1. newsroom@saradesh.net : News Room : News Room
  2. saradesh.net@gmail.com : saradesh :
১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশের সমর্থনে জাতীয়াতাবাদী আইনজীবী ফোরামের মিছিল, বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশের তান্ডবের প্রতিবাদে কর্মসূচি - সারাদেশ.নেট
মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার হাইকোর্টে ২৩ অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ খালাস পেলেন যুবদল নেতা আইনজীবী নুরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ আপিল বিভাগে তালিকাভুক্ত হলেন এডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল

১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশের সমর্থনে জাতীয়াতাবাদী আইনজীবী ফোরামের মিছিল, বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশের তান্ডবের প্রতিবাদে কর্মসূচি

  • Update Time : বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবদেক :
১০ ডিসেম্বর পল্টনে গণসমাবেশের সমর্থনে মিছিল সমাবেশ করেছে জাতীয়াতাবাদী আইনজীবী ফোরাম।

৭ ডিসেম্বর বুধবার বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশের তান্ডব, লুটপাট, হত্যা ও গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয়াতাবাদী আইনজীবী ফোরাম। ৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১ টায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে সংগঠনটি।

সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি এলাকায় এ কর্মসূচী পালিত হবে।

বিএনপির আইনজীবী ফোরামের সদস্যসচিব ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, ‘বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ নয়াপল্টনেই করার জন্য আমরা অনড়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কোনো জনসভা করা হবে না কারণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য।’

বুধবার ৭ ডিসেম্বর সুপ্রিমকোর্ট ও আশপাশের রাস্তায় মিছিল শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক বিফ্রিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় বিএনপির গণসমাবেশ সফল করতে মিছিল বের করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।

মিছিলটি সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ভবন থেকে মিছিলটি শুরু করে হাইকোর্ট মাজারগেট দিয়ে মূল সড়কে যায়। এরপর শিক্ষাভবন, কদমফোয়ারা, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পাশের গেট দিয়ে আবার সমিতি ভবনে ফিরে আসে।

মিছিল শেষে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাব এটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশকে সফল করতে আমরা প্রচার-প্রচারণার উদ্দেশ্যে মিছিল করেছি। আশা করছি আমরা সফল হবো।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, স্যার (এ জে মোহাম্মদ আলী) যেটা বলতে চাচ্ছিলেন সেটা হলো সারাদেশের ১০টি বিভাগে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল, তিন মাস আগে। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে সর্বশেষ ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ নয়াপল্টনে করতে পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। আমরা এখনো দলীয়ভাবে এই সিদ্ধান্তে অনড়, নয়াপল্টনেই সমাবেশ করতে চাই। আমরা সোহরাওয়ার্দীতে কোনো জনসভা আমরা করবো না। কারণ এটা সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য।

কায়সার কামাল আরও বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা বিএনপির এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে রাজপথে নেমে এসেছেন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে, ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করতে।

মিছিলের নেতৃত্ব দেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। তার সঙ্গে ছিলেন ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিমকোর্ট ইউনিটের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজল, সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল, বারের সাবেক ট্রেজারার এডভোকেট ফাহিমনা নাসরিন মুন্নীসহ কয়েকশত আইনজীবী।

মিছিলে যোগদান করেন সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সভাপতি, বার কাউন্সিলের সদস্য ও সিনিয়র এডভোকেট জয়নুল আবেদীন। জাতীয়াতাবাদী আইনজীবী ফোরামের এ প্রোগ্রাম দুপুরে শেষ হয়।

এরপরই পুলিশ ও সাদা পোষাকে অশ্রধারীগণ নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তান্ডব চালায়।
সেখান থেকে আটক হলেন যারা: বিকাল সাড়ে চারটার দিকে পুলিশ পুরো এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ সময় বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। কিছুক্ষণ পর দলীয় কার্যালয় থেকে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা উত্তর বিএনপি’র আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণ বিএনপি’র আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, গাজীপুর জেলা বিএনপি’র সভাপতি ফজলুল হক মিলন, মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মাহতাব, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী এডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা জেলা বিএনপি’র সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, ওলামা দলের আহ্বায়ক শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হককে আটক করে নিয়ে যায় ডিবি। পরে আরো কয়েক দফায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থাকা অনেক নেতাকর্মীকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। আটক নেতাকর্মীদের ডিবি কার্যালয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন থানায়ও নিয়ে যাওয়া হয়।

ফখরুল ইসলাম আলম বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আসেন বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে। তিনি এসে কার্যালয়ে প্রবেশ করতে চাইলেও তাকে সেখানে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। পরে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ফখরুল। রাত আটটা পর্যন্ত কার্যালয়ের সামনের সড়কেই তিনি বসে ছিলেন। রাত আটটার পর মির্জা ফখরুল নয়া পল্টন ছেড়ে যান। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গুলশানে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হবে রাতে তিনি সেখানে যাচ্ছেন। ১০ই ডিসেম্বর সমাবেশের বিষয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে বলে তিনি জানান।

পুলিশের তান্ডবে আহত যারা: সংঘর্ষে আহত নেতাকর্মী ও একজন পুলিশ সদস্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে ছিলেন, মো. রবিন খান, মো. আনোয়ার ইকবাল (বোরহান উদ্দিন কলেজ ছাত্রদল), মো. খোকন, মো. মনির হোসেন, মো. রাশেদ (পল্টন থানা যুবদল), মো. ইয়াসির আরাফাত (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, জসীমউদ্‌দীন হল), মো. সুমন (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদল), মো. জহির হাসান (ছাত্রদল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়), মো. শামীম (রূপনগর থানা স্বেচ্ছাসেবক দল), মো. হানিফ, মো. হৃদয় (কদমতলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দল), মো. মকবুল হোসেন (কদমতলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দল), মো. ফারহান আরিফ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), মো. নূরনবী (শাহবাগ থানা যুবদল), মো. সুলতান আহমেদ (শাহ আলী থানা যুবদল), মনির (শাহবাগ থানার যুবদল), মো. আমিনুল ইসলাম (শেরেবাংলা নগর থানা যুবদল), মো. আশরাফুল ইসলাম (গুলশান থানা ছাত্রদল), বিপ্লব হাওলাদার (ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল), মো. আসাদুজ্জামান (ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল), মো. মেহেদী হাসান নয়ন (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল)। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের ১৮ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। নিহত মকবুল হোসেনের স্ত্রী হালিমা ঢামেকের মর্গে স্বামীর লাশ শনাক্ত করেন। তিনি জানান, আমার স্বামী কারচুপির কাজ করতেন। আজ বাসা থেকে তার বোনের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা নিয়ে বের হন। কারচুপির পুতি কেনার জন্য। আর আমরা পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে এসে জানতে পারি আমার স্বামী পল্টনে পুলিশের গুলির ঘটনায় নিহত হয়েছেন। তিনি জানান, আমাদের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানায়। আমরা মিরপুর-১১ বাউনিয়াবাদ এলাকায় থাকি। মকবুলের স্ত্রী জানান, তাদের একমাত্র সন্তান মিথিলার বয়স ৮ বছর। হালিমার সঙ্গে আসা তার ৮ বছর বয়সী মেয়েও বাবার জন্য বিলাপ করছিল।

চিকিৎসা নিতে আসা আহত যুবদল কর্মী জহির হোসেন বলেন, আত্মরক্ষার্থে পার্টি অফিসের ভেতরে ঢুকলে পুলিশ বিনা উস্কানিতে তাদের ওপর গুলি চালায়। নিচতলার কেচিগেট ভেঙে পুলিশ ভেতরে ঢুকে পাখির মতো গুলি চালায় আমাদের ওপর। চোখের সামনে মকবুল মারা যান। এ সময় ২০ জনের মতো আহত হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, মোট ২১ জন আহত হয়ে হাসপাতালে আসেন। একজন মারা গিয়েছেন। বাকি তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তারা শঙ্কামুক্ত। আহতদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।

তান্ডব আটক ও হত্যার প্রতিবাদে কর্মসূচী ঘোষণা করেছে বিএনপি।

ডিএএম/এসএম//

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *