Dhaka ০১:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

প্রতারক আল আজিজকে এক মামলায় অর্থদন্ডসহ জেল

  • Update Time : ০৫:৫২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আল আজিজ একজন পেশাদার প্রতারক। এক ভুক্তভোগীর আনা মামলায় আনীত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় অর্থদন্ডসহ জেল দিয়ে রায় ঘোষণা করেছে ঢাকার একটি আদালত।

ঢাকার যুগ্ম মহানগরদায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মোঃ আমিরুল ইসলাম (মোকদ্দমা নং-মের্ট্রো দায়রা-২৩৭৫৭/২০১৯) মামলায় আনীত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় পলাতক আসামি আল আজিজকে ৬ মাসের জেল এবং ১০লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়ে সম্প্রতি রায় ঘোষণা করেন। অর্থদন্ডের সমুদয় টাকা মামলার বাদী মোঃ মনির হোসেন প্রাপ্ত হবেন বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার বাদীকে রায়ের ৬০ দিনের মধ্যে অর্থদন্ডের টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়। রায় বাস্তবায়ন না করে আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন।

ভুক্তভোগী মনির হোসেন বলেন, আল আজিজ একজন প্রতারক। পূর্বাচল ট্রেডার্স নামে একটি মাইক্রোক্রেডিট প্রতিষ্ঠান খুলে ঢাকার বাড্ডা এলাকায় ব্যবসা পরিচালনা শুরু করে ওই প্রতারক। পরিকল্পিতভাবে প্রতরাণার উদ্দেশ্যে আল আজিজ সেখানে প্রথমে ছোট ছোট কিছু লোন দিয়ে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করেন। একপর্যায়ে বেশী লাভের লোভ দেখিয়ে মানুষকে তার প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগে আগ্রহী করে।

মনির হোসেন জানান, প্রতারক আল আজিজের পূর্বাচল ট্রেডার্স নামের প্রতিষ্ঠানটি তার বাসার কাছেই ছিল। ফলে আল আজিজের সাথে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে আল আজিজের কথায় উৎসাহিত হয়ে জমানো ও নিজটজনদের কাছ থেকে ধার করে মোট ১০লাখ ৫০ হাজার টাকা তাকে দেই। প্রতারক আল আজিজ গ্যারাণ্টি হিসেবে এই টাকার চেক দেয়। এভাবে অনেকের কাছ থেকে আল আজিজ প্রতারনা করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে পালিয়ে যায়। অনেক খুজাখুজির পরও তাকে না পাওয়ায় চেকটি দিয়ে সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ি মামলা রুজু করি। আনীত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় প্রতারক আল আজিজকে দন্ড দিয়ে রায় দেন আদালত।

মনির হোসেন জানান, সরল বিশ্বাসে অর্থ বিনোয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন আমার মত অনেকেই। আদালত রায়ে বলেছেন। রায়ে উল্লেখিত অর্থ দন্ডিত আসামি থেকে না পেলে আমি ফৌজদারি কার্যবিধি-১৮৯৮ এর ৩৮৬ ধারা অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবো।

মনির জানান, আসামি দন্ডিত আল আজিজের স্থায়ী ঠিকানা কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার বাঙ্গুরা এলাকার সীমানারপাড়। তার পিতার নাম হাজী রুহুল আমিন ও মাতা মোমেনা বেগম। মনির জানান, স্থানীয় থানায় আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর সাথে আসামি গ্রেফতার বিষয়ে যোগাযোগ করলে তারা সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

ডিএএম/কেকে//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

প্রতারক আল আজিজকে এক মামলায় অর্থদন্ডসহ জেল

Update Time : ০৫:৫২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আল আজিজ একজন পেশাদার প্রতারক। এক ভুক্তভোগীর আনা মামলায় আনীত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় অর্থদন্ডসহ জেল দিয়ে রায় ঘোষণা করেছে ঢাকার একটি আদালত।

ঢাকার যুগ্ম মহানগরদায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মোঃ আমিরুল ইসলাম (মোকদ্দমা নং-মের্ট্রো দায়রা-২৩৭৫৭/২০১৯) মামলায় আনীত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় পলাতক আসামি আল আজিজকে ৬ মাসের জেল এবং ১০লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়ে সম্প্রতি রায় ঘোষণা করেন। অর্থদন্ডের সমুদয় টাকা মামলার বাদী মোঃ মনির হোসেন প্রাপ্ত হবেন বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার বাদীকে রায়ের ৬০ দিনের মধ্যে অর্থদন্ডের টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়। রায় বাস্তবায়ন না করে আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন।

ভুক্তভোগী মনির হোসেন বলেন, আল আজিজ একজন প্রতারক। পূর্বাচল ট্রেডার্স নামে একটি মাইক্রোক্রেডিট প্রতিষ্ঠান খুলে ঢাকার বাড্ডা এলাকায় ব্যবসা পরিচালনা শুরু করে ওই প্রতারক। পরিকল্পিতভাবে প্রতরাণার উদ্দেশ্যে আল আজিজ সেখানে প্রথমে ছোট ছোট কিছু লোন দিয়ে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করেন। একপর্যায়ে বেশী লাভের লোভ দেখিয়ে মানুষকে তার প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগে আগ্রহী করে।

মনির হোসেন জানান, প্রতারক আল আজিজের পূর্বাচল ট্রেডার্স নামের প্রতিষ্ঠানটি তার বাসার কাছেই ছিল। ফলে আল আজিজের সাথে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে আল আজিজের কথায় উৎসাহিত হয়ে জমানো ও নিজটজনদের কাছ থেকে ধার করে মোট ১০লাখ ৫০ হাজার টাকা তাকে দেই। প্রতারক আল আজিজ গ্যারাণ্টি হিসেবে এই টাকার চেক দেয়। এভাবে অনেকের কাছ থেকে আল আজিজ প্রতারনা করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে পালিয়ে যায়। অনেক খুজাখুজির পরও তাকে না পাওয়ায় চেকটি দিয়ে সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ি মামলা রুজু করি। আনীত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় প্রতারক আল আজিজকে দন্ড দিয়ে রায় দেন আদালত।

মনির হোসেন জানান, সরল বিশ্বাসে অর্থ বিনোয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন আমার মত অনেকেই। আদালত রায়ে বলেছেন। রায়ে উল্লেখিত অর্থ দন্ডিত আসামি থেকে না পেলে আমি ফৌজদারি কার্যবিধি-১৮৯৮ এর ৩৮৬ ধারা অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবো।

মনির জানান, আসামি দন্ডিত আল আজিজের স্থায়ী ঠিকানা কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার বাঙ্গুরা এলাকার সীমানারপাড়। তার পিতার নাম হাজী রুহুল আমিন ও মাতা মোমেনা বেগম। মনির জানান, স্থানীয় থানায় আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর সাথে আসামি গ্রেফতার বিষয়ে যোগাযোগ করলে তারা সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

ডিএএম/কেকে//