Dhaka ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট

স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ হাইকোর্টে বহাল

  • Update Time : ০৩:৩৮:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২২
  • / ৯ Time View

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক:
২০১৫ সালে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে যৌতুকের জন্য নির্যাতন চালিয়ে স্ত্রী হত্যার দায়ে সুমন মুন্সী নামের এক আসামীকে বিচারিক আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

এ মামলার ডেথ রেফারেন্স গ্রহণ এবং আসামির আপিল খারিজ করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথ সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ রায় দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল হারুন অর রশিদ, সহকারি এটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমেদ হিরো। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম নুরুল ইসলাম শামীম।

২০১৩ সালে বরিশাল কোতোয়ালি থানাধীন ডিঙামানিক এলাকার আনিস হাওলাদারের মেয়ে সাথীর সঙ্গে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার আবুল মুন্সীর ছেলে সুমনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সাথীর ওপর নির্যাতন চালাতেন স্বামী ও তার বাড়ির লোকজন। ২০১৫ সালের ২০ জুন সন্ধ্যায় সাথী তার বাবার বাড়িতে ফোন দিয়ে নির্যাতন চালানোর বিষয়টি বলে দেন। এর জের ধরে সাথীকে পিটিয়ে হত্যা করে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেন তারা।
হত্যার বিষয়টি বুঝতে পেরে ২১ জুন সাথীর বাবা বাদী হয়ে মেহেন্দীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মেহেন্দীগঞ্জ থানার সেই সময়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারিক হাসান রাসেল তদন্ত শেষে একই বছরের ২৭ নভেম্বর সুমন মুন্সীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

বিচার শেষে ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল স্ত্রী হত্যার দায়ে সুমন মুন্সীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামি ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিল করেন।

ডিএএম/কেকে//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ হাইকোর্টে বহাল

Update Time : ০৩:৩৮:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২২

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক:
২০১৫ সালে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে যৌতুকের জন্য নির্যাতন চালিয়ে স্ত্রী হত্যার দায়ে সুমন মুন্সী নামের এক আসামীকে বিচারিক আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

এ মামলার ডেথ রেফারেন্স গ্রহণ এবং আসামির আপিল খারিজ করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথ সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ রায় দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল হারুন অর রশিদ, সহকারি এটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমেদ হিরো। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম নুরুল ইসলাম শামীম।

২০১৩ সালে বরিশাল কোতোয়ালি থানাধীন ডিঙামানিক এলাকার আনিস হাওলাদারের মেয়ে সাথীর সঙ্গে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার আবুল মুন্সীর ছেলে সুমনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সাথীর ওপর নির্যাতন চালাতেন স্বামী ও তার বাড়ির লোকজন। ২০১৫ সালের ২০ জুন সন্ধ্যায় সাথী তার বাবার বাড়িতে ফোন দিয়ে নির্যাতন চালানোর বিষয়টি বলে দেন। এর জের ধরে সাথীকে পিটিয়ে হত্যা করে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেন তারা।
হত্যার বিষয়টি বুঝতে পেরে ২১ জুন সাথীর বাবা বাদী হয়ে মেহেন্দীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মেহেন্দীগঞ্জ থানার সেই সময়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারিক হাসান রাসেল তদন্ত শেষে একই বছরের ২৭ নভেম্বর সুমন মুন্সীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

বিচার শেষে ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল স্ত্রী হত্যার দায়ে সুমন মুন্সীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামি ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিল করেন।

ডিএএম/কেকে//