Dhaka ০৪:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

প্রত্যক্ষ রাজনীতি না করেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন রফিক-উল হক

  • Update Time : ০৯:০৭:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২
  • / ১ Time View

নিজস্ব প্রতিবদেক :
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, কখনো কোনদিন প্রত্যক্ষ রাজনীতি না করেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন মরহুম ব্যারিস্টার রফিক-উল হক।

বরেণ্য আইনজীবী সাবেক এটর্নি জেনারেল মরহুম ব্যারিস্টার রফিক-উল হক স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আজ এ কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। আইনজীবী হিসেবে সাফল্য এবং দানশীল ব্যক্তিত্ব হিসেবে
ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আরো বক্তৃতা করেন আপিল বিভাগের বিচারপতি নূরুজ্জামান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সাবেক এটর্নি জেনারেল ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ, আদ-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুস সবুর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ প্রমূখ।

আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা: শেখ মহিউদ্দিন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সাংবাদিক আমিরুল মোমেনীন মানিক ও ডা. নাহিদ ইয়াছমিন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, অত্যন্ত প্রখর মেধাবী ও যোগ্য মানুষ ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। আইনজীবী হিসেবে তিনি কিছু অত্যাবশ্যকীয় নীতি মেনে চলতেন। তিনি কখনোই নীতি থেকে বিচ্যুত হননি।
প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, যেকোনো পেশা বা বৃত্তিতে শুধু যোগ্যতা থাকলেই স্বকীয়তা আসে না। পেশার বাইরে তার জ্ঞানের পরিধি থাকতে হয়। রফিক উল হক একাধারে তিনি আইন, ইতিহাস, দর্শন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতিতে জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। একজন আদর্শ নীতিবান আইনজীবী হিসেবে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক আইন পেশাকে মহীমান্বিত করেছেন। ৮৫ বছর বয়সে রফিক উল হক এতো সব কাজ করেছেন তা ভাবতে অবাক লাগে। তিনি শুধু আইনী প্রতিকারই দেননি মানুষের দু:খে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ব্যারিস্টার রফিক ্উ-ল হকের জীবনের লক্ষ্যই ছিল, অব্যাহত কর্মযোগ। তার মতো মোধাবী জ্ঞানী ও কর্মঠ লোক আমার জীবনে কমই দেখেছি। কখনো কোনদিন প্রত্যক্ষ রাজনীতি না করেও ডেমোক্রেসি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন ব্যারিস্টার রফিক উল হক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের গনতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তার সেই অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তার বৈচিত্র কর্মধারায় আরো একটি দিক হলো যুগের চাহিদা অনুযায়ী কোম্পানী আইন, আরবিট্রেশন আইনের সংশোধনী প্রনয়নে অসাধারণ ভুমিকা। কমার্শিয়াল আইন প্রনয়নে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তিনি বেঁচে থাকতে আমি বিচারপতি হয়েছি। তিনি দেখে গিয়েছেন। তার সম্পর্কে আমার অমলিন স্মৃতি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক অসংখ্য সমাজ কল্যানমূলক কাজ করেছেন উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, বারডেম হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা, আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতাল ও আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠায় তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন মরহুম ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের শিক্ষাকর ও কর্ম জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সর্বোচ্চ আদালতে মামলা শুনানিতে তার পারদর্শীতা এবং আইনি যুক্তি পেশ ছিল অতুলনীয়।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, আইন পেশায়
ব্যারিস্টার রফিক-উল হক তাকে অনন্য উচ্ছতায় নিয়ে গেছেন। আইন পেশায় তার বর্ণাঢ্য সাফল্য। তার ক্ষুরধার যুক্তি সমৃদ্ধ করেছে মামলার রায়কে। পাশাপাশি সারাজীবনে তার অর্জিত আয় মানব কল্যানে ব্যায়ের যে নজীর স্থাপন করেছেন তা বিরল। তার কর্মময় জীবনের আদর্শ অনুসরণের মধ্যদিয়েই তার প্রতি যথাযত সম্মান জানানো হবে। তার পরিচালিত মামলাগুলো কমফাইল করে বই আকারে প্রকাশ করলে আইনপেশার প্রজন্ম উপকৃত হবে।

ডিএএম//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

প্রত্যক্ষ রাজনীতি না করেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন রফিক-উল হক

Update Time : ০৯:০৭:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবদেক :
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, কখনো কোনদিন প্রত্যক্ষ রাজনীতি না করেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন মরহুম ব্যারিস্টার রফিক-উল হক।

বরেণ্য আইনজীবী সাবেক এটর্নি জেনারেল মরহুম ব্যারিস্টার রফিক-উল হক স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আজ এ কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। আইনজীবী হিসেবে সাফল্য এবং দানশীল ব্যক্তিত্ব হিসেবে
ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আরো বক্তৃতা করেন আপিল বিভাগের বিচারপতি নূরুজ্জামান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সাবেক এটর্নি জেনারেল ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ, আদ-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুস সবুর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ প্রমূখ।

আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা: শেখ মহিউদ্দিন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সাংবাদিক আমিরুল মোমেনীন মানিক ও ডা. নাহিদ ইয়াছমিন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, অত্যন্ত প্রখর মেধাবী ও যোগ্য মানুষ ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। আইনজীবী হিসেবে তিনি কিছু অত্যাবশ্যকীয় নীতি মেনে চলতেন। তিনি কখনোই নীতি থেকে বিচ্যুত হননি।
প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, যেকোনো পেশা বা বৃত্তিতে শুধু যোগ্যতা থাকলেই স্বকীয়তা আসে না। পেশার বাইরে তার জ্ঞানের পরিধি থাকতে হয়। রফিক উল হক একাধারে তিনি আইন, ইতিহাস, দর্শন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতিতে জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। একজন আদর্শ নীতিবান আইনজীবী হিসেবে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক আইন পেশাকে মহীমান্বিত করেছেন। ৮৫ বছর বয়সে রফিক উল হক এতো সব কাজ করেছেন তা ভাবতে অবাক লাগে। তিনি শুধু আইনী প্রতিকারই দেননি মানুষের দু:খে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ব্যারিস্টার রফিক ্উ-ল হকের জীবনের লক্ষ্যই ছিল, অব্যাহত কর্মযোগ। তার মতো মোধাবী জ্ঞানী ও কর্মঠ লোক আমার জীবনে কমই দেখেছি। কখনো কোনদিন প্রত্যক্ষ রাজনীতি না করেও ডেমোক্রেসি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন ব্যারিস্টার রফিক উল হক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের গনতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তার সেই অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তার বৈচিত্র কর্মধারায় আরো একটি দিক হলো যুগের চাহিদা অনুযায়ী কোম্পানী আইন, আরবিট্রেশন আইনের সংশোধনী প্রনয়নে অসাধারণ ভুমিকা। কমার্শিয়াল আইন প্রনয়নে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তিনি বেঁচে থাকতে আমি বিচারপতি হয়েছি। তিনি দেখে গিয়েছেন। তার সম্পর্কে আমার অমলিন স্মৃতি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক অসংখ্য সমাজ কল্যানমূলক কাজ করেছেন উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, বারডেম হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা, আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতাল ও আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠায় তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন মরহুম ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের শিক্ষাকর ও কর্ম জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সর্বোচ্চ আদালতে মামলা শুনানিতে তার পারদর্শীতা এবং আইনি যুক্তি পেশ ছিল অতুলনীয়।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, আইন পেশায়
ব্যারিস্টার রফিক-উল হক তাকে অনন্য উচ্ছতায় নিয়ে গেছেন। আইন পেশায় তার বর্ণাঢ্য সাফল্য। তার ক্ষুরধার যুক্তি সমৃদ্ধ করেছে মামলার রায়কে। পাশাপাশি সারাজীবনে তার অর্জিত আয় মানব কল্যানে ব্যায়ের যে নজীর স্থাপন করেছেন তা বিরল। তার কর্মময় জীবনের আদর্শ অনুসরণের মধ্যদিয়েই তার প্রতি যথাযত সম্মান জানানো হবে। তার পরিচালিত মামলাগুলো কমফাইল করে বই আকারে প্রকাশ করলে আইনপেশার প্রজন্ম উপকৃত হবে।

ডিএএম//