Dhaka ০৫:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের প্রতি সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ: ‘সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে গল্প ফাঁদার চেষ্টা করবেন না’

  • Update Time : ০৬:৫০:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ১ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ১১ বছরেও তদন্ত শেষ না হওয়ায় চরম ক্ষুব্ধ সাংবাদিক সমাজ।

সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, খুনের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেফতার করা হবে। কিন্তু ৯৫ হাজারের বেশি ঘণ্টা পার হলেও তদন্তই শেষ হয়নি। সাগর-রুনির খুনের বিচার ৪৮ বছরেও শেষ হবে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছে সাংবাদিক সমাজ। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ করে সাংবাদিক নেতারা এসব কথা বলেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও তাঁর স্ত্রী মেহেরুন রুনি। বহুল আলোচিত এই খুনের মামলা তদন্ত করছে র‍্যাব। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ৯৫ বার আদালতের কাছে সময় নিয়েছে র‍্যাব।

সাগর-রুনি খুনের মামলার তদন্তে বিলম্বের বিষয়ে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘এই ১১ বছর আমাদের সাংবাদিক সমাজের সঙ্গে খেলাধুলা হয়েছে রাষ্ট্রের দিক থেকে, যেভাবে বিব্রত ও বিভ্রান্ত করা হয়েছে, আমি হতাশ। আমার মতো সাংবাদিক ভাইরাও কিন্তু হতাশায় নিমজ্জিত। তাঁরা ধরেই নিয়েছেন, আমরা যতই আন্দোলন করি, এর কোনো সুরাহা হবে না; খুনিরা ধরা পড়বে না। রাষ্ট্র যেদিকে চলছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেদিকে চলছে। সেদিকেই যাবে। শেষ পর্যন্ত ফল শূন্য হবে। তবে রাষ্ট্র ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলতে চাই, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোনো ধরনের গল্প ফাঁদার চেষ্টা করবেন না।’

তদন্তকারী কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশে সাংবাদিক সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে কোনো ধরনের গল্প ফেঁদে যদি এই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে সাংবাদিক সমাজের লড়াই শুরু হবে। একটি ঘটনার তদন্ত করতে ৯৫ বার সময় নেয়। কেউ কি এটা বিশ্বাস করবেন, আপনারা এটি করতে পারছেন না। সবাই ধরে নিয়েছেন, আপনাদের এটি তদন্ত করার সদিচ্ছা নেই। রাষ্ট্র ধরে নিচ্ছে, সাংবাদিক হত্যা হলে আর কী হবে; সাংবাদিকই তো।

সমাবেশে বক্তব্য দেয়া অধিকাংশ সাংবাদিক নেতা অভিযোগ করেন, সাগর-রুনির খুনের বিচার না হওয়ার কারণে আরও অনেক সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছেন।

সমাবেশে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী বলেন, আমরা আর কতকাল সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য অপেক্ষা করব। আর কতকাল সময় দেব? যেকোনো হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়, হচ্ছে—আমরা দেখেছি। কিন্তু সাংবাদিকদের হত্যাকাণ্ডের মামলাগুলোর বিচার হচ্ছে না।

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে মুরসালিন নোমানী বলেন, অতীতেও আমরা সাংবাদিক সমাজ এক হয়ে বিচারের দাবিতে আন্দোলন করেছি। এখনো আন্দোলন করছি। যত দিন এই খুনের তদন্ত ও বিচার শেষ না হবে, তত দিন আন্দোলন চালিয়ে যাবে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেয়া সাংবাদিক নেতারা অভিযোগ করেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রতিনিয়ত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে। সাংবাদিক নেতারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানান।

প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, ডিআরইউর সহসভাপতি দিপু সারোয়ার, যুগ্ম সম্পাদক মঈনুল হাসান, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কিরন শেখ, চ্যানেল আইয়ের বিশেষ প্রতিনিধি মাজহারুল হক মান্না, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।

এসএম/কেকে//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের প্রতি সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ: ‘সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে গল্প ফাঁদার চেষ্টা করবেন না’

Update Time : ০৬:৫০:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ১১ বছরেও তদন্ত শেষ না হওয়ায় চরম ক্ষুব্ধ সাংবাদিক সমাজ।

সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, খুনের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেফতার করা হবে। কিন্তু ৯৫ হাজারের বেশি ঘণ্টা পার হলেও তদন্তই শেষ হয়নি। সাগর-রুনির খুনের বিচার ৪৮ বছরেও শেষ হবে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছে সাংবাদিক সমাজ। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ করে সাংবাদিক নেতারা এসব কথা বলেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও তাঁর স্ত্রী মেহেরুন রুনি। বহুল আলোচিত এই খুনের মামলা তদন্ত করছে র‍্যাব। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ৯৫ বার আদালতের কাছে সময় নিয়েছে র‍্যাব।

সাগর-রুনি খুনের মামলার তদন্তে বিলম্বের বিষয়ে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘এই ১১ বছর আমাদের সাংবাদিক সমাজের সঙ্গে খেলাধুলা হয়েছে রাষ্ট্রের দিক থেকে, যেভাবে বিব্রত ও বিভ্রান্ত করা হয়েছে, আমি হতাশ। আমার মতো সাংবাদিক ভাইরাও কিন্তু হতাশায় নিমজ্জিত। তাঁরা ধরেই নিয়েছেন, আমরা যতই আন্দোলন করি, এর কোনো সুরাহা হবে না; খুনিরা ধরা পড়বে না। রাষ্ট্র যেদিকে চলছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেদিকে চলছে। সেদিকেই যাবে। শেষ পর্যন্ত ফল শূন্য হবে। তবে রাষ্ট্র ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলতে চাই, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোনো ধরনের গল্প ফাঁদার চেষ্টা করবেন না।’

তদন্তকারী কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশে সাংবাদিক সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে কোনো ধরনের গল্প ফেঁদে যদি এই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে সাংবাদিক সমাজের লড়াই শুরু হবে। একটি ঘটনার তদন্ত করতে ৯৫ বার সময় নেয়। কেউ কি এটা বিশ্বাস করবেন, আপনারা এটি করতে পারছেন না। সবাই ধরে নিয়েছেন, আপনাদের এটি তদন্ত করার সদিচ্ছা নেই। রাষ্ট্র ধরে নিচ্ছে, সাংবাদিক হত্যা হলে আর কী হবে; সাংবাদিকই তো।

সমাবেশে বক্তব্য দেয়া অধিকাংশ সাংবাদিক নেতা অভিযোগ করেন, সাগর-রুনির খুনের বিচার না হওয়ার কারণে আরও অনেক সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছেন।

সমাবেশে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী বলেন, আমরা আর কতকাল সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য অপেক্ষা করব। আর কতকাল সময় দেব? যেকোনো হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়, হচ্ছে—আমরা দেখেছি। কিন্তু সাংবাদিকদের হত্যাকাণ্ডের মামলাগুলোর বিচার হচ্ছে না।

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে মুরসালিন নোমানী বলেন, অতীতেও আমরা সাংবাদিক সমাজ এক হয়ে বিচারের দাবিতে আন্দোলন করেছি। এখনো আন্দোলন করছি। যত দিন এই খুনের তদন্ত ও বিচার শেষ না হবে, তত দিন আন্দোলন চালিয়ে যাবে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেয়া সাংবাদিক নেতারা অভিযোগ করেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রতিনিয়ত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে। সাংবাদিক নেতারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানান।

প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, ডিআরইউর সহসভাপতি দিপু সারোয়ার, যুগ্ম সম্পাদক মঈনুল হাসান, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কিরন শেখ, চ্যানেল আইয়ের বিশেষ প্রতিনিধি মাজহারুল হক মান্না, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।

এসএম/কেকে//