সারাদেশ ডেস্ক:
ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে বাবা ও ভাইকে দেখতে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শ্রীকৃষ্টপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার কিশোরীর বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় পলাশবাড়ি ইউনিয়নের বেলসাড়া গ্রামে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মদর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শ্রীকৃষ্টপুর ইক্ষু খামার এলাকা থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
বর্তমানে ওই স্কুলছাত্রী ঠাকুরগাঁওয়ের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন ওই স্কুলছাত্রী বলেন, সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে গত বুধবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত আমার বাবা ও ভাইকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. যোবায়ের হোসেন। শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে বাবা ও ভাইয়ের সাথে দেখা করার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় একটি সিএনজি অটোরিকশায় ঠাকুরগাঁও কারাগারের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। এ সময় প্রতিবেশি যুবক আসলাম, বাবুল, তালেবসহ ৫-৬ জন ওই অটোরিকশায় ওঠে। কিছুদুর যাওয়ার পর ওই যুবকরা গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার একটি নির্জন এলাকায় নিয়ে যান। এরপর তারা হাত-পা ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
ওসি কামাল হোসেন বলেন, রাত ১১টার দিকে পুলিশের জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. রকিবুল আলম চয়ন বলেন, শুক্রবার রাতে পুলিশ মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে গাইনি ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেই সাথে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের দাগ রয়েছে।
ওসি কামাল হোসেন আরো বলেন, বিষয়টি তদন্ত করছি। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply