সুপ্রিমকোর্ট বার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ
- Update Time : ০৫:৫৯:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩
- / ০ Time View
নিজস্ব প্রতিবেদক :
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির (সুপ্রিমকোর্ট বার) ২০২৩-২৪ সেশনের নির্বাচনের দুইদিনব্যাপি ভোটগ্রহণ আজ শেষ হয়েছে।
আজ সকাল সাড়ে দশটায় দ্বিতীয় দিনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত। নির্বাচন সংক্রান্ত সাব-কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মনিরুজ্জান সারাদেশকে জানান, সুপ্রিমকোর্ট বার নির্বাচনের দুইদিনব্যাপি ভোটগ্রহণ আজ বিকাল ৫ টায় শেষ হয়েছে। গতকাল প্রথমদিনে ২২১৭ জন আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এখন ভোটগননার প্রস্তুতি চলছে।
তবে এ নির্বাচন কোন নির্বাচনই নয় বলে দাবী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্যের। তারা বিক্ষোভ করেছে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গনে। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের (নীল প্যানেল) সভাপতি প্রার্থী সুপ্রিমকোর্ট বার এর সাবেক সাত বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, সাব-কমিটির অবৈধ আহ্বায়ক দিয়ে নির্বাচনের নাটক সাজানো হয়েছে। আইনজীবীদের অংশগ্রহণ ছাড়া সাজানো ভোটের মধ্য দিয়ে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবীদের এসোসিয়েশনের মর্যাদা ও গৌরবকে ধ্বংশ করে দেয়া হয়েছে। শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, সারা পৃথিবী তাদের অপকর্ম দেখেছে।
এ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদে (সাদা প্যানেল) সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও সম্পাদক পদে আবদুন নূর দুলাল প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এই প্যানেলে দুই সহ-সভাপতি পদে মোহাম্মদ আলী আজম ও জেসমিন সুলতানা, কোষাধ্যক্ষ পদে এম. মাসুদ আলম চৌধুরী এবং দুই সহ-সম্পাদক পদে এবিএম নূরে আলম (উজ্জ্বল) ও এম হারুন উর রশিদ প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। সাত সদস্য পদে রয়েছেন মো. সাফায়েত হোসেন সজীব, মহিউদ্দিন রুদ্রু, শফিক রায়হান শাওন, সুভাষ চন্দ্র দাস, নাজমুল হোসেন স্বপন, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মনিরুজ্জামান রানাকে।
অপরদিকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলে (নীল প্যানেল) সুপ্রিমকোর্ট বার এর সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনকে সভাপতি পদে ও ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজলকে সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন। নীল প্যানেলের দুই সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী হলেন-হুমায়ুন কবির মঞ্জু ও সরকার তাহমিনা সন্ধ্যা। কোষাধ্যক্ষ পদে রেজাউল করিম, দুই সহ-সম্পাদক পদে মাহফুজুর রহমান মিলন ও মো.আব্দুল করিম। সাতটি সদস্য পদের প্রার্থীরা হচ্ছেন-ফাতিমা আক্তার, ফজলে এলাহি অভি, শফিকুল ইসলাম, রাসেল আহমেদ, আশিকুজ্জামান নজরুল, ব্যারিস্টার ফয়সাল দস্তগীর ও মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ।
এ নির্বাচনে সভাপতি পদে ৩ জন, সহ-সভাপতির দুটি পদে ৫ জন, সম্পাদক পদে ২ জন, কোষাধ্যক্ষ পদে ২ জন, সহসম্পাদকের দুটি পদের বিপরীতে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এছাড়া ৭ টি সদস্য পদের বিপরীতে ১৫ জন প্রার্থী রয়েছেন।
আজ ১৫ ও কাল ১৬ মার্চ অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের জন্য গত ২৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে একটি নোটিশ জারি করা হয়। নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী, ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫ টার মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা নেয়া হয়। ৫ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫ টায় মনোনয়নপত্র বাছাই এবং ৮ মার্চ বিকেল ৫ টার মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল।
কাযর্করী কমিটির সভাপতি পদে একটি, সহ-সভাপতি পদে দু’টি, সম্পাদক পদে একটি, কোষাধ্যক্ষ পদে একটি, সহ-সম্পাদক পদে দুটি এবং কার্যকরী কমিটির সদস্য পদে ৭ টি পদসহ সর্বমোট ১৪টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
এ নির্বাচন অনুষ্টানে সাব-কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাথে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের মধ্যে ভিন্নমত ছিল। নির্বাচন সংক্রান্ত সাব-কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মনিরুজ্জান আহ্বায়ক বিষয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের নেতৃবৃন্দ বলেন, তার নিয়োগ প্রশ্নবিদ্ধ। তারা নির্বাচন বাতিল করে গ্রহণযোগ্য কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচনের দাবী জানান। এ নিয়ে দুপক্ষের মাঝে আজ ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটেছে। গতকাল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের নেতৃবৃন্দসহ তাদের সমর্থকেরা নির্বাচনের প্রবেশ প্যান্ডেল ভাঙচুর করেছে।
ডিএএম/এসকে//