বেঙ্গল সায়েন্টিফিককে কালো তালিকাভুক্তির আদেশ স্থগিত
- Update Time : ০২:১৩:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩
- / ১ Time View
সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক:
দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মেডিকেল উপকরণ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন।
ছয় মাসের জন্য এই স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দুদক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আদেশ কেন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির স্বত্বাধিকারী জাহের উদ্দিন সরকার ও নুসরাত জাহান রত্নার করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রিটে আবেদনের পক্ষে ছিলেন সাবেক অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল সিনিয়র আইনজীবী মুরাদ রেজা, এডভোকেট মো. রোকনুজ্জামান প্রিন্স, মিল্টন দাস ও স্বপ্নীল ভট্টাচার্য। দুদকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
আদেশের পর এডভোকেট মো. রোকনুজ্জামান প্রিন্স জানান, কালো তালিকাভুক্তির আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিকেল কোম্পানির ব্যবসা পরিচালনায় কোনো বাঁধা নেই।
আইনজীবীরা জানান, বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানি দীর্ঘদিন বাংলাদেশে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। এই কোম্পানিটি এর আগে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক্সরে, আল্ট্রাসনোগ্রাম, সিটি স্ক্যান, এমআরআই, ইকো, ব্লাড গ্যাস অ্যানালাইজার মেশিনসহ এক হাজারের বেশি উপকরণ সরবরাহ করেছে। বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির প্রস্তুতকৃত এসব মেশিনারিজ যথাযথভাবে সচল রয়েছে।
কিন্তু দুদক ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর বেশ কয়েকটি কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করতে মন্ত্রী পরিষদ সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে চিঠি দেয়। ওই চিঠিতে বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির নাম যুক্ত করা হয় উদ্দেশ্যমূলকভাবে।
এরপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করে ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি আদেশ জারি করে। দুদক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়।
এই রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট দুদক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আদেশের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন এবং রুল জারি করেছেন।
ডিএএম/কেকে//