Dhaka ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

পিতার জীবদ্দশায় কখনো খোজ নেননি মেয়ে : মৃত্যুর পর সম্পত্তির জন্য জানাজা-দাফনে প্রতিবন্ধকতা

  • Update Time : ০৪:২৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ১ Time View

কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা নগরীর হাউজিং এস্টেটের বাসিন্দা
ডা. সিরাজুল হকের মেয়ে হাছনেয়ারা বেগম। ডা. সিরাজ দীর্ঘ প্রায় দুই দশক ধরে প্যারালাইজড। দীর্ঘ এ সময়ে কখনো পিতার সেবায় এগিয়ে আসেননি মেয়ে হাছনেয়ারা।

ডা সিরাজুল হকের প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম শ্রীপুরের মজুমদার বাড়ীর স্বনামধন্য আফসার মজুমদারের বড় মেয়ে সেতারা বেগমকে বিয়ে করেন। শহরের হাউজিং এস্টেট এলাকায় দেড়তলা বাড়ীতে স্ত্রীসহ বসবাস করতেন ডা. সিরাজ। হোমিও চিকিৎসক ডা. সিরাজ দীর্ঘ সময় চকবাজারে চেম্বার করেছেন। বয়স বাড়ায় এক পর্যায়ে নিজ বাসায় চেম্বার করতেন। প্যারালাইজড হয়ে যাওয়ায় সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। ডা. সিরাজকে এই দীর্ঘ সময় পরম মমতায় আগলে রেখেছেন সেতারা বেগম। দিয়ে গেছেন অকৃত্রিম সেবা-শুশ্রূষা। স্বামীর জীবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত বাসা ও হাসপাতালে নিরলস সেবা দিয়ে গেছেন সেতারা বেগম। তার ভাই ও বোনেরা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় তারাও বোনের বিপদে ছায়া হয়ে পাশে ছিলেন।

প্রতিবেশীরা জানায়, একজন অমায়িক ও মহিয়সী নারী সেতারা বেগম। তার স্বামীর বাসায় দেবড়সহ অনেক স্বজন বছরের পর বছর থেকে তাদের পেশা ও পড়াশনা পরিচালনা করেছেন। ডা. সিরাজুল হকের এ বাড়ীতে ভাড়া থেকেছেন এমন পরিবারও সেতারা বেগমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

স্বজনরা জানান, ডা. সিরাজুল হক তার জীবদ্দশায় মেয়ে ও ভাইদের গ্রামের বাড়ীর সম্পত্তি দান করে গেছেন। দ্বিতীয় স্ত্রী সেতারা বেগম নি:সন্তান হওয়ায় আগের সংসারের মেয়ে হাছনেয়ারা বেগম তার মেয়ে জামাইসহ কিছু লোককে এনে পিতার লাশ দাফনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। যেন উপস্থিত মানুষের আবেগ কাজে লাগিয়ে শহরের বাড়ীটি দখলে নিতে পারেন। পরিকল্পিত ভাবে কিছু ইউটিউভারকে সাথে করে নিয়ে এসেছেন।

উপস্থিত স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী ও প্রতিবেশীগন মেয়ে হাছনেয়ারা বেগমের এরূপ ঘটনায় হতবাক হয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে সত্য-মিথ্যা মিলিয়ে নানা সংবাদ ও গুজব রটিয়েছে নগর জুড়ে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

মেয়ে যখন সম্পত্তির জন্য গণ্ডগোল করছেন তখন দ্বিতীয় স্ত্রী সেতারা বেগম বলেন, একজন নারীর পরিচয় ও সামাজিক অস্তিত্ব তার স্বামী। স্বামীর মরদেহ সামনে রেখে আমি কোন কিছু বলতে চাইনা। আমার স্বামী দুনিয়ার কোন সম্পত্তি নিয়ে কবরে যাচ্ছেন না। আমাদেরও আমার স্বামীর পথে যেতেই হবে।

মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারি বিকেলে নগরীর হাউজিং এস্টেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের মধ্যস্ততায় জানাজা শেষে মৃত ডা সিরাজুল হকের দাফন করা হয়।

ডা. সিরাজুল হক মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মারা যান। খবরে পেয়ে তার একমাত্র মেয়ে ও মেয়ের জামাতাসহ কয়েকজন বাসায় আসেন। দাফনের সময় নির্ধারণ করা হয় বিকেল ৪টায়। কিন্তু সম্পত্তি নিয়ে মেয়ে ও মেয়ের জামাতা গণ্ডগোল শুরু করে। একপর্যায়ে উপস্থিত স্বজনদের সাথে মেয়ের সাথে আসা লোকজনের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।

পরে পুলিশ ও স্থানীয়দের মধ্যস্ততায় প্রায় এক ঘণ্টা পর বিকেল ৫টায় জানাজা শেষে দাফন করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোর্শেদ বলেন, এটি তাদের পারিবারিক বিষয়। পরে তারা নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করেই মরদেহ দাফন করেছে। এখানে আইনি কোনো জটিলতা নেই।

ডা. সিরাজুল হকের মেয়ে হাছনেয়ারা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, আমার যখন বয়স ১২ বছর তখন মা মারা যান। ১৫ বছর বয়সে আমার বিয়ে হয়। এরপর থেকে স্বামীর বাড়ি চলে যাই। বাবা ঘরে একা, তাই দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ওই সংসারে কোনো সন্তান হয়নি। গত ২০ বছর ধরে বাবা অসুস্থ ছিলেন। চারবার স্ট্রোক করেছেন। তখন আমার সৎমা সেতারা বেগম তার ভাই জাহাঙ্গীর ও তারেক হাউজিং জমির টিপসই নেয়। তিনি হাউজিং এস্টেট বা গ্রামের বাড়ির কোনো সম্পত্তি পাননি বলে তার দাবী।

‘তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি সিরাজুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী সেতারা বেগম। তিনি বলেন, স্বামীর লাশ সামনে রেখে এ বিষয়ে এখন আমি কোনো কথা বলবো না।’

প্রতিবেশীরা বলেন, উনার দ্বিতীয় স্ত্রী গত প্রায় ২০ বছর ধরে নিরলসভাবে স্বামীর সেবা করে যাচ্ছে। উনি এই দীর্ঘ সময় প্যারালাইজড। উনার যাবতীয় দেখভাল করেছেন উনার দ্বিতীয় স্ত্রী। কোনদিন উনার প্রথম ঘরের মেয়ে বা তার পরিবার আসেনি, খোঁজ খবরও রাখেনি। মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে পরিকল্পিত ভাবে লোকভাড়া করে জানাজা ও দাফন কাজে ব্যাঘাত ঘটায়।

স্বজনরা বলেন, হাছনেয়ারা বেগম বিভিন্ন ইউটিউভার ও সংবাদকর্মীর কাছে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা মিথ্যা ও বানোয়াট এবং মনগড়া। সেতারা বেগমের বড়ভাই জাহাঙ্গীর মজুমদার কাষ্টমস কর্মকর্তা হিসেবে চাকরী শেষে এখন অবসরজীবনে। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি স্বজন কল্যান সংঘের সাবেক সভাপতি। একজন দক্ষ সংগঠক ও মানবিক মানুষ হিসেবে তার সুখ্যাতি রয়েছে। ডা.সিরাজুল হকের হাউজিং এর বাড়ীর কোন দানপত্রে তার নাম নেই। তিনি হাছনেয়ারা বেগমের আচরনে হতবাক! জাহাঙ্গীর মজুমদারের পৈত্রিক বাসা নগরীর কান্দিরপাড়ে। তিনি সমাজে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তিত্ব।

হাছনেয়ারা বেগম তার বক্তব্যে তারেক নামে একটি নাম বলেছেন। সেতারা বেগমের এ নামে কোন আপন ভাই নেই।

ডিএএম/কেকে//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

পিতার জীবদ্দশায় কখনো খোজ নেননি মেয়ে : মৃত্যুর পর সম্পত্তির জন্য জানাজা-দাফনে প্রতিবন্ধকতা

Update Time : ০৪:২৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা নগরীর হাউজিং এস্টেটের বাসিন্দা
ডা. সিরাজুল হকের মেয়ে হাছনেয়ারা বেগম। ডা. সিরাজ দীর্ঘ প্রায় দুই দশক ধরে প্যারালাইজড। দীর্ঘ এ সময়ে কখনো পিতার সেবায় এগিয়ে আসেননি মেয়ে হাছনেয়ারা।

ডা সিরাজুল হকের প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম শ্রীপুরের মজুমদার বাড়ীর স্বনামধন্য আফসার মজুমদারের বড় মেয়ে সেতারা বেগমকে বিয়ে করেন। শহরের হাউজিং এস্টেট এলাকায় দেড়তলা বাড়ীতে স্ত্রীসহ বসবাস করতেন ডা. সিরাজ। হোমিও চিকিৎসক ডা. সিরাজ দীর্ঘ সময় চকবাজারে চেম্বার করেছেন। বয়স বাড়ায় এক পর্যায়ে নিজ বাসায় চেম্বার করতেন। প্যারালাইজড হয়ে যাওয়ায় সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। ডা. সিরাজকে এই দীর্ঘ সময় পরম মমতায় আগলে রেখেছেন সেতারা বেগম। দিয়ে গেছেন অকৃত্রিম সেবা-শুশ্রূষা। স্বামীর জীবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত বাসা ও হাসপাতালে নিরলস সেবা দিয়ে গেছেন সেতারা বেগম। তার ভাই ও বোনেরা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় তারাও বোনের বিপদে ছায়া হয়ে পাশে ছিলেন।

প্রতিবেশীরা জানায়, একজন অমায়িক ও মহিয়সী নারী সেতারা বেগম। তার স্বামীর বাসায় দেবড়সহ অনেক স্বজন বছরের পর বছর থেকে তাদের পেশা ও পড়াশনা পরিচালনা করেছেন। ডা. সিরাজুল হকের এ বাড়ীতে ভাড়া থেকেছেন এমন পরিবারও সেতারা বেগমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

স্বজনরা জানান, ডা. সিরাজুল হক তার জীবদ্দশায় মেয়ে ও ভাইদের গ্রামের বাড়ীর সম্পত্তি দান করে গেছেন। দ্বিতীয় স্ত্রী সেতারা বেগম নি:সন্তান হওয়ায় আগের সংসারের মেয়ে হাছনেয়ারা বেগম তার মেয়ে জামাইসহ কিছু লোককে এনে পিতার লাশ দাফনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। যেন উপস্থিত মানুষের আবেগ কাজে লাগিয়ে শহরের বাড়ীটি দখলে নিতে পারেন। পরিকল্পিত ভাবে কিছু ইউটিউভারকে সাথে করে নিয়ে এসেছেন।

উপস্থিত স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী ও প্রতিবেশীগন মেয়ে হাছনেয়ারা বেগমের এরূপ ঘটনায় হতবাক হয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে সত্য-মিথ্যা মিলিয়ে নানা সংবাদ ও গুজব রটিয়েছে নগর জুড়ে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

মেয়ে যখন সম্পত্তির জন্য গণ্ডগোল করছেন তখন দ্বিতীয় স্ত্রী সেতারা বেগম বলেন, একজন নারীর পরিচয় ও সামাজিক অস্তিত্ব তার স্বামী। স্বামীর মরদেহ সামনে রেখে আমি কোন কিছু বলতে চাইনা। আমার স্বামী দুনিয়ার কোন সম্পত্তি নিয়ে কবরে যাচ্ছেন না। আমাদেরও আমার স্বামীর পথে যেতেই হবে।

মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারি বিকেলে নগরীর হাউজিং এস্টেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের মধ্যস্ততায় জানাজা শেষে মৃত ডা সিরাজুল হকের দাফন করা হয়।

ডা. সিরাজুল হক মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মারা যান। খবরে পেয়ে তার একমাত্র মেয়ে ও মেয়ের জামাতাসহ কয়েকজন বাসায় আসেন। দাফনের সময় নির্ধারণ করা হয় বিকেল ৪টায়। কিন্তু সম্পত্তি নিয়ে মেয়ে ও মেয়ের জামাতা গণ্ডগোল শুরু করে। একপর্যায়ে উপস্থিত স্বজনদের সাথে মেয়ের সাথে আসা লোকজনের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।

পরে পুলিশ ও স্থানীয়দের মধ্যস্ততায় প্রায় এক ঘণ্টা পর বিকেল ৫টায় জানাজা শেষে দাফন করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোর্শেদ বলেন, এটি তাদের পারিবারিক বিষয়। পরে তারা নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করেই মরদেহ দাফন করেছে। এখানে আইনি কোনো জটিলতা নেই।

ডা. সিরাজুল হকের মেয়ে হাছনেয়ারা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, আমার যখন বয়স ১২ বছর তখন মা মারা যান। ১৫ বছর বয়সে আমার বিয়ে হয়। এরপর থেকে স্বামীর বাড়ি চলে যাই। বাবা ঘরে একা, তাই দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ওই সংসারে কোনো সন্তান হয়নি। গত ২০ বছর ধরে বাবা অসুস্থ ছিলেন। চারবার স্ট্রোক করেছেন। তখন আমার সৎমা সেতারা বেগম তার ভাই জাহাঙ্গীর ও তারেক হাউজিং জমির টিপসই নেয়। তিনি হাউজিং এস্টেট বা গ্রামের বাড়ির কোনো সম্পত্তি পাননি বলে তার দাবী।

‘তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি সিরাজুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী সেতারা বেগম। তিনি বলেন, স্বামীর লাশ সামনে রেখে এ বিষয়ে এখন আমি কোনো কথা বলবো না।’

প্রতিবেশীরা বলেন, উনার দ্বিতীয় স্ত্রী গত প্রায় ২০ বছর ধরে নিরলসভাবে স্বামীর সেবা করে যাচ্ছে। উনি এই দীর্ঘ সময় প্যারালাইজড। উনার যাবতীয় দেখভাল করেছেন উনার দ্বিতীয় স্ত্রী। কোনদিন উনার প্রথম ঘরের মেয়ে বা তার পরিবার আসেনি, খোঁজ খবরও রাখেনি। মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে পরিকল্পিত ভাবে লোকভাড়া করে জানাজা ও দাফন কাজে ব্যাঘাত ঘটায়।

স্বজনরা বলেন, হাছনেয়ারা বেগম বিভিন্ন ইউটিউভার ও সংবাদকর্মীর কাছে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা মিথ্যা ও বানোয়াট এবং মনগড়া। সেতারা বেগমের বড়ভাই জাহাঙ্গীর মজুমদার কাষ্টমস কর্মকর্তা হিসেবে চাকরী শেষে এখন অবসরজীবনে। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি স্বজন কল্যান সংঘের সাবেক সভাপতি। একজন দক্ষ সংগঠক ও মানবিক মানুষ হিসেবে তার সুখ্যাতি রয়েছে। ডা.সিরাজুল হকের হাউজিং এর বাড়ীর কোন দানপত্রে তার নাম নেই। তিনি হাছনেয়ারা বেগমের আচরনে হতবাক! জাহাঙ্গীর মজুমদারের পৈত্রিক বাসা নগরীর কান্দিরপাড়ে। তিনি সমাজে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তিত্ব।

হাছনেয়ারা বেগম তার বক্তব্যে তারেক নামে একটি নাম বলেছেন। সেতারা বেগমের এ নামে কোন আপন ভাই নেই।

ডিএএম/কেকে//