Dhaka ০১:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মামলা হলেই গ্রেফতার নয়, তদন্তে দায় পাওয়া গেলে ব্যবস্থা: আইজিপি `অন্তর্ভূক্তিমূলক রাষ্ট্রকাঠামোই জাতীয়তাবাদের উপহার’-অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিইউজে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণ, প্রেমিকসহ সহযোগী গ্রেফতার

  • Update Time : ০৬:৩০:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১৮ Time View

সারাদেশ ডেস্ক:

মোবাইল ফোনে প্রেমের সূত্র ধরে পঞ্চগড়ের বোদায় এসে কথিত প্রেমিকসহ তার বন্ধুদের সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন নরসিংদীর এক তরুণী। শনিবার গভীর রাতে ওই তরুণী বোদা থানায় চারজনের নামসহ অজ্ঞাত আরও দুই/তিন জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলার পর অভিযান চালিয়ে কথিত প্রেমিক আব্দুল মালেকসহ তার সহযোগী আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতাররা রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড়ের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অলরাম কার্জীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- বোদা উপজেলার সিপাইপাড়া এলাকার মহিদুলের ছেলে কথিত প্রেমিক আব্দুল মালেক (২৫) ও আলমগীর হোসেন (২২)।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কথিত প্রেমিক আব্দুল মালেকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক হয় নরসিংদীর ওই তরুণীর। প্রায় ৯ মাসের প্রেমের সূত্র ধরে মালেকের কথায় এবং বিয়ের আশ্বাসে শুক্রবার সন্ধ্যায় পঞ্চগড়ের বোদায় আসেন ওই তরুণী। পরে আলমগীর হোসেনের সহযোগিতায় মালেক বোদার প্রসাদ খাওয়া এলাকার একটি বাড়িতে তাকে নিয়ে যান। ওই বাড়িতে আশরাফুল ও আপন নামে অন্য দুই তরুণ আসেন। বাড়িতে অন্য কোনো লোক না থাকায় সেখানে তরুণী থাকতে রাজি হননি। পরে বিয়ের জন্য তাকে কাজী অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পাশের একটি আম বাগানে নিয়ে মালেক, আপন ও আশরাফুল ধর্ষণ করেন। এসময় ইজিবাইক চালক আলমগীরসহ আরও দুই/তিনজন পাহারায় ছিলেন। তবে তরুণীর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তাকে রেখে পালিয়ে যান অভিযুক্তরা।

বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, মামলার প্রধান আসামি মালেক ও তার সহযোগী আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভুক্তভোগীকে বহনকারী একটি ইজিবাইক জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতার দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

ওসি আরও বলেন, এরই মধ্যে ধর্ষণের শিকার তরুণীর স্বাস্থ্যপরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। খবর পেয়ে তার অভিভাবকরা বোদা থানায় এসেছেন। তরুণীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণ, প্রেমিকসহ সহযোগী গ্রেফতার

Update Time : ০৬:৩০:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২

সারাদেশ ডেস্ক:

মোবাইল ফোনে প্রেমের সূত্র ধরে পঞ্চগড়ের বোদায় এসে কথিত প্রেমিকসহ তার বন্ধুদের সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন নরসিংদীর এক তরুণী। শনিবার গভীর রাতে ওই তরুণী বোদা থানায় চারজনের নামসহ অজ্ঞাত আরও দুই/তিন জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলার পর অভিযান চালিয়ে কথিত প্রেমিক আব্দুল মালেকসহ তার সহযোগী আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতাররা রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড়ের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অলরাম কার্জীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- বোদা উপজেলার সিপাইপাড়া এলাকার মহিদুলের ছেলে কথিত প্রেমিক আব্দুল মালেক (২৫) ও আলমগীর হোসেন (২২)।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কথিত প্রেমিক আব্দুল মালেকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক হয় নরসিংদীর ওই তরুণীর। প্রায় ৯ মাসের প্রেমের সূত্র ধরে মালেকের কথায় এবং বিয়ের আশ্বাসে শুক্রবার সন্ধ্যায় পঞ্চগড়ের বোদায় আসেন ওই তরুণী। পরে আলমগীর হোসেনের সহযোগিতায় মালেক বোদার প্রসাদ খাওয়া এলাকার একটি বাড়িতে তাকে নিয়ে যান। ওই বাড়িতে আশরাফুল ও আপন নামে অন্য দুই তরুণ আসেন। বাড়িতে অন্য কোনো লোক না থাকায় সেখানে তরুণী থাকতে রাজি হননি। পরে বিয়ের জন্য তাকে কাজী অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পাশের একটি আম বাগানে নিয়ে মালেক, আপন ও আশরাফুল ধর্ষণ করেন। এসময় ইজিবাইক চালক আলমগীরসহ আরও দুই/তিনজন পাহারায় ছিলেন। তবে তরুণীর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তাকে রেখে পালিয়ে যান অভিযুক্তরা।

বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, মামলার প্রধান আসামি মালেক ও তার সহযোগী আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভুক্তভোগীকে বহনকারী একটি ইজিবাইক জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতার দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

ওসি আরও বলেন, এরই মধ্যে ধর্ষণের শিকার তরুণীর স্বাস্থ্যপরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। খবর পেয়ে তার অভিভাবকরা বোদা থানায় এসেছেন। তরুণীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।