নিজস্ব প্রতিবদেক :
আগামী ১২ নভেম্বর বিএনপি’র ফরিদপুর বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ফরিদপুর ইউনিট এর আইনজীবীদের প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক এটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, বিশেষ অতিথি হিসেবে ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিমকোর্ট ইউনিটের সভাপতি আব্দুল জব্বার ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির একাধিকার নির্বাচিত সম্পাদক ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বক্তৃতা করেন।
সভায় অতিথি ছিলেন বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক ছাত্রনেতা সেলিমুজ্জামান সেলিম।
সভায় উপস্থিত আইনজীবী ছিলেন আইনজীবী নেতা এডভোকেট মোহাম্মদ আলী, এডভোকেট মোর্শেদ আল মামুন লিটন, এডভোকেট কামরুজ্জামান মামুন, ব্যারিস্টার ইমাম হোসেন, ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ, আবদুল্লাহ আল মাহবুব, জহিরুল ইসলাম সুমন, মিজানুর রহমান মিজান, ফায়েজ জেবরান, কে আর খান পাঠান, রাসেল আহমেদ, ফয়সাল সিদ্দিকী, হাসিবুর রহমান হাসিব, শামসুল ইসলাম মুকুল, মাকসুদ উল্লাহ্, শেখ জুলফিকার আলম শিমুল, মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ, নুরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ, মু: কাইয়ুম, নজরুল ইসলাম ছোটন, জুয়েল মুন্সি সুমন প্রমুখ।
প্রতিনিধি সভায় বক্তারা ১২ নভেম্বর বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় গণসমাবেশ সফলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন করণীয় কৌশল ঠিক করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটাধিকার, জীবনযাত্রার মান সহনীয় করতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানোসহ বিভিন্ন দাবী বিএনপি আন্দোলন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় এসব সমাবেশ। ইতোমধ্যে চট্রগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুরে বিভাগীয় সমাবেশ শেষ করেছে বিএনপি। এসব সমাবেশে ব্যর্থ করতে সরকার ও আওয়ামী লীগ সর্বাত্মক বাধা দিয়েছে। বিএনপির নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ যেন এসব সমাবেশে উপস্থিত হতে না পারে সেজন্য সকল প্রকার গণপরিবহন বন্ধ করাসহ হামলা-মামলা ও নানা হয়রানি তারা করেছে। ৫ নভেম্বর শনিবার বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করেও সরকার ও আওয়ামী লীগ নজিরবিহীন কারফিউ আবস্থা ও পরিবেশ তৈরি করেছে। তবুও সাধারণ মানুষের সমাবেশমূখী শ্রোত ঠেকাতে পারছে না তারা। মানুষ দখলদার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে সব বাধা মোকাবেলা করতে এখন প্রস্তুত।
বক্তারা বলেন, চলমান আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জনগনের অধিকার ফিরিয়ে আনতে স্বৈরাচারী ও জালিয়াতির ভোটের সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য জনগনকে সংগঠিত করে বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকলকে আগামীর দিকে এগুতে হবে। যে কোন ত্যাগ শিকারে সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে জনগনের বিরুদ্ধে ব্যবহারে আওয়ামী ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতা রুখে দিতে হবে।
এসকে/ডিএএম//
Leave a Reply