছে।
ঢাকার প্রথম শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান মোঃ শওকত আলী বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে শেভরন বাংলাদেশ এর উর্দ্ধতন তিন কর্মকর্তাসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দিয়েছেন। মামলার বাদী হলেন শেভরন থেকে সদ্য চাকুরীচ্যুত শ্রমিক (ড্রাইভার) মোঃ মজিবুর রহমান।
এই মামলার আসামীরা হলেন শেভরন বাংলাদেশ ব্লক থার্টিন এন্ড ফরটিন লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত
কান্ট্রিডাইরেক্টর গ্রেস কনডন, সাপ্লাই চেইন বিভাগ এর ম্যানেজার এস এম শাহারিয়ার আবেদীন এবং শেভরন এর কন্টাক্ট ম্যানেজার (চুক্তি সংক্রান্ত) সাব্বির শামস্। অপর তিন আসামী হলেন-শেভরন এর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান প্রপার্টি কেয়ার বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডের (পিসিএস) এর
ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিদার এ হোসেন, মানব সম্পদ বিভাগ এম সিনিয়র ম্যানেজার বাসুদেব বেপারী এবং পিসিএস এর সিলেট অঞ্চল এর ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল ইসলাম।
বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের এডভোকেট ড. উত্তম কুমার দাস।
আদালত সূত্র জানায়, ড্রাইভারসহ অন্যান্য পদে নতুন নিয়োগ কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-মর্মে কারন দর্শানোর জন্য শেভরন এবং পিসিএস কর্তৃপক্ষের প্রতি কারণ দর্শানোর নোটিশ জারী করেন প্রথম শ্রম আদালত ঢাকা। গত ১৬ মে জারী করা এ আদেশে একই সংগে কারন দর্শানোর নোটিশের জবাব না পাওয়া এবং সংশ্লিষ্ট ছয়টি দরখাস্ত শুনানী না হওয়া পর্যন্ত ড্রাইভার ও কুক সহ বিভিন্ন পদে নতুন কোন নিয়োগ কার্যক্রমের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিত আদেশ দেন আদালত। আদালতের স্থগিতাদেশ অমান্য করে এবং শেভরনে সরবরাহ করার জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পিসিএস গত ২৩ শে মে ড্রাইভার পদে ২৭ জন এবং কুক পদে ৫জনকে নিয়োগ দেয়। যারা গত ২৫ মে শেভরন নিয়ন্ত্রিত জালালাবাদ ও বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডে যোগদান করেন। আদালতে সংশ্লিষ্ট নিয়োগ পত্রের কপি উপস্থাপন করা হয়। শেভরন বাংলাদেশ এর অধীন ১২ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত কর্মরত প্রায় চারশতাধীক শ্রমিক কর্মচারী
উক্ত চাকুরীতে নিয়মিত ও স্থায়ী হওয়ার জন্য পৃথক পৃথক ভাবে ঢাকার প্রথম শ্রম আদালতে মামলা করেন।
মামলা চলা অবস্থায় মামলার বাদী ১২৭ জন শ্রমিককে বেআইনী ভাবে টার্মিনেট করা হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি পিসিএসকে দিয়ে শেভরন কর্তৃপক্ষ এই অব্যহতি আদেশ জারী করান। অব্যহতি আদেশকে অবৈধ ঘোষণা এবং নিজ নিজ পদের পূর্ণ বহাল এর আদেশ প্রার্থনা করে
ইতিমধ্যে ৯৫ জন শ্রমিক শ্রম আদালতে পৃথক পৃথক ভাবে দরখাস্ত দাখিল করেন। আদালত উক্ত
দরখাস্ত গ্রহন করে শেভরন এবং পিসিএস কর্তৃপক্ষকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কারন দর্শাতে বলেনে।
মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৩ জুন দিন ধার্য রয়েছে।
ডিএএম/এসএম//