Dhaka ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

আবদুল মতিন খসরু স্কুলের মাঠে আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণে হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা

  • Update Time : ০২:১৫:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ০ Time View

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিনিধি:
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী মকিমপুর আবদুল মতিন খসরু বিদ্যালয়ের মাঠে আশ্রায়ণ প্রকল্প নির্মাণের ওপর স্থিতিবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট।
ফলে আপাতত ওই মাঠে আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘরনির্মাণ করা যাবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বিচারপতি মো.খসরুজ্জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আতিকুর রহমান খান আজ বিষয়টি সারাদেশকে জানান। তিনি জানান, উপজেলার মকিমপুর আবদুল মতিন খসরু উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ২২ একর খাস জমি রয়েছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ৩ একরের মতো জমি খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এ জায়গায় আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা প্রশাসন। এর প্রতিবাদে স্কুলের শিক্ষার্থীরা ও এলাকাবাসী মানববন্ধন করে আসছে। খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত ৩ একর জমি বাদ দিয়ে অবশিষ্ট ১৯ একর জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্প করলে তাদের আপত্তি নেই। আব্দুল মতিন খসরুর স্ত্রী সেলিমা সোবহান খসরুর নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসক ও জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েও কোনো সাড়া মেলেনি। এ কারণে হাইকোর্টে রিট করা হয়। মকিমপুর আবদুল মতিন খসরু উচ্চবিদ্যালয়টি প্রয়াত সাবেক আইনমন্ত্রী এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এ বিদ্যালয়টি ব্রাহ্মণপাড়া ও মুরাদনগরের সীমানায় হওয়ার দুই উপজেলার সেতুবন্ধন এবং অনেক ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়ার সুযোগ হয়ে উঠে। লেখাপড়ার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলার চর্চা বাড়ানোর সুবিধার্থে ৩ একর জমিতে মাটি ভরাট করে একটি পূর্ণাঙ্গ মাঠ তৈরি করা হয়।

রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন এডভোকেট গোলাম রব্বানী শরীফ, এডভোকেট শামীম খান, এডভোকেট মঈন জেহাদুল আলম, এডভোকেট তাপসির আহমেদ খান।

ডিএএম/কেকে//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আবদুল মতিন খসরু স্কুলের মাঠে আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণে হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা

Update Time : ০২:১৫:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিনিধি:
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী মকিমপুর আবদুল মতিন খসরু বিদ্যালয়ের মাঠে আশ্রায়ণ প্রকল্প নির্মাণের ওপর স্থিতিবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট।
ফলে আপাতত ওই মাঠে আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘরনির্মাণ করা যাবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বিচারপতি মো.খসরুজ্জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আতিকুর রহমান খান আজ বিষয়টি সারাদেশকে জানান। তিনি জানান, উপজেলার মকিমপুর আবদুল মতিন খসরু উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ২২ একর খাস জমি রয়েছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ৩ একরের মতো জমি খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এ জায়গায় আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা প্রশাসন। এর প্রতিবাদে স্কুলের শিক্ষার্থীরা ও এলাকাবাসী মানববন্ধন করে আসছে। খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত ৩ একর জমি বাদ দিয়ে অবশিষ্ট ১৯ একর জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্প করলে তাদের আপত্তি নেই। আব্দুল মতিন খসরুর স্ত্রী সেলিমা সোবহান খসরুর নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসক ও জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েও কোনো সাড়া মেলেনি। এ কারণে হাইকোর্টে রিট করা হয়। মকিমপুর আবদুল মতিন খসরু উচ্চবিদ্যালয়টি প্রয়াত সাবেক আইনমন্ত্রী এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এ বিদ্যালয়টি ব্রাহ্মণপাড়া ও মুরাদনগরের সীমানায় হওয়ার দুই উপজেলার সেতুবন্ধন এবং অনেক ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়ার সুযোগ হয়ে উঠে। লেখাপড়ার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলার চর্চা বাড়ানোর সুবিধার্থে ৩ একর জমিতে মাটি ভরাট করে একটি পূর্ণাঙ্গ মাঠ তৈরি করা হয়।

রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন এডভোকেট গোলাম রব্বানী শরীফ, এডভোকেট শামীম খান, এডভোকেট মঈন জেহাদুল আলম, এডভোকেট তাপসির আহমেদ খান।

ডিএএম/কেকে//