সরকারি হওয়া কলেজে সহযোগী অধ্যাপক পদ অন্তর্ভুক্ত করা প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল

- Update Time : ০১:৪৯:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২২
- / ৯ Time View
নিজস্ব প্রতিবদেক:
‘সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা, ২০১৮’ বিধি ৫ এ ‘সহযোগী অধ্যাপক’ পদ অন্তর্ভুক্ত করার কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
৬ শিক্ষকের আনা এক রিট পিটিশনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথ সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটবআবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট মো.মাসুদ রানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই ‘সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা,২০১৮’ শিরোনামে গেজেট জারি করে।
বিধিমালার ৫ নম্বর বিধিতে বলা হয়, (১) নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক কোনো নির্বাচিত বেসরকারি কলেজে নিয়োগের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের তারিখে সংশ্লিষ্ট কলেজের-(ক) অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক পদে কর্মরত প্রয়োজনীয় যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকগণকে, যথাক্রমে অধ্যক্ষ (নন-ক্যাডার), উপাধ্যক্ষ (নন-ক্যাডার), সহকারী অধ্যাপক (নন-ক্যাডার)ও প্রভাষক (নন-ক্যাডার) হিসাবে, এবং (খ) কর্মচারীগণকে স্ব স্ব পদে,- উক্ত কলেজে সরকারিকরণের তারিখ হতে, বিধি ৬ এর বিধান সাপেক্ষে, আত্তীকরণের উদ্দেশ্যে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ প্রদান করিবে।
এডভোকেট মাসুদ রানা আজ জানান, এই বিধিতে সব পদের কথা থাকলেও সহযোগী অধ্যাপক পদের কথা নেই।
তাই সরকারিকরণের প্রক্রিয়ায় থাকা রাজধানীর সিদ্বেশ্বরী গার্লস কলেজের ছয়জন শিক্ষক সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা, ২০১৮’ বিধি ৫ এ সহযোগী অধ্যাপক পদ অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা চেয়ে এ রিট করে।
ছয় শিক্ষক হলেন- সিদ্বেশ্বরী গার্লস কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ এমরান হোসেন, মনোজ কুমার পাল, রুহুল কুদ্দুস মোহাম্মদ ফরহাদ, মোহাম্মদ সাদেকিন রহমান ভূঁইয়া, মো. হোসেন আলী ও মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ।
এডভোকেট মাসুদ রানা বলেন, রুলে ‘সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা,২০১৮’ বিধি ৫ এ সহযোগী অধ্যাপক পদ অন্তর্ভুক্ত করার কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না এবং ‘সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা,২০১৮’ কেন অবৈধ হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ), জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (বেসরকারি শাখা) ও উপ-সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব)-কে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ডিএএম/কেকে//