নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাকিন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানী (বিডি) লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) লেবানিজ বংশোদ্ভত সুইজ্যারল্যান্ডের নাগরিক ফাদি বিতারকে প্রতিষ্ঠানটির অফিস থেকে জোড়পূর্বক বের করে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট অথরিটি (বিডা)কে জানালে তারা এ ব্যাপারে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহাপরিচালক, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), মহাপরিচালক, বাংলাদেশ র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব), অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (এসবি)ও পরিচালক-১, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয, তেজগাঁও, ঢাকা সংশ্লিষ্ট বরাবর একটি অফিসিয়াল চিঠি ইস্যু করেন। পাশাপশি ওই ঘটনায় রাজধানীর কাফরুল থানায় একটি ফৌজদারী মামলাও হয়েছে (মামলা নং-২৪ তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২)।
কোম্পানিটিতে বিপুল পরিমান বিদেশী বিনোয়োগ রয়েছে। স্থানীয় একটি মহল দীর্ঘদিন যাবৎ কোম্পানিটি নিয়ন্ত্রন করে আসছিল। নানা অনিয়মের কারণে পরিচালনা পর্ষদ নড়েচরে বসে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন এমডি নিয়োগ হয়। কিন্তু তাতে অসাধু মহলটি নাখোশ হয়। ফলে ঘটছে নানা ঘটনা।
রাকিন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানী (বিডি) লিমিটেড এর এমডি বিদেশী নাগরিক ফাদি বিতারের পক্ষ থেকে তার আইনজীবী জানান, বিদেশী বিনিয়োগ নির্ভর যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত “রাকিন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানী (বিডি) লিমিটেড” প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালের ৯ জানুয়ারি। প্রতিষ্ঠানের জন্মলগ্ন থেকেই এস এ কে একরামুজ্জামান ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। একরাজ্জামানের এই নিয়োগ কখনও কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ সনের ১১০(৩) ধারা মোতাবেক বাৎসরিক সাধারণ সভায় (এজিএম) অনুমোদন হয়নি। এমডি হিসেবে নিয়োগের পাচঁ বৎসর পরেই উনার নিয়োগ বাতিল হয়ে যায় আইন অনুযায়ী। গত ২৫ এপ্রিল কোম্পানীর বোর্ড সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিযুক্ত হন ফাদি বিতার। পুর্ববর্তী ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এ কে একরামুজ্জামান যিনি বর্তমানে কোম্পানীটির একজন শেয়ার হোল্ডার, তার ভাই কোম্পানীটির পরিচালক ও শেয়ার হোল্ডার আনোয়ারুজ্জামান ঐ বোর্ড সভায় উপস্থিত থেকে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ফাদি বিতারকে স্বাগত জানায়। এটি ভিডিওতে ধারনকৃত আছে বলে দাবী করেন ফাদি বিতারের আইনজীবী। ফাদি বিতারকে প্রথমে কোম্পানীটির পরিচালনা পর্ষদ সিইও হিসেবে নিয়োগ দেন। একজন বিদেশী নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় অনুমোদন সাপেক্ষে পরে তাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
কোম্পানীর নতুন এমডি দায়িত্ব নিয়ে দেখতে পান পূর্ববর্তী ব্যবস্থাপনা পরিচালক একরামুজ্জামান কোম্পানীর প্রচুর পরিমান অর্থ নিয়ম বহির্ভূতভাবে খরচ করেছেন। কোম্পানীকে সুশৃঙ্খল ও জবাবদিহিতায় আনতে এবং এখানে গ্রাহকদের অর্থ বিনিয়োগকে নিরাপদ করতে ফাদি বিতার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এতে একরামুজ্জামান নাখোশ ও ক্ষিপ্ত হন। তার অনিয়মগুলো প্রকাশ্যে আসার পর ফাদি বিতারকে সঠিকভাবে দায়িত্বপালনে বিভিন্ন উপায়ে বাঁধা প্রদান শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল অনুমানিক ১১টা হইতে বিকাল সারে ৩ টায় এস এ কে একরামুজ্জামান, লেঃ কর্ণেল (অবঃ) রাশেদুল আলম, আরিফুর রহমান তপন, আবদুল্লাহ কায়সার ও সোহাগসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২০/৩০ জন পূর্বপরিকল্পিতভাবে কোম্পানী অফিসে দলবদ্ধ হয়ে অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শক্তির মহড়া এবং দাপট প্রদর্শন করে ফাদি বিতারকে ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং ত্রাসের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। একরামুজ্জামানের উপস্থিতিতে ও নির্দেশে এবং অন্যান্যদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ফাদি বিতারকে রুম থেকে বের করে দিয়া দায়িত্ব পালনে বাধার সৃষ্টি করে। একটি বে-আইনী চিঠি গ্রহণ করার জন্য লেঃ কর্ণেল (অবঃ) রাশেদুল আলম এবং আরিফুর রহমান তপন তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এবং শারীরিকভাবে আঘাত করেন বলে দাবী করা হয়। ফাদি বিতারের রুমে প্রবেশ করার পূর্বে অফিসের সকল সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে দেয় বলে দাবী করেন সংশ্লিষ্টরা।
একরামুজ্জামানের নেতৃত্বে ফাদি বিতার এবং কোম্পানীটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুমাইয়া তাসনীনের কক্ষে ঢুকে তাদের নাজেহালসহ জোরপূর্বক বের করে দেয় এবং ল্যাপটপ, ফোন, ফাইল এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জোরপূর্বক কেড়ে নেয়া হয়। এই বিষয়ে কাফরুল থানায় একটি মামলা করা হয় যাহা কাফরুল থানা পুলিশ কেস নং-২৪ তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর। বিদেশী নাগরিক হিসাবে ফাদি বিতার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এবং ভয় পেয়ে এখন মানসিকভাবে চরম বিপর্যস্ত। তার আইনজীবী জানান, বিদেশী বিনয়োগকারীদের যদি কোন নিরাপত্তা না থাকে দেশে বিদেশী বিনিয়োগ অরো হুমকির মুখে পড়বে। আমরা সরকারের মন্ত্রী পর্যায় থেকে সহযোগিতা পেয়েছি, তা সত্ত্বেও সেখানে কাজ করতে পারছিনা। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ থাকার পরও স্থানীয় প্রশসানের সহায়তা করতে গড়িমশি করছে বলে দাবী করা হয়।
২০০৮ সালে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগে (এফডিআই) বাংলাদেশের আবাসন খাতে যাত্রা করে রাকিন ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটিতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ করা হয়েছে, যেখানে প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকটি আবাসন প্রকল্পে কোম্পানিটি বিপুল পরিমান অর্থ বিনিয়োগ করেছে এবং আরও কয়েকটি প্রকল্পে বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। অথচ নানারকম আর্থিক অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনার কারনে হুঁমকির মুখে পড়েছে সম্ভাবনাময় এই বিদেশী বিনিয়োগের প্রতিষ্ঠানটি।
কোম্পানি পরিচালনায় বিদেশী পরিচালকদের বাংলাদেশে অনুপস্থিতি এবং দেশের সংশ্লিষ্ট আইন-কানুন সম্পর্কে তাদের যথাযথ ধারণা না থাকার দূর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে শীর্ষ বাংলাদেশী কর্তাব্যক্তির ধারাবাহিক আর্থিক অনিয়মে কোম্পানিটি দূর্বল হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আর এর ফলে আস্থা হারাচ্ছে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা, সেইসাথে প্রশ্নের মুখে পড়ছে দেশের ভাবমূর্তিও। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন এস এ কে একরামুজ্জামান নামে একজন বাংলাদেশী পরিচালক। কোম্পানি আইনের ১১০ ধারায় বলা হয়েছে, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ দেয়ার পর পরবর্তী বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) সেটার অনুমোদন নিতে হয়, কিন্ত ২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোন অনুমোদন নেয়া হয়নি। তাই আইনের ধারা অনুযায়ী তার এই পদ অনেক আগেই বিলুপ্ত হয়েছে। ফলে দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছরধরে অবৈধভাবে তিনি এই পদে বহাল ছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে দায়িত্বশীল ব্যক্তি।
পরিচালনা পর্ষদের অনুমতি ছাড়াই একরামুজ্জামান কোম্পানির সম্পত্তি বন্ধক রেখে বির্ভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৭০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। তাছাড়াও তিনি কোম্পানির নামে কয়েকটি অনুমোদনহীন ব্যাংক হিসাব খুলে সেগুলোতে সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও কোম্পানির পরিচালনা পরিষদের অনুমতি ছাড়া কোনধরনের নিয়মের তোয়াক্কা না করেই ‘স্টার পোরসেলিন’ নামে একটি কোম্পানির নামে ৭৩ কোটি ৩ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন একরামুজ্জামান, যিনি একই কোম্পানির ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে আছেন। এই টাকা ৭ দিনের মধ্যে পরিশোধের জন্য গত ৩ আগস্ট তারিখে তাকে একটি আইনী নোটিশ দেয়া হয়েছে, কিন্তু তিনি এই নোটিশের কোন জবাব দেননি। একরামুজ্জামানের ১৪ বছর ধরে এমডি’র দায়িত্ব পালনকালে এই সময়ে কোম্পানির কোন লাভ দেখানো হয়নি, বরং প্রায় ৪৫ কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়।
বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন না থাকা, কোম্পানির কার্যক্রমে সন্দেহজনক অর্থ লেনদেন, কোম্পানিতে নানারকম অনিয়ম-দুর্নীতি এবং তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলার কারনে বিগত ২৫ এপ্রিল ২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত কোম্পানির ৮১তম বোর্ড সভার সিদ্ধান্তক্রমে এস এ কে একরামুজ্জামানকে সরিয়ে কোম্পানির সিইও লেবানিজ বংশোদ্ভুত সুইজারল্যান্ডের নাগরিক ফাদি বিতারকে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ দেয়া হয়।
সেই সাথে কোম্পানির আর্টিক্যাল অব অ্যাসোসিয়েশনের ১১৫ নম্বর সেকশন অনুযায়ী একরামুজ্জামানকে কোম্পানির পরিচালক পদ থেকেও অব্যাহতি দেয়া হয়, সংশ্লিষ্ট এই সেকশনটি পূর্বে তিনি নিজেই অনুমোদন করেছিলেন।
বিভিন্ন আর্থিক অনিয়ম আর অসঙ্গতির অভিযোগে চলতি বছরের ৩১ জুলাই ও ৩ আগস্ট তারিখে একরামুজ্জামানকে কোম্পানির পক্ষ থেকে দুটি লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছিল, কিন্তু তিনি এর কোনটিরই জবাব দেননি। তাছাড়াও কোম্পানির ফান্ড থেকে অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ব্যাংক হিসাব খোলার অভিযোগে ইতিমধ্যেই কোম্পানির পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে একটি ফোজদারী মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং বিভিন্ন অভিযোগে আরও কয়েকটি মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, অবৈধভাবে ১৮৪ কোটি টাকা দুবাইয়ে পাচারের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৩ মে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে তিনি ও তার ভাই কোম্পানির পরিচালক সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে মামলাটির চার্জশিট দাখিল করে দুদক। এই সময়ে রাকিন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন এস এ কে একরামুজ্জামান।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামীরা ২০১০ সালে দুবাইয়ে আল মদিনা ইন্টারন্যাশনাল এবং থ্রি স্টার নামে দুটি অফশোর কোম্পানি খোলেন। পরে বাংলাদেশে ‘দুর্নীতির মাধ্যমে’ অর্জিত ১৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা দুবাইয়ে পাচার করেন। দুবাইয়ে ওই অর্থ উর্পাজনের কোনো উৎস তারা দেখাতে পারেননি। ওই অর্থ কীভাবে উপার্জন করা হয়েছে তার কোনো তথ্য-প্রমাণ তাদের কাছে নেই। দুবাইয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করার কথা তারা বাংলাদেশ ব্যাংককে কখনও জানাননি বা কোনো ধরনের অনুমতি নেননি।
একরামুজ্জামান বর্তমানে আরএকে সিরামিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। একসময় দুবাইতে আরব আমিরাতের রাস আল খাইমাহ ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশনের সাবেক সিও এবং রাকিন ডেভেলপমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. খাতের মাসাদের পিয়ন ছিলেন তিনি। এছাড়াও তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি।
সার্বিক বিষয়ে এস এ কে একরামুজ্জামানকে ইঙ্গিত করে রাকিন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির আইনী পরামর্শক ড. কাজী আক্তার হামিদ বলেন, কোন ব্যক্তি তার নিজস্ব লাভের কথা চিন্তা না করে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। আর বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা একটা জঘন্য অপরাধ। সরকারকে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার খাতিরে আরও বেশী সচেতন হওয়া উচিত।
এ বিষয়ে এস এ কে একরামুজ্জামানের বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে ও হোয়াটসআপে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি, এমনকি হোয়াটস্অ্যাপে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
নিবন্ধন সংক্রান্ত জটিলতা সৃষ্টি করার কারণে রাকিন ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড কোম্পানি তাদের কয়েক’শ ফ্ল্যাট ক্রেতাদের বুঝিয়ে দিতে পারছেন না। প্রতিষ্ঠানটির আইনি পরামর্শক জানান, নিবন্ধন দপ্তরের মহাপরিদর্শক নিবন্ধনের এ সংক্রান্ত একটি সিদ্ধান্ত চ্যালেন্জ করে উচ্চ আদালতে মামলা করা হয়েছে।
ডিএএম/কেকে//
Leave a Reply