Dhaka ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

ব্যারিস্টার শেখ তাপসের দেয়া বক্তব্য প্রধান বিচারপতির নজরে এনেছেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম।

  • Update Time : ০৭:৩৯:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩
  • / ১ Time View

মু: কাইয়ুম, সুপ্রিমকোর্ট প্রতিনিধি :
ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের দেয়া এক বক্তব্য প্রধান বিচারপতির নজরে এনেছেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম।

বুধবার বেলা ১১ টা ৩০ মিনিটে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগের ডায়াসে দাঁড়ান ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। এসময় তিনি গত রোববার বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দেয়া মেয়র তাপসের বক্তব্য নিয়ে করা পত্রিকার প্রতিবেদন পড়ে শোনান।

আদালতে এসময় এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনসহ সিনিয়র আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত শেখ ফজলে নূর তাপসের বক্তব্য তুলে ধরে ব্যারিস্টার আমীর আদালতে বলেন, ‘তিনি বলেছেন, মনটা চায় আবার ইস্তফা দিয়ে ফিরে আসি। যেখানে মুগুর দেয়ার সেটাও জানি। একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম। মশিউজ্জামান (বারের গত নির্বাচনের সাব কমিটির প্রধান)কে আমরা মনে করতাম, ওরে বাবা, কী জানি ফেরেস্তা আসছে! সবচেয়ে বড় চোর হলো মশিউজ্জামান! যে সকল সুশীলরা আমাদেরকে বুদ্ধি দিতে যাবেন, সেই সকল সুশীলদের আমরা বস্তায় ভরে বুড়িগঙ্গা নদীর কালো পানিতে ছেড়ে দেবো…..।’

ব্যারিস্টার তাপসের বক্তব্যকে আদালত অবমাননার সামিল বলে মন্তব্য করেছেন আমীর-উল ইসলাম। তিনি বলেন, এতে করে পুরো আইনীজীবী সমাজ যেমনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন, তেমনি সারাদেশের মানুষ মনক্ষুণ্ন হয়েছে।

একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতি ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামকে বলেন,’ঠিক আছে। আমরা পত্রিকার প্রতিবেদনটা পড়ি,দেখি।

এসময় আদালত কক্ষে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের মধ্যে সাবেক এটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, সাবেক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সাত বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন,সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, এডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার মো: রুহুল কুদ্দুস কাজল, শাহ আহমেদ বাদল, সৈয়দ মামুন মাহবুব, আবেদ রাজা, মোহাম্মদ আলী, আবদুল্লাহ আল মাহবুবসহ শতাধিক আইনজীবী।

একপর্যায়ে আদালত থেকে বের হয়ে ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম সাংবাদিকদের বিষয়টি নিয়ে ব্রিফ করেন।

এমকে/ডিএএম//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ব্যারিস্টার শেখ তাপসের দেয়া বক্তব্য প্রধান বিচারপতির নজরে এনেছেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম।

Update Time : ০৭:৩৯:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

মু: কাইয়ুম, সুপ্রিমকোর্ট প্রতিনিধি :
ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের দেয়া এক বক্তব্য প্রধান বিচারপতির নজরে এনেছেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম।

বুধবার বেলা ১১ টা ৩০ মিনিটে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগের ডায়াসে দাঁড়ান ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। এসময় তিনি গত রোববার বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দেয়া মেয়র তাপসের বক্তব্য নিয়ে করা পত্রিকার প্রতিবেদন পড়ে শোনান।

আদালতে এসময় এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনসহ সিনিয়র আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত শেখ ফজলে নূর তাপসের বক্তব্য তুলে ধরে ব্যারিস্টার আমীর আদালতে বলেন, ‘তিনি বলেছেন, মনটা চায় আবার ইস্তফা দিয়ে ফিরে আসি। যেখানে মুগুর দেয়ার সেটাও জানি। একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম। মশিউজ্জামান (বারের গত নির্বাচনের সাব কমিটির প্রধান)কে আমরা মনে করতাম, ওরে বাবা, কী জানি ফেরেস্তা আসছে! সবচেয়ে বড় চোর হলো মশিউজ্জামান! যে সকল সুশীলরা আমাদেরকে বুদ্ধি দিতে যাবেন, সেই সকল সুশীলদের আমরা বস্তায় ভরে বুড়িগঙ্গা নদীর কালো পানিতে ছেড়ে দেবো…..।’

ব্যারিস্টার তাপসের বক্তব্যকে আদালত অবমাননার সামিল বলে মন্তব্য করেছেন আমীর-উল ইসলাম। তিনি বলেন, এতে করে পুরো আইনীজীবী সমাজ যেমনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন, তেমনি সারাদেশের মানুষ মনক্ষুণ্ন হয়েছে।

একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতি ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামকে বলেন,’ঠিক আছে। আমরা পত্রিকার প্রতিবেদনটা পড়ি,দেখি।

এসময় আদালত কক্ষে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের মধ্যে সাবেক এটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, সাবেক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সাত বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন,সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, এডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার মো: রুহুল কুদ্দুস কাজল, শাহ আহমেদ বাদল, সৈয়দ মামুন মাহবুব, আবেদ রাজা, মোহাম্মদ আলী, আবদুল্লাহ আল মাহবুবসহ শতাধিক আইনজীবী।

একপর্যায়ে আদালত থেকে বের হয়ে ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম সাংবাদিকদের বিষয়টি নিয়ে ব্রিফ করেন।

এমকে/ডিএএম//