নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশবরেণ্য ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজ্ঞ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি টি এইচ খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে সুপ্রিমকোর্টে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার ১৬ জানুয়ারি বাদ আসর জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগের সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি মসজিদে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি খ্যাতনামা এই আইনজ্ঞের জন্য দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এতে হাজারো আইনজীবী অংশ নিয়ে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
দোয়া অনুষ্ঠানে বিচারপতি টি এইচ খানের বড় ছেলে সাবেক এমপি সুপ্রিমকোর্টের এডভোকেট আফজাল এইচ খান মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করার জন্য সবার কাছে আবেদন জানান।
দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেন জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি সদস্য ব্যারিস্টার মুহম্মদ জমির উদ্দিন সরকার, সাবেক এটর্নি জেনারেল ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ফয়সাল এইচ খান।
উপস্থিত ছিলেন জাতীয়াতাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিমকোর্ট ইউনিটের সভাপতি আবদুল জব্বার ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল, সুপ্রিমকোর্ট বারের জনপ্রিয় সম্পাদক মো: রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, সুপ্রিমকোর্ট বারের বর্তমান ট্রেজারার মো: কামাল হোসেন, সহ-সম্পাদক মাহবুবুর রহমান খান, ব্যারিস্টার মাহফুজ বিন ইউসুফ, সাবেক সহ-সম্পাদক এ জেড এম মোরশেদ আল মামুন লিটন, এ এইচ এম কামরুজ্জামান মামুন, মাহমুদ হাসান, মনিরুজ্জামান আসাদ, জহিরুল ইসলাম সুমন, শহিদুল ইসলাম সপু, মো: মাকসুদ উল্লাহ, কে আর খান পাঠান, আইয়ুব আলী আশ্রাফী, মু. কাইয়ুম প্রমুখ।
দেশবরেণ্য ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় এই আইনবিদ ১৯২০ সালের ২১ অক্টোবর ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলাধীন ঔটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং গত বছরের ১৬ জানুয়ারি ১০২ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।
টি এইচ খান ১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে তিনি পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালের ১৫ নভেম্বর আইন, শিক্ষা, ধর্ম, ভূমি ও রাজস্ব এবং ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
বিচারপতি টি এইচ খান ১৯৯২ সালে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন। এই পদে তিনি ২০১১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিএনপির প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
১৯৯২ সনে তিনি সুইজারল্যান্ডের জেনেভাস্থ জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যার রাইটস কমিশনের মেম্বার এবং একই বছর জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দান করেন। ১৯৯৫ সালে বিচারপতি টিএইচ খান এশিয়া জোন থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত রুয়ান্ডা ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি নির্বাচিত হন।
১৯৯৯ সালের ১৯ জুন মাস পর্যন্ত জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারী জেনারেল পদে বিচার কার্য পরিচালনা করেন।
ডিএএম/কেকে/
Leave a Reply